ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মন্তব্য আইনমন্ত্রীর

ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে জনগণের যেটা দাবি সেটাই করব

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

ট্রাইব্যুনালের ক্ষেত্রে জনগণের যেটা দাবি সেটাই করব

বিকাশ দত্ত ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সুপ্রীমকোর্র্ট প্রশাসনের দেয়া দ্বিতীয় চিঠিতে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন দেশের আপীল বিভাগের সাবেক বিচারপতি, সাবেক আইনমন্ত্রী, আইন বিশেষজ্ঞ, গবেষকসহ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠনগুলো। তাদের অভিমত, দীর্ঘ দিন পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল গঠিত হয়েছে। বিচার শেষ হলেও জাদুঘর হিসেবে স্থানটিকে রক্ষা করা হোক। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জানতে পারে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ করেছিল তাদের বিচার এখানে হয়েছে। এটা ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকবে। সে জন্য এ স্থানটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। আর এটা সরানোর কোন প্রশ্নই থাকতে পারে না। ইতোমধ্যে এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল ২৭ মামলায় ৫৩ জনকে বিভিন্ন দ- প্রদান করেছে। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এ পর্যন্ত ৩২২৯ আসামির বিরুদ্ধে সর্বমোট ৫৮৫ অভিযোগ এসেছে, যা পর্যায়ক্রমে তদন্ত শেষে প্রসিকিউশনে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলবে। প্রধানমন্ত্রীর ঐ বক্তব্যের পর ট্রাইব্যুনাল সরানোর প্রশ্নই আসে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষে জনগণ ভবনটি জাদুঘর হিসেবে দেখতে চায়। ভবিষ্যত প্রজন্ম দেখবে কোথায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছিল, যা জাদুঘর হিসেবে সাক্ষী হিসেবে থাকবে। ৪ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরিয়ে নিতে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট। সুপ্রীমকোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দখল হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক জনকণ্ঠকে বলেছেন, সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসনের চিঠির জবাব শীঘ্রই দেয়া হবে। তিনি আরও বলেন, তবে জনতার দাবি যেটা সেটাই করব। আবারও এ চিঠি পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠাব। তার কারণ হচ্ছে জনগণের ইচ্ছা যে ট্রাইব্যুনাল ওখানেই থাক। ট্রাইব্যুনাল শেষ হওয়ার পরে সেটা একটা জাদুঘর হোক। সেই জনগণের ইচ্ছাকে কি করে রূপ দেয়া যায় সেই চেষ্টাই আমি করব। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, আইনমন্ত্রীর বক্তব্য মানেই সরকারের বক্তব্য। সরকার বলে দিয়েছে বিচার কাজ শেষে এখানে জাদুঘর হবে। কাজেই এই স্থান থেকে ট্রাইব্যুনাল সরানোর কোন প্রশ্নই আসে না। ডিসেম্বরের মধ্যে কিভাবে ট্রাইব্যুনাল সরাবে। এটি একটি সুরক্ষিত ভবন। এমন ভবন পাওয়া কঠিন। বিচার শেষে যা জাদুঘর করা হবে সেটা আগেই আমরা বলেছি। এই স্থানটি সরকারের ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেই। আমারও মত একই। অনেক বাছাই করে এখানে ট্রাইব্যুনাল গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বিদেশ থেকেও লোকজন এসে দেখে গেছে। তাদেরও এখানে ট্রাইব্যুনাল গঠন করাটা পছন্দ হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের স্থানটি এখন দেশ-বিদেশে সবার কাছে সুপরিচিত। এটা সরানোর প্রশ্নই উঠে না। জাতির প্রত্যাশা প্রতিফলিত হয়েছে। মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের জন্য এখানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল স্থাপিত হয়েছে। বিচার শেষ হলেও জাদুঘর হিসেবে স্থানটিকে রক্ষা করা হোক। যাতে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জানতে পারে যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় এদেশে গণহত্যা, ধর্ষণ করেছিল তাদের বিচার এখানে হয়েছে। এটা ইতিহাসের অংশ হিসেবে থাকবে। সে জন্য এ স্থানটি সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। আর এটা সরানোর কোন প্রশ্নই থাকতে পারে না। সরালে জাতি বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বে। এতে অনেকেই আপত্তি জানাবে। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলবে। প্রধানমন্ত্রীর ঐ বক্তব্যের পর ট্রাইব্যুনাল সরানোর প্রশ্নই আসে না। এর আগে ১৮ আগস্ট সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত প্রথম চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টে বর্তমানে পর্যাপ্ত স্থানাভাবে বিচারপতিগণের প্রয়োজনীয় চেম্বার ও এজলাসের ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না। তা ছাড়া স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে সুপ্রীমকোর্ট রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চেম্বার দফতরের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে বিষয়টি আরও প্রকট হবে বিধায় জরুরী ভিত্তিতে বিচারপতিগণের চেম্বার ও এজলাস এবং কর্মকর্তা কর্মচারীদের অফিস হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্ত প্রয়োজনীয় স্থানের ব্যবস্থা করা আবশ্যক। সে লক্ষে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সুপ্রীমকোর্টকে পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটির (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হিসেবে ব্যবহৃত অংশ) দখল হস্তান্তরের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এর ৭৪ দিনের মাথায় ৩০ অক্টোবর সুপ্রীমকোর্ট এলাকা থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে সুপ্রীমকোর্র্ট প্রশাসনের দেয়া চিঠির জবাব দেয় আইন মন্ত্রণালয়। ঐ চিঠিতে বলা হয়, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার কার্যক্রম বন্ধ করে পুরাতন হাইকোর্ট ভবনটির দখল বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের অনুকূলে হস্তান্তর করা হলে তা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সর্বজনগ্রাহ্য হবে না বরং বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট দেশবাসীর কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হবে। এ ভবনটি পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের গবর্নরের সরকারী বাসভবন হিসেবে নির্মাণ করা হয়। সবশেষে পুরাতন হাইকোর্ট ভবনে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে বিচার কাজ শুরু হয়। অনেক কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীর বিচার কাজ সুসম্পন্ন হয়। সে কারণে এ ভবনটির ঐতিহ্য আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ চায় যে এ ভবনটি ঐতিহাসিক ভবন বিধায় সে মর্যাদাকে সমুন্নত রেখে ভবনটি সংরক্ষণ করা হোক। এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এখান থেকে সরানো না হোক। আইন মন্ত্রণালয়ের চিঠির জবাবের পর পুনরায় সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসন দ্বিতীয় দফায় আবার চিঠি গিয়েছে। ট্রাইব্যুনাল ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সরিয়ে নিতে আবারও আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন সুপ্রীমকোর্ট। ৪ ডিসেম্বর সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে দখল হস্তান্তরের কথা বলা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন জনকণ্ঠকে বলেছেন, ট্রাইব্যুনাল সরানোর প্রশ্নই আসে না। যখন ট্রাইব্যুনাল শুরু হয়েছিল তখন থেকে নির্মূল কমিটিসহ অন্যান্য সংগঠন থেকে বলে আসা হচ্ছিল বিচার শেষে এটা জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে। সবাই জানবে এখানে কি হয়েছিল। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই হবে না। সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের সাবেক বিচার পতি সামসুল হুদা বলেছেন, এটা বাঙালী জাতির আস্তিত্বের প্রশ্ন। এখানে রাজাকার প্রধানদের বিচার হয়েছে। বিচার শেষে এটা জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হবে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যেখানে বিচার হয়েছিল। সেই ক্যান্টনমেন্টে বিচারস্থলটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আমরাও চাই ট্রাইব্যুনারে বিচার শেষে এটা জাদুঘরে রূপান্তরিত করা। তিনি আরও বলেন, এটা সুপ্রীমকোর্টের জায়গা নয়। ইচ্ছা করলেই নিতে পারবে না। সড়ক ভবন আছে এজলাস করার যথেষ্ট জায়গা রয়েছে। এ ছাড়া শিশু একাডেমি সুপ্রীমকোর্টের জায়গার ভিতরে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী বিস্ময় প্রকাশ করে জনকণ্ঠকে বলেছেন, প্রথম থেকেই শুনে আসছি বিচার শেষে এটা জাদুঘর হবে। আমরা অপেক্ষায় আছি বিচার শেষে জাদুঘরের জন্য। এখন কেন এটা প্রশ্নবিদ্ধ করা হচ্ছে। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এ পর্যন্ত ট্রাইব্যুনাল ২৭টি মামলায় ৫৩ জনকে বিভিন্ন দ- প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যুদ-, এক জনের যাবজ্জীবন, একজনের ৯০ বছরের কারাদ- এবং ২৫ জনকে আমৃত্যু কারাদ- প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে পলাতক আছে ২২ জন। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে আরও প্রায় ২০টি মামলা বিভিন্ন পর্যায়ে বিচারাধীন রয়েছে। আপীল বিভাগে ৭টি মামলার নিষ্পত্তি হয়েছে। এর সাতটি রায়ের মধ্যে ৬টিতে জামায়াতের দুই সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল কাদের মোল্লা ও মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর, জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ও জামায়াতের নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। আপীল বিভাগের আরেক রায়ে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর সাজা কমিয়ে আমৃত্যু কারাদ- দেয়া হয়েছে। শুনানি চলার মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধকালীন জামায়াত আমির গোলাম আযম ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী আবদুল আলীমের মৃত্যু হওয়ায় তাদের আপীলের নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও ডজন খানেক মামলার বিচার চলছে। বিশিষ্ট জনের অভিমত এ অবস্থায় ট্রাইব্যুনাল সরালে এর উপর প্রভাব পড়তে পারে। সুপ্রীমকোর্টের দ্বিতীয় চিঠিতে বলা হয়, বিভিন্ন আদালতে বর্তমানে অনেক স্পর্শকাতর ও গুরুত্বপূর্ণ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। আর যথাযথ নিরাপদ পরিবেশেই সেসব মামলার বিচারকাজ পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু হত্যা, পিলখানা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মতো অতি স্পর্শকাতর মামলাসমূহ অধস্তন আদালতে বিচার নিষ্পত্তিতে কোনরূপ সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরিয়ে না নেয়ার বিষয়ে সরকার যে যুক্তি উপস্থাপন করেছে তা কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার পর এরই মধ্যে সাত বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। সরকার সদিচ্ছা পোষণ করলে এই ট্রাইব্যুনালের জন্য অন্যত্র সুবিধাজনক ও আরও নিরাপদ স্থানের ব্যবস্থা করতে পারত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নিতে এখনও পর্যন্ত সরকার কোন উদ্যোগ নেয়নি। চিঠিতে বলা হয়, স্থান সংকুলান না হওয়ার কারণে সুপ্রীমকোর্টের ২৫০০ কর্মচারীর জন্য প্রয়োজনীয় অফিস কক্ষের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রে এক টেবিলে দুই বা ততোধিক কর্মচারীকে বসে কাজ করতে হচ্ছে। ফলে প্রশাসনিক কাজে বিঘœ ঘটছে। স্থানের অপ্রতুলতার কারণে বিচারপতিদের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চেম্বার/ কোর্ট রুমের ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে এ সংকট আরও প্রকট হবে সেটা অনুমান করা যাচ্ছে। এসব বিষয় বিবেচনায় সুপ্রীমকোর্টের সকল এলাকা সমন্বিত করে উন্নয়নের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। আর তাই ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে পুরনো হাইকোর্ট ভবনের দখল সুপ্রীমকোর্টকে হস্তান্তর করতে বলা হয় চিঠিতে। এর আগে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিসহ আটটি সংগঠন সুপ্রীমকোর্ট প্রশাসনের প্রতি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালটি পুরাতন হাইকোট ভবন থেকে না সরানোর অনুরোধ জানিয়েছিল। শুধু আট সংগঠন নয়, এর পাশাপাশি সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল বাসেত মজুমদারও হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিরাপত্তা, প্রসিকিউটরদের নিরাপত্তার পাশাপাশি সাক্ষীদের নিরাপত্তার জন্য ট্রাইব্যুনাল না সরানোর অনুরোধ করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, আইনজীবীদের নিরাপত্তাসহ সকল বিষয় চিন্তভাবনা করেই এখান থেকে ট্রাইব্যুনাল সরানো উচিত হবে না। ২৭ আগস্ট ৮টি সংগঠনের পক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহরিয়ার কবির সংবাদ সম্মেলন করে বলেছিলেন, ট্রাইব্যুনাল সরানো যাবে না। ট্রাইব্যুনাল ওখানেই থাকবে এবং অবশিষ্ট যে সমস্ত মানবতাবিরোধী অপরাধী আছে তাদের বিচার হবে।
×