ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র এদেশ থেকে চলে যাচ্ছে না কেন ॥ দুতার্তে

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্র এদেশ থেকে চলে যাচ্ছে না কেন ॥ দুতার্তে

ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট শনিবার বলেছেন, ব্যস্ত দক্ষিণ চীন সাগরের অধিকাংশ এলাকার উপর বেজিংয়ের দাবি বাতিল করে আন্তর্জাতিক সালিশী আদালতের রুলিং তিনি বিবেচনায় আনবেন না উপেক্ষা করবেন। কারণ, তিনি চীনের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে চান না। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। চীন দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত এলাকায় এর নতুন কৃত্রিম দ্বীপগুলোতে স্পষ্টত বিমান বিধ্বংসী ও ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী অস্ত্র স্থাপন করেছে বলে মার্কিন বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট প্রকাশ করেছেন তাতে বেজিং সম্পর্কে প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতার্তের মনোভাবের পরিবর্তন হবে কিনা সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই মন্তব্য করেন। চীন যে শৈলগুলো মনুষ্য তৈরি দ্বীপে পরিণত করেছে সেগুলোর ওপর দাবি রয়েছে ফিলিপিন্সের। দুর্তাতে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন জুনে। এ পরই তিনি চীনের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে পদক্ষেপ নেন। তার পূর্বসূরি তৃতীয় বেনিগনো এ্যাকুইনোর সময় দীর্ঘ অমীমাংসিত আঞ্চলিক বিরোধের কারণে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক বৈরিতাপূর্ণ হয়ে ওঠে। চীন ২০১২ সালে বিতর্কিত একটি চড়া দখল করে নেয়ার পর এ্যাকুইনো প্রশাসন ওয়াশিংটনের সমর্থনে আন্তর্জাতিক সালিশী আদালতে উত্থাপন করে। দুর্তাতে বলেছেন, রাজনীতির খেলায় এখন আমি সালিশী আদালতের রুলিং বিষয়টি বিবেচনায় আনব না। ওবামা প্রশাসন অবৈধ মাদকের বিরুদ্ধে ফিলিপিন্স সরকারের রক্তক্ষয়ী দমনাভিযানের সমালোচনা করার পর দুর্তাতে ফিলিপিন্স থেকে মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে তার হুমকি পুনর্ব্যক্ত করে তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন। দুর্র্তাতে বলেন, আমি অবশ্য দাবি করব যে, আমার দেশ থেকে তাদের চলে যেতে হবে। তারা যখন ভাবে আমরা একদল অপরাধী তখন আতিথ্য দিয়ে তাদের রাখা কোন কাজে আসবে আমাদের? তোমরা যাও, চলে যাও। আমাদের ওপর তোমাদের বিশ্বাস না থাকলে চুক্তি করতে চাও কেন আমাদের সঙ্গে? কুক্করীর সন্তান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী পারফেক্টো ইয়াযে জুনিয়র শুক্রবার বলেছেন, সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক এ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের রিপোর্টের জবাবে চীনের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেবে না ফিলিপিন্স।
×