ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘উইকিলিকসের সূত্র রাশিয়া নয়’

হিলারির ই-মেইল হ্যাক ॥ সিআইএ’র দাবি প্রত্যাখ্যান এ্যাসাঞ্জের

প্রকাশিত: ০৪:৩৫, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

হিলারির ই-মেইল হ্যাক ॥ সিআইএ’র দাবি প্রত্যাখ্যান এ্যাসাঞ্জের

বিতর্কিত ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসাঞ্জ মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন, এই অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিজয় পাল্টে দিতে ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রচেষ্টার নির্বোধ ও বিপজ্জনক অংশ। সিআইএ’র দাবি- রুশ সরকারের কাছ থেকে পাওয়া ডেমোক্রেটিক প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল ফাঁস করেছে উইকিলিকস। খবর ডেইলি মেইলের। এ্যাসাঞ্জ বৃহস্পতিবার শন হ্যানিটির রেডিও শোতে দেয়া এক সাক্ষাতাকারে বলেছেন, আমাদের সূত্র রাশিয়া সরকার নয়। মার্কিন গোয়েন্দারা বলেছেন যে, তারা জানে আমরা কখন, কাদের কাছ থেকে এই ই-মেইল পেয়েছি এবং আমরা তাদের বলেছি, আমরা এসব কোন রাষ্ট্র থেকে পাইনি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর কোন মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেয়া এটিই এ্যাসাঞ্জের প্রথম সাক্ষাতকার। এ্যাসাঞ্জ বলেন, তার দল কোন সূত্রের বিষয়ে তাদের কঠোর নীতি অনুসরণ করেন। তবে তিনি এ বিতর্কের অবসান করতে চেয়েছেন যে, নির্বাচনের ফল ট্রাম্পের দিকে ঘুরিয়ে দিতে রুশ পরিচালিত অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল উইকিলিকস। সিআইয়ের বিশ্বাস, ইচ্ছাকৃতভাবে হিলারির ক্ষতি করতে রুশ সরকার ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি ও হিলারির নির্বাচনী প্রচার প্রধান জন পোডেস্টার ই-মেইল হ্যাক করে তা উইকিলিকসকে দেয়। তবে এ ধারণা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এফবিআই ও ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স। তারা বলেছে, তারা রাশিয়ার উদ্দেশ্য ও ই-মেইলগুলো তারা উইকিলিকসকে দিয়েছে কিনা, সে বিষয়ে তারা যথেষ্ট প্রমাণ পায়নি। যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত ক্রেইগ মারির মন্তব্য নিশ্চিত বা প্রত্যাখ্যান করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এ্যাসাঞ্জ। মারি উইকিলিকসের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি চলতি সপ্তাহে ডেইলি মেইল ডটকমকে বলেছেন, উইকিলিকসের পাওয়া ই-মেইলের সূত্রগুলো আমেরিকান এবং তাদের একজনের সঙ্গে তিনি ওয়াশিংটন ডিসিতে সাক্ষাত করেছেন। এ বিষয়ে এ্যাসাঞ্জ বলেছেন, আমরা আমাদের সূত্র নিয়ে কোন মন্তব্য করি না। ক্রেইগ মারি যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত। তিনি আমার একজন বন্ধু। তবে তার উইকিলিকসের পক্ষে কথা বলার কোন অনুমতি নেই।
×