ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন

১৯৪ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৭১ জন স্বশিক্ষিত

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

১৯৪ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৭১ জন স্বশিক্ষিত

মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ॥ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নির্বাচনে সাত মেয়র প্রার্থীসহ ২০১ জন কাউন্সিল প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এদের মধ্যে এক মেয়র প্রার্থী ডাক্তার, দুই মেয়র প্রার্থী এলএলবি পাস, এক মেয়র প্রার্থী মুফতি (কওমী) পাস, আরেক মেয়র প্রার্থী দাওরা পাস, এক মেয়র প্রার্থী মাধ্যমিক পাস ও আরেক মেয়র প্রার্থী স্বশিক্ষিত। এছাড়াও ১৯৪ জন সাধারণ ও সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭১ জন প্রার্থী স্বশিক্ষিত ও অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন। সিটি নির্বাচনে কাউন্সিলরদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর উদ্যোগে গত রবিবার, ১১ ডিসেম্বর এক সাংবাদিক সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ জানান, ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৫৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ৯৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি’র নিচে। ১৮ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও ২০ জন এইচএসসি পাস। ¯œাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা ১৬ জন ও স্লাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থী ৩ জন। ৯টি সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ডের ৩৮ জন প্রার্থীর মধ্যে এসএসসি’র গ-ি পার না করা প্রার্থীর সংখ্যা ২৪ জন। ৫ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি ও ৩ জনের এইচএসসি পাস। স্লাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা ৫ জন ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা ১ জন। তাদের বিশ্লেষণ মতে, মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ১৪৪ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা তার নিচে। ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর ডিগ্রিধারী প্রার্থীর সংখ্যা ৩০ জন। ১২০ জন প্রার্থী বিদ্যালয়ের গ-ি পার করেননি। ৪ জন প্রার্থী শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘর পূরণ করেননি। এ হিসাব অনুযায়ী বিদ্যালয়ের গ-ি পার করেননি ১২৪ প্রার্থী। এদের মধ্যে স্বশিক্ষিত ও অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন কাউন্সিলর প্রার্থীর সংখ্যা ৭১ জন। অথচ এ সব কাউন্সিলর প্রার্থীও নির্বাচিত হলে তাদের ওয়ার্ডকে একটি সুন্দর, মডেল, আধুনিক ওয়ার্ড গড়ে তোলার কথা বলছেন। এমনকি তারা মাদকমুক্ত ওয়ার্ড গড়ে তোলার পাশাপাশি শিক্ষা বিস্তারে ভূমিকা রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল ওয়ার্ড গড়ে তুলতে যা যা করার সবই তারা করবেন বলে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন। ৭১ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর শিক্ষাগত কোন যোগ্যতাই নেই। অথচ এরা ওয়ার্ডে শিক্ষা বিস্তারে কি ভূমিকা রাখবেন এ নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে জানা গেছে, সিটি মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ ৭ প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী একজন ডাক্তার (ডক্টর অব মেডিসিন)। বিএনপি’র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন এলএলবি পাস। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান ইসমাইল এলএলবি পাস। এছাড়াও এলডিপির প্রার্থী কালাম প্রধান স্বশিক্ষিত, ইসলামী শাসতন্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মাছুম বিল্লাহ দাওরা পাস, ইসলামী ঐক্যজোটের আজাহারুল ইসলাম, মুফতী (কওমী) পাস ও রাশেদ ফেরদৌস মাধ্যমিক পাস। কাউন্সিলর প্রার্থীদের দাখিল করা হলফনামা পর্যালোচনা করে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, ১নং ওয়ার্ডে ওমর ফারুক (৮ম শ্রেণী), আব্দুর রহিম, (অক্ষরজ্ঞান), মোঃ কামাল হোসেন খন্দকার, (৮ম শ্রেণী), মোঃ জাহিদুল ইসলাম, (৮ম শ্রেণী), মোঃ রওশন আলী, (অক্ষরজ্ঞান), সিরাজুল ইসলাম (অক্ষরজ্ঞান), হাজী মোঃ আনোয়ার ইসলাম (অক্ষরজ্ঞান), হাজী মোঃ ইউনুছ মিয়া (৫ম শ্রেণী)। ২নং ওয়ার্ডে ইকবাল হোসেন (এইচএসসি), মোঃ আঃ হেকিম (স্বশিক্ষিত), মোঃ ইকবাল হোসেন (৮ম শ্রেণী), মোঃ ইসমাইল (স্বশিক্ষিত), মোঃ মাসুম রানা (এইচএসসি), মোঃ সোহরাব হোসেন (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মোসাঃ সেলিনা ইসলাম (এসএসসি), হাজী মোঃ আঃ রহিম মিয়া (৮ম শ্রেণী), হাজী মোঃ সুমন কাজী (৮ম শ্রেণী)। ৩নং ওয়ার্ডে তোফায়েল হোসেন (স্বশিক্ষিত), মোঃ আলমগীর (স্বশিক্ষিত), শাহজালাল বাদল (এসএসসি)। ৪নং ওয়ার্ডে আরিফুল হক হাসান (এইচএসসি), এ আর রাসেল (৮ম শ্রেণী), মোঃ নজরুল ইসলাম (৮ম শ্রেণী), মোঃ ফয়সার নেওয়াজ রানা (এসএসসি), মোঃ লোকমান হোসেন (স্বশিক্ষিত), সুমন মাহমুদ (৮ম শ্রেণী)। ৫নং ওয়ার্ডে গোলাম মুহাম্মদ সাদরিল (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মোঃ আনিসুর রহমান (৮ম শ্রেণী), মোঃ ইমন (এসএসসি), মোঃ ইসমাইল হোসেন (স্বশিক্ষিত) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (বিএ), মোঃ নজরুল ইসলাম (এসএসসি), হাজী মোঃ শফিকুল ইসলাম বাবুল (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন)। ৬নং ওয়ার্ডে মোঃ মতিউর রহমান (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মোঃ সিরাজুল ইসলাম (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), আল মামুনুর রশিদ (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন)। ৭নং ওয়ার্ডে জাহানারা হাকিম (স্বশিক্ষিত), তানভীর কবির (বিএসএস), মোঃ আতিকুর রহমান ভুট্ট (৮ম শ্রেণী), মোঃ আলাউদ্দিন ভুঁইয়া (বিএসসি), মোঃ আলী হোসেন আলা (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন) মোঃ জীবন খান (স্বশিক্ষিত), মোহাম্মদ মিজানুর রহমান (এইচএসসি), রফিকুল ইসলাম বাবু (এইচএসসি), হুমায়ুন কবির (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন)। ৮নং ওয়ার্ডে মোঃ উজ্জল হোসেন (এসএসসি), মোঃ দেলোয়ার হোসেন খোকন (এইচএসসি), মোঃ মহসিন ভুঁইয়া (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মোঃ শওকত হোসেন (উচ্চ মাধ্যমিক), মোঃ সাগর প্রধান (স্বশিক্ষিত), মোঃ সোহেল রানা (স্নাতক), মোহাম্মদ গাজী সেলিম (এসএসসি), রুহুল আমিন (এইচএসসি), সালাউদ্দিন আহমেদ (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন)। ৯নং ওয়ার্ডে ইস্রাফিল প্রধান (৮ম শ্রেণী), মোঃ আমিনুল ইসলাম আপ্তাব (এইচএসসি), মোঃ জামাল উদ্দিন রুমি (এসএসসি), মোঃ বিল্লাল হোসেন (৮ম শ্রেণী), মোঃ রোকশত আলী (৪র্থ শ্রেণী), মোঃ শাহ জালাল (স্বশিক্ষিত), মোঃ সামছুল আলম বাচ্চু (দশম শ্রেণী), সিরাজুল ইসলাম (৫ম শ্রেণী), মোঃ সুজন আলী (এইচএসসি), মোঃ সেলিম প্রধান (বিএসসি), মোহাম্মদ মহিউদ্দিন সরকার (বিকম)। ১০ নং ওয়ার্ডে ইফতেখার আলম খোকন (৮ম শ্রেণী), কামরুল হুদা (অক্ষরজ্ঞান সম্পন্ন), মোঃ কাজী নাজমুল ইসলাম (আলিম), মোঃ খাজা মামুন (স্বশিক্ষিত), মোঃ মহিউদ্দিন ভুইয়া (৮ম শ্রেণী), মোঃ মোহর আলী (স্বশিক্ষিত), মোহাম্মদ লিয়াকত আলী (এসএসসি), সালাউদ্দিন (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), সিরাজ খান (এইচ এস সি), হাবিব তৌহিদ মোহাম্মদ (৮ম শ্রেণী)। ১১নং ওয়ার্ডে মোঃ অহিদুল ইসলাম (এসএসসি), মোঃ ওমর খৈয়াম চঞ্চল (৮ম শ্রেণী), মোঃ জমসেদ আলী (ঝন্টু) (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন)। ১২নং ওয়ার্ডে জিল্লুর রহমান চঞ্চল (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মোঃ নাঈম হোসেন (বিবিএস), মোহাম্মদ শওকত হাসেম (৮ম শ্রেণী)। ১৩নং ওয়ার্ডে ফরিদ উদ্দিন আহমেদ রিপন (দশম শ্রেণী), মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ (বিএ), মোঃ রবিউল হোসেন (স্বশিক্ষিত), মোঃ সাখাওয়াত হোসেন সুমন (স্বশিক্ষিত) শাহ ফয়েজ উল্লাহ (এমবিএ)। ১৪ নং ওয়ার্ডে মনিরুজ্জামান মনির (স্বশিক্ষিত), মোঃ শওকত হোসেন (৪র্থ শ্রেণী), মোঃ শফি উদ্দিন প্রধান (৮ম শ্রেণী), শিশির কুমার চক্রবর্তী (বিকম)। ১৫নং ওয়ার্ডে অসিত বরণ বিশ্বাস (উচ্চ মাধ্যমিক), আজহার হোসেন (স্নাতক), আল মামুন খান (এইচএসসি), জি এম আরমান (স্বশিক্ষিত), মিলন কুমার দাস (৫ম শ্রেণী), আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন)। ১৬নং ওয়ার্ডে ওবায়েদ উল্লাহ (স্নাতক), মোঃ আকরাম (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মোঃ আলামিন প্রধান (স্বশিক্ষিত), মোঃ নাজমুল আলম (এস এস সি), মোঃ রিয়াদ হাসান (এস এস সি), মোঃ সাইদুল ইসলাম (বি এস এস), সৈয়দ ওমর খালেদ এপন (স্বশিক্ষিত)। ১৭নং ওয়ার্ডে মিনহাজুল কাদির (এম বি এ), মোঃ আব্দুল করিম (স্বশিক্ষিত)। ১৮নং ওয়ার্ডে এস এম নিজাম উদ্দিন (স্বশিক্ষিত), মোঃ কামরুল হাসান মুন্না (বিএ), মোঃ মকছুদুর রহমান (বিএ), মোঃ কবির হোসাইন (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন)। ১৯নং ওয়ার্ডে ফয়সাল মোঃ সাগর (এইচএসসি), মাসুদ উর রহমান (উচ্চ মাধ্যমিক), মোঃ মোখলেছুর রহমান চৌধুরী (স্বশিক্ষিত)। ২০নং ওয়ার্ডে গোলাম নবী মুরাদ (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), জাহাঙ্গীর (৬ষ্ঠ শ্রেণী), মোঃ সোহেল করিম রিপন (স্বশিক্ষিত), মোঃ হাসান মাসুম মিয়া (৯ম শ্রেণি), মোঃ হোসেন মিয়া (অক্ষরজ্ঞানসম্পন), শাহেন শাহ আহমেদ (৫ম শ্রেণী), হাজী মোঃ আওলাদ হোসেন (৬ষ্ঠ শ্রেণী)। ২১নং ওয়ার্ডে আব্দুল রশিদ (অক্ষরজ্ঞান), কাজী রেদওয়ানুল হক মামুন (দাখিল), নুর মোহাম্মদ পনেছ (অক্ষরজ্ঞানসম্পন), ফকির উল্লাহ (স্বশিক্ষিত), মোঃ আলী আজহার তৌফিক (এইচএসসি), মোঃ খোরশেদ আলম (স্বশিক্ষিত), মোঃ নুর হোসেন (অক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন), মোঃ হান্নান সরকার (স্বশিক্ষিত)। ২২নং ওয়ার্ডে কাজী সহিদ আহাম্মদ (৮ম শ্রেণী), নুর মোহাম্মদ (এসএসসি), মোঃ শাহ আলম (অক্ষরজ্ঞানসম্পন) সুলতান আহমেদ ভুইয়া (৮ম শ্রেণী)। ২৩নং ওয়ার্ডে আবুল কাউছার (বিবিএ), মোঃ নুরুল ইসলাম (অক্ষরজ্ঞানসম্পন), মেঃ হান্নান (৮ম শ্রেণী), সাইফুদ্দিন আহমেদ (এস এস সি)। ২৪নং ওয়ার্ডে আনোয়ারুল আলম রিপন (এলএলএম), আব্দুস সাত্তার (৫ম শ্রেণী), আশিক আহমেদ (বিএ), ফয়সাল আহমেদ (অক্ষরজ্ঞানসম্পন), মো. শাহানাল মিয়া (স্বাক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন), মোঃ আফজাল হোসেন (এসএসসি), মোঃ শাহনেওয়াজ আসাদ (অক্ষরজ্ঞানসম্পন), মোঃ শাহীন ইসলাম (৮ম শ্রেণী), হাজী মোঃ আলী (অক্ষরজ্ঞানসম্পন)। ২৫নং ওয়ার্ডে মোশারফ হোসেন (স্বশিক্ষিত), মোঃ এনায়েত হোসেন (অক্ষরজ্ঞান), মোঃ সাইদুর রহমান লিটন (অক্ষরজ্ঞান)। ২৬নং ওয়ার্ডে মোঃ মোজাম্মেল হক (অক্ষরজ্ঞানসম্পন), মোঃ সামসুজ্জোহা (স্বশিক্ষিত)। ২৭নং ওয়ার্ড আলমগীর মিয়া (এসএসসি), ইমরান চৌধুরী (এইচএসসি), কামরুজ্জামান বাবুল (৮ম শ্রেণী), সিরাজুল ইসলাম (৮ম শ্রেণী)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড ১ আসুরা বেগম (৫ম শ্রেণী), নাজমা বেগম (৮ম শ্রেণী), মাকসুদা মোজাফ্ফর (৮ম শ্রেণী), শামীম আরা লাভলী (স্বশিক্ষিত), শাহনাজ পারভীন (৮ম শ্রেণী)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড-২ নাজমা আক্তার (অক্ষরজ্ঞানসম্পন), মনোয়ারা বেগম (এসএসসি), ডলি আক্তার (৫ম শ্রেণী), সুমি বেগম (৮ম শ্রেণী)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৩ আলেয়া বেগম (৮ম শ্রেণী), আয়শা আক্তার, (বিএসএস), রেহানা পারভীন (৯ম শ্রেণী), শিউলি আক্তার (মাধ্যমিক), সেলিনা আক্তার (৮ম শ্রেণী)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৪ মিনোয়ারা বেগম (স্বশিক্ষিত), নূপুর বেগম (৮ম শ্রেণি), শিউলী আক্তার (৮ম শ্রেণী)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৫ দিলারা মাসুদ ময়না (বিএ), পরি রাণী সরকার (বিএসএস), শারমিন (স্বশিক্ষিত), সকিনা বেগম (এইচএসসি)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৬ আফসানা আফরোজ (এসএসসি), খোদেজা খানম নাসরীন (এইচএসসি), ফারজানা হক (এসএসসি)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৭ এ্যাডভোকেট জাসমীন আহমেদ (বিএ,এলএলবি), ফরিদা বেগম (দশম শ্রেণী), রাবেয়া আমীর পান্না (স্বশিক্ষিত), রেজওয়ানা হক (বিকম,সম্মান, এম কম), শামিমা আক্তার সুমি (দাখিল), শিউলী নওশাদ (অক্ষরজ্ঞানসম্পন)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৮ ইসরাত জাহান খান (বিএসএস), ডলি বেগম (৮ম শ্রেণী), রিনা খান (অক্ষরজ্ঞানসম্পন), শাওন অংকন (অক্ষরজ্ঞানসম্পন)। সংরক্ষিত ওয়ার্ড-৯ তাসলিমা বেগম (অক্ষরজ্ঞানসম্পন), শাহী ইয়াৎ জাহান (এইচএসসি), সানিয়া আক্তার (৯ম শ্রেণী), হোসনেয়ারা (এসএসসি)। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সভাপতি এবি সিদ্দিক বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থীদের অনেকই স্বশিক্ষিত বা অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শিক্ষিত লোকগুলো এগিয়ে আসছে না। এগিয়ে না আসার কারণ হলো ভোটের সঠিক প্রয়োগ হচ্ছে না এবং তারা মানুষের দয়ার পাত্র হতে চায় না। তারা নির্বাচিত হয়ে আসতে চায় যথাযথভাবে। কিন্তু বর্তমানে কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যবসায়ী ও অশিক্ষিত বা অর্ধশিক্ষিত বা স্বল্প শিক্ষিক, এরা প্রচুর পয়সার মালিক। এরা টাকা-পয়সা দিয়ে কাউন্সিলর হয়। কাউন্সিলর হয়ে সেই টাকা-পয়সা উদ্ধারের জন্য অবৈধভাবে টাকা-পয়সা উঠিয়ে নেয়। সব চেয়ে ব্যবসা-বাণিজ্যের দিকে মনোযোগ থাকে। তাদের উপর দায়িত্ব যে কাঁধে পড়েছে সেই দিকে সময় দিতে পারে না। সুতরাং এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমরা মনে করি কাউন্সিলর কমপক্ষে এসএসসি’র নিচে হওয়া উচিত নয়। এটার জন্য আমরাই দায়ী। কারণ আমাদের শিক্ষিত লোকগুলো ঝামেলার জন্য নির্বাচনে আসতে চায় না।
×