ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইএসয়ের বিরুদ্ধে রুশ ও তালেবান স্বার্থ অভিন্ন মন্তব্যে দিল্লী উদ্বিগ্ন

রাশিয়াকে সতর্ক করল ভারত

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

রাশিয়াকে সতর্ক করল ভারত

ভারত তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় লিপ্ত হওয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়া ও ইরানের মতো দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে। এ দুটি দেশ তালেবানের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনায় মিলিত হয়ে আফগানিস্তানের বিষয়ে। তাদের মূল অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছে বলে মনে হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। নয়াদিল্লীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তালেবানকে অবশ্যই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতা পরিত্যাগ করতে হবে, আল-কায়েদার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণে রাজি হতে হবে এবং গত ১৫ বছরে অর্জিত সুফল নিঃশেষ করে দেয় এমন কিছু করা চলবে না। এটি ভারতের সবচেয়ে পুরনো সামরিক অংশীদারের উদ্দেশে প্রচারিত এক অস্বাভাবিক সতর্কবাণী। যদিও রাশিয়া মনোক্ষুণœ হয়, ভারত এমন আচরণ না করাই বাঞ্ছনীয় মনে করে, তবু দিল্লী মনে করে, আফগানিস্তানে মস্কোর সর্বশেষ পদক্ষেপ গুরুতর গোলযোগ উস্কে দিতে পারে। মুখপাত্র ভারত ও রাশিয়ার বিশেষ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন অধোগতির প্রবণতা দেখতে পাই না। কিন্তু সম্প্রতিক ঘটনায় ভারত যে বিচলিত হয়েছে তা স্পষ্ট। গত সপ্তাহান্তে রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিডস্কি রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জমির কাবুলভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তালেবান ও আমাদের স্বার্থ অভিন্ন। রাষ্ট্রদূত আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ভাষণ দিচ্ছিলেন। রাশিয়া এখন বলছে, সে তালেবানকে একটি ‘জাতীয় সামরিক-রাজনৈতিক আন্দোলন’ বলে গণ্য করে কিন্তু ইসলামিক স্টেটকে এক বৈশ্বিক জিহাদী আন্দোলন বলে মনে করে, যা রাশিয়ার ‘নিকট বিদেশ’Ñ মধ্য এশিয়ায় অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এতে দেখা যায়, ভারত বিশ্বনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং বন্ধুরা আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মতো আচরণ করবে বলে প্রত্যাশা করছে। এমনকি ইরানও আইএসকে আফগান অঞ্চলের বাইরে রাখতে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ইরানের এক বার্তা সংস্থার খবর, আন্তর্জাতিক ইসলামী ঐক্য সম্পর্কিত এক সম্মেলনে যোগ দিতে তালেবানের মতো মধ্যপন্থী নেতাদের তেহরান আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে এক প্রভাবশালী ইরানী ধর্মীয় নেতা চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ইরান সব সময়েই তালেবান আন্দোলনের কোন কোন অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে। ইরান তালেবানের সঙ্গে কোন সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে। কিন্তু সম্প্রতি আফগান কর্মকর্তারা সিনিয়র তালেবান কমান্ডারদের পরিবার পরিজনকে কেবল আশ্রয় দানের দায়েই নয়, কমান্ডারদের অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহের দায়েও তেহরানকে অভিযুক্ত করে। এতে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া ও তালেবানের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে বলে রুশ রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের পর আফগানিস্তান ও রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রতি সম্মান দেখাতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানায়। এরও আগে রুশ কর্মকর্তারা তাজিকিস্তানে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বলে খবর বেরলে সতর্কাবস্থা দেখা দেয়। যদি এটিই তালেবান ও দায়েশের (আইএস) বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান হয়, তা হলে সেটি ভারতের জন্য সমস্যার কারণ হবে। তবে এটি পাকিস্তানের জন্য সুখবরই হবে। রাশিয়ার অবস্থান মেনে নেয়া কাবুলের জন্য কঠিনই হবে, কারণ কাবুল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যদি কাবুলের অন্যতম সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী রাশিয়া তৃতীয় শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাবুলের প্রধান শত্রুর সঙ্গে বাস্তবেই চুক্তি করে, তবে তা তালেবান ও তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে বিশ্ব জোটকে দুর্বল করে দেবে। এটি মেনে নেয়া ভারত এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেও কঠিন হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের বিরুদ্ধে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়ছে। ভারতে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত শাইদা আবদালি বলেন, আমরা চাই ভারত রাশিয়াকে এর অবস্থান স্পষ্ট করতে বলুক। ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও মনে করেন, আফগানিস্তান আইএস নয়, তালেবানই বড় অশুভ শক্তি। রাশিয়াকে সতর্ক করল ভারত আইএসয়ের বিরুদ্ধে রুশ ও তালেবান স্বার্থ অভিন্ন মন্তব্যে দিল্লী উদ্বিগ্ন ভারত তালেবানের সঙ্গে আলোচনায় লিপ্ত হওয়ার বিরুদ্ধে রাশিয়া ও ইরানের মতো দেশগুলোকে সতর্ক করে দিয়েছে। এ দুটি দেশ তালেবানের সঙ্গে রাজনৈতিক আলোচনায় মিলিত হয়ে আফগানিস্তানের বিষয়ে। তাদের মূল অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছে বলে মনে হয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইনের। নয়াদিল্লীতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বিকাশ স্বরূপ বৃহস্পতিবার এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তালেবানকে অবশ্যই আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিধি নিষেধ মেনে চলতে হবে, সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতা পরিত্যাগ করতে হবে, আল-কায়েদার সঙ্গে সব সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে, গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণে রাজি হতে হবে এবং গত ১৫ বছরে অর্জিত সুফল নিঃশেষ করে দেয় এমন কিছু করা চলবে না। এটি ভারতের সবচেয়ে পুরনো সামরিক অংশীদারের উদ্দেশে প্রচারিত এক অস্বাভাবিক সতর্কবাণী। যদিও রাশিয়া মনোক্ষুণœ হয়, ভারত এমন আচরণ না করাই বাঞ্ছনীয় মনে করে, তবু দিল্লী মনে করে, আফগানিস্তানে মস্কোর সর্বশেষ পদক্ষেপ গুরুতর গোলযোগ উস্কে দিতে পারে। মুখপাত্র ভারত ও রাশিয়ার বিশেষ সম্পর্কের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন অধোগতির প্রবণতা দেখতে পাই না। কিন্তু সম্প্রতিক ঘটনায় ভারত যে বিচলিত হয়েছে তা স্পষ্ট। গত সপ্তাহান্তে রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতিডস্কি রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জমির কাবুলভের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, দায়েশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তালেবান ও আমাদের স্বার্থ অভিন্ন। রাষ্ট্রদূত আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষে ভাষণ দিচ্ছিলেন। রাশিয়া এখন বলছে, সে তালেবানকে একটি ‘জাতীয় সামরিক-রাজনৈতিক আন্দোলন’ বলে গণ্য করে কিন্তু ইসলামিক স্টেটকে এক বৈশ্বিক জিহাদী আন্দোলন বলে মনে করে, যা রাশিয়ার ‘নিকট বিদেশ’Ñ মধ্য এশিয়ায় অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। এতে দেখা যায়, ভারত বিশ্বনেতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং বন্ধুরা আন্তর্জাতিক রীতিনীতি মতো আচরণ করবে বলে প্রত্যাশা করছে। এমনকি ইরানও আইএসকে আফগান অঞ্চলের বাইরে রাখতে তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ইরানের এক বার্তা সংস্থার খবর, আন্তর্জাতিক ইসলামী ঐক্য সম্পর্কিত এক সম্মেলনে যোগ দিতে তালেবানের মতো মধ্যপন্থী নেতাদের তেহরান আমন্ত্রণ জানিয়েছে বলে এক প্রভাবশালী ইরানী ধর্মীয় নেতা চলতি সপ্তাহে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ইরান সব সময়েই তালেবান আন্দোলনের কোন কোন অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছে। ইরান তালেবানের সঙ্গে কোন সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করে। কিন্তু সম্প্রতি আফগান কর্মকর্তারা সিনিয়র তালেবান কমান্ডারদের পরিবার পরিজনকে কেবল আশ্রয় দানের দায়েই নয়, কমান্ডারদের অত্যাধুনিক অস্ত্র সরবরাহের দায়েও তেহরানকে অভিযুক্ত করে। এতে আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতা বিনষ্ট হচ্ছে। আইএসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া ও তালেবানের অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে বলে রুশ রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যের পর আফগানিস্তান ও রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্কের প্রতি সম্মান দেখাতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানায়। এরও আগে রুশ কর্মকর্তারা তাজিকিস্তানে তালেবান প্রতিনিধিদের সঙ্গে গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন বলে খবর বেরলে সতর্কাবস্থা দেখা দেয়। যদি এটিই তালেবান ও দায়েশের (আইএস) বিষয়ে রাশিয়ার অবস্থান হয়, তা হলে সেটি ভারতের জন্য সমস্যার কারণ হবে। তবে এটি পাকিস্তানের জন্য সুখবরই হবে। রাশিয়ার অবস্থান মেনে নেয়া কাবুলের জন্য কঠিনই হবে, কারণ কাবুল এক দশকেরও বেশি সময় ধরে তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। যদি কাবুলের অন্যতম সমর্থক ও অস্ত্র সরবরাহকারী রাশিয়া তৃতীয় শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে কাবুলের প্রধান শত্রুর সঙ্গে বাস্তবেই চুক্তি করে, তবে তা তালেবান ও তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতার বিরুদ্ধে বিশ্ব জোটকে দুর্বল করে দেবে। এটি মেনে নেয়া ভারত এমন কি যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষেও কঠিন হবে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র তালেবানের বিরুদ্ধে ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে লড়ছে। ভারতে নিযুক্ত আফগান রাষ্ট্রদূত শাইদা আবদালি বলেন, আমরা চাই ভারত রাশিয়াকে এর অবস্থান স্পষ্ট করতে বলুক। ভারতের নিরাপত্তা কর্মকর্তারাও মনে করেন, আফগানিস্তান আইএস নয়, তালেবানই বড় অশুভ শক্তি।
×