ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৬

সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ বিজয় দিবসে সমগ্র জাতিকে ঐক্যবদ্ধভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন দেশের খ্যাতনামা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিরা। শুক্রবার সকালে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় র‌্যালির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান তারা। ‘ঐক্য গড়ো বাংলাদেশ, সাম্প্রদায়িকতা হবে শেষ’ স্লোগানে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এই র‌্যালির আয়োজন করে। র‌্যালিটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে দোয়েল চত্বর দিয়ে কদম ফোয়ারা হয়ে শাহবাগে যায়। শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে এসে শেষ হয়। র‌্যালির উদ্বোধন করেন নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার। তিনি বলেন, আজকের বিজয় কেবল রাজনৈতিক বা ভৌগোলিক বিজয় নয়, এই বিজয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের, হিংসার বিরুদ্ধে অহিংসার, দুরবস্থার বিরুদ্ধে সুস্থ ও সুন্দরের বিজয়। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পরই সাম্প্রদায়িকতা এদেশে মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। তাই সাম্প্রদায়িকতা মোকাবেলা করার জন্য অসাম্প্রদায়িকতা চেতনাকে বুকে ধারণ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতার সকল স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ করতে হবে। সারাদেশে আজও স্বাধীনতার স্মৃতি ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে। সেগুলো যথাযথ সংরক্ষণ করা প্রয়োজন যাতে করে নতুন প্রজন্ম জানতে পারে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার জন্য কতটা মূল্য দিতে হয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, শুধু পাকিস্তানের পরিবর্তে বাংলাদেশ কিংবা চাঁদ তারা পতাকার পরিবর্তে লাল সবুজের পতাকার জন্য ত্রিশ লাখ মানুষ জীবন দেয়নি। আমরা চেয়েছিলাম এমন একটি বাংলাদেশ যে বাংলাদেশ ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করবে। প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে এবং এই লক্ষ্যেই বঙ্গবন্ধু নেতৃত্বেই এদেশ স্বাধীন হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য পুরো জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু এখন সেই পরাজিত শক্তি আজও আমাদের কপালে সাম্প্রদায়িকতার কালিমা লিপ্ত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে
×