ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

জানালেন অর্থমন্ত্রী

পদ্মা সেতুসহ দশ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সভরেন বন্ড ছাড়া হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬

পদ্মা সেতুসহ দশ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে সভরেন বন্ড ছাড়া হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুসহ দশ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে পাঁচ বিলিয়ন ডলারের সভরেন বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে এ বন্ড ছাড়া হবে। এজন্য একটি তহবিল গঠন করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সচিবালয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর এসকে সুর চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন আমার কাছে জমা দিয়েছে। সেটি ভালমতো পর্যবেক্ষণের পর যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মন্ত্রিসভার বৈঠকে তোলা হবে। যত দ্রুত সম্ভব সভরেন বন্ড ছেড়ে সে অর্থ বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের বন্ড ছাড়তে হলে পৃথক একটি আইন করার প্রয়োজন রয়েছে। আগামী মাসেই বিষয়টি অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিপরিষদ সভায় তোলা হবে। এ ফান্ড সর্বোচ্চ পাঁচ বিলিয়ন ডলার বা ৪০ হাজার কোটি টাকার হতে হতে পারে। তবে শুরু হবে দুই বিলিয়ন ডলার দিয়ে। সরকারের মেগা প্রকল্পে বিশেষ করে পদ্মা সেতু প্রকল্পে এ বন্ডের অর্থ ব্যবহার করা হবে। তিনি আরও বলেন, এ ফান্ড ম্যানেজমেন্ট করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পৃথক ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থাকবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা বিদেশ থেকে যে সুদহারে ঋণ নেই তার চেয়ে বেশি সুদহারে এ ঋণ নেয়া হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকে বর্তমানে ৩২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডালারের রিজার্ভ রয়েছে। সেখান থেকে এ বন্ড ছাড়া হবে। রিজার্ভের অর্থ এভাবে ফেলে না রেখে তা উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করতে সরকার এ ধরনের বন্ড ছেড়ে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এদিকে, এর আগে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন গ্রামীণফোনের নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিটার বি ফারবার্গ। এ সময় গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অন্য টেলিকম কোম্পানির মতো ট্যাক্স কমানোর দাবি তোলেন। একই সঙ্গে বিটিআরসির অনেক নির্দেশনার বিষয়ে অর্থমন্ত্রীকে অবগত করেন। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণফোন ৪০ শতাংশ হারে সবচেয়ে বেশি কর্পোরেট ট্যাক্স দেয়। কেউ কেউ ৪২ শতাংশ ও ২৭ শতাংশ হারেও কর্পোরেট ট্যাক্স দেয়। তরঙ্গের জন্য কোম্পানিগুলো যে টাকা দেয় তা সরকারী কোষাগারেই যায়। এর ওপর আবার ট্যাক্স কেন বসানো হলো। বিষয়টি আমি বিবেচনা করব। সাক্ষাতকালে গ্রামীণফোনের সিইও অর্থমন্ত্রীকে দুটি সমস্যার কথা জানান, যার মধ্যে এ্যাপসের দাম ৫০ টাকার বেশি হতে পারবে না বলে বিটিআরসির নির্দেশনা এবং যে টাকা দিয়ে কোম্পানিটি তরঙ্গ কিনেছে তার ওপর ৫ শতাংশ হারে ট্যাক্স আরোপ। এ সময় অর্থমন্ত্রীর কাছে এসব নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানান প্রতিষ্ঠানটির সিইও।
×