ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করলেন বীর প্রতীক আবদুল মান্নান

চট্টগ্রামের রণাঙ্গনে শত শত পাকসেনা হত্যা করি

প্রকাশিত: ০৫:৩৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রামের রণাঙ্গনে শত শত পাকসেনা হত্যা করি

শংকর লাল দাশ, গলাচিপা (পটুয়াখালী) ॥ ‘একাত্তরের পঁচিশে মার্চ রাত থেকে একনাগাড়ে তিন রাত চার দিন চট্টগ্রামের দুটি রণাঙ্গনে পাকিস্তানী সেনাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করি। তখন ক্যান্টনমেন্টের অভ্যন্তরে আটকে পড়া বারো শ’ বাঙালী সৈনিকের জীবন বাঁচিয়েছি। নিজ হাতে হত্যা করি শত শত পাকসেনা। একমাত্র কুমিরা ব্রিজেই হত্যা করি কয়েক শ’ পাকসেনাকে। যুদ্ধের এ সময়টিতে ছিল না ক্ষুধা-তৃষ্ণা কিংবা নিদ্রা। পাকসেনা নিধনযজ্ঞে কখন যে তিন দিন পেরিয়ে গেছে তা আজও বুঝে উঠতে পারি না। এখনও কানে বাজে পাকসেনাদের আর্তচিৎকার আর মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়োল্লাস।’- মহান বিজয়ের মাসে যুদ্ধদিনের ভয়াল স্মৃতি জনকণ্ঠের কাছে এভাবেই বর্ণনা করেন মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বিখ্যাত কুমিরা যুদ্ধে অংশ নেয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার (অব) আবদুল মান্নান। কুমিরা যুদ্ধসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কারণে তিনি অর্জন করেছেন ‘বীরপ্রতীক’ খেতাব। সমগ্র পটুয়াখালী জেলায় তিনিই একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা। সাহসী মুক্তিযোদ্ধা হাবিলদার (অব) আবদুল মান্নানের বাড়ি পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরের দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের নিতৃত গ্রাম পূর্ব চাঁদপুরায়। গ্রামের বাড়িতেই স্ত্রী আর ছেলেমেয়েদের নিয়ে ৭৫ বছর বয়সী এ মুক্তিযোদ্ধা অনেকটা নীরবে দিন কাটান। যুদ্ধদিনের কথা ওঠাতেই আবেগোপ্লুত হয়ে পড়েন এ যোদ্ধা। এখনও যেন রক্তে বইছে একাত্তরের সেই উন্মাদনা। পরাধীনতার শিকল ছিঁড়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার গর্বে গর্বিত এ মুক্তিযোদ্ধার আজও মনোজগতের পুরোটা জুড়ে আছে যুদ্ধদিনের টগবগে তারুণ্যের স্মৃতি। চাকরি এবং যুদ্ধে অংশ নেয়ার সে স্মৃতি তুলে ধরে বলেন, পরিবারে ছোট থেকে অভাবে বড় হয়ে উঠেছি। অনেকগুলো ভাইবোন। এসএসসি পাসের পরে আর পড়াশোনার সুযোগ হয়নি। সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিতে হয়েছে। জীবিকার সন্ধানে তাই ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে যোগ দেই। প্রথমেই ট্রেনিং ও পোস্টিং ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। সেখানে থাকলেও দেশের রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ ছিল। খোঁজখবর নিতাম দেশের অবস্থার। দেশ যে অনিবার্যভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীনতার দিকে যাচ্ছিল, তা সেখানকার অন্যান্য বাঙালী সৈনিকের মতো আমিও বুঝতে পারছিলাম। এরমধ্যে সেনিক থেকে হাবিলদার পদে পদোন্নতি পেলাম। হঠাৎ খবর পেলাম ১৯৭০-এর ১২ নবেম্বরের রাতে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে গোটা এলাকা বিরানভূমিতে পরিণত হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ছুটি নিয়ে দেশে চলে আসি। দেশে এসে রাজনীতির খবর পেয়ে আর চাকরিতে যোগ দিতে মন চাইছিল না। কিন্তু সাংসারিক অভাব-অনটনের কারণে আবার যোগ দিতে বাধ্য হলাম। ডিসেম্বরের শেষদিকে এবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যোগ দিলাম। কঠোর নিষেধাজ্ঞার বেড়াজাল ছিন্ন করে একাত্তরের সাত মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ শুনলাম। ভাষণে এবার স্পষ্টত বুঝে নিলাম অনিবার্য পরিণতি স্বাধীনতা। নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ভাষণ শোনায় সেদিন রাতেই পশ্চিমা সেনাদের সঙ্গে তীব্র বিরোধে জড়িয়ে পড়লাম। পরের দিন সকালে হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় শাস্তিমূলক ট্রান্সফার লেটার। চলে গেলাম চট্টগ্রাম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে। সেখানেও খুব একটা ভাল ছিলাম না। পশ্চিমা সেনারা বাঙালী সেনাদের সব সময় সন্দেহের চোখে দেখত। নজরবন্দী রাখার চেষ্টা করত। আমরাও সময়-সুযোগ হলেই বাঙালী সেনারা মেতে উঠতাম রাজনৈতিক আলোচনায়। উত্তেজনার মাঝে এভাবে দিনগুলো কেটে যাচ্ছিল। বীরপ্রতীক খেতাব ছাড়াও হাবিলদার (অব) আবদুল মান্নান মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের কারণে সেনাবাহিনী থেকে বেশ কয়েকটি পদক লাভ করেন। হাতে নিয়ে পদকগুলো দেখানোর ফাঁকে আবদুল মান্নান যুদ্ধে সক্রিয় জড়িয়ে পড়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, একাত্তরের পঁচিশে মার্চ সন্ধ্যা থেকেই লক্ষ্য করছিলাম পশ্চিমা সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধি। রাত যত বাড়ে ততই ওদের চলাফেরায় সন্দেহ বাড়ে। রাত বারোটার দিকে হঠাৎ খবর পেলাম চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে বাঙালী সৈনিকদের গণহত্যা করার পরিকল্পনা হচ্ছে। ওই সময়ে ক্যান্টনমেন্টে বারো শ’ বাঙালী সেনা ছিল। গণহত্যার এ গোপন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে পশ্চিম পাকিস্তানের বেলুচ ও পাঞ্জাব রেজিমেন্টের কয়েক ডিভিশন সেনা অত্যন্ত নীরবে ক্যান্টনমেন্টের চারদিকে অবস্থান নেয়। আমিও প্রায় ২শ’ বাঙালী সেনা নিয়ে রাত একটার দিকে ক্যান্টনমেন্টের পশ্চিমে পাহাড়ে অবস্থান নেই। এরই মধ্যে পাহাড়ে বসেই ওয়্যারলেসে ঢাকায় পাকিস্তানী সেনাদের গণহত্যার খবর পেয়ে যাই। এ খবরে রক্তে যুদ্ধের বান ডাকে। সেনাদের নির্দেশ দেই যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। শুরু হয় প্রচ- সংঘর্ষ। যে কোনভাবে বাঙালী সেনাদের মুক্ত করাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। রাইফেল আর স্টেনগানের ব্রাশবায়ারে মুহূর্তে একের পর এক খানসেনাদের লুটিয়ে পড়তে দেখেছি আর যুদ্ধ বিজয়ের আনন্দে লাফিয়ে উঠেছি। রাত একটা থেকে পাঁচটা পর্যন্ত একনাগাড়ে যুদ্ধ চলে। চার ঘণ্টার এ যুদ্ধে আমাদেরও বেশ কয়েকজন সৈনিক শহীদ হন। পাকিস্তানী সেনা মারা যায় কয়েক শ’। ভোরের সূর্য উঠতে বুঝতে পারি আমাদের গোলাবারুদ ফুরিয়ে এসেছে। অনেকটা হতভম্ব হয়ে পড়ি। পশ্চাদপসারণ অনিবার্য বুঝতে পারি। এরই মধ্যে সঙ্গী সুবেদার হেলাল সৌভাগ্যের বরপুত্র হয়ে সামনে এসে দাঁড়ান। তার অধীনে তখন প্রায় চার শ’ বাঙালী সেনা। রয়েছে বিপুল গোলাবারুদ। সুবেদার হেলালের সঙ্গে পরামর্শ করে তাকে পাহাড়তলীর আমবাগানে পাঠিয়ে দেই। তিনি সেখানে শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন। সুবেদার হেলাল আমাকে কিছু সৈনিক ও গোলাবারুদ দেন। এতে আমারও শক্তি বৃদ্ধি হয়। শুরু হয় আবারও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, যা লাগাতার দুদিন ধরে চলে। এরই এক ফাঁকে ক্যাপ্টেন পরবর্তীতে মেজর জেনারেল সুবিদ আলী ভূঁইয়া কোম্পানি কমান্ডার হিসেবে যুদ্ধের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। এতে যুদ্ধের চেহারা পাল্টে যায়। যুদ্ধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পাকিস্তানী সেনারা। মুক্ত হয় আমাদের বাঙালী সৈনিকরা। শুরুতে এ বিজয় আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়। ২৮ মার্চ সকালে জানতে পারি চট্টগ্রাম থেকে আরও কয়েক ডিভিশন পাকিসেনা পাহাড়তলীর দিকে মার্চ করেছে। কোম্পানি কমান্ডার আমাদের নির্দেশ দিলেন পাকসেনাদের প্রতিরোধের। নায়েব সুবেদার জালাল, নায়েব সুবেদার হাবিব ও আমার নেতৃত্বে ২শ’ বাঙালী সেনা পাকসেনাদের গতিরোধের উদ্দেশ্যে কুমিরা ব্রিজের দু’পাড়ে অবস্থান নেই। আমাদের সেনাদের দুঃসাহসী কয়েকটি ছোট গ্রুপ নিজেদের জীবনবাজি রেখে কুমিরা ব্রিজের ওপর বোমা লুকিয়ে রেখে আসে। আমরা বেশ দূরে নিরাপদে অবস্থান নেই। দুপুর দুটোর দিকে পাকিস্তানী সেনাভর্তি পাঁচটি গাড়ি ব্রিজের ওপর উঠতেই ঘটে বোমার বিকট বিস্ফোরণ। মুহূর্তে উড়ে যায় পাকসেনাদের গাড়িগুলো। কয়েক সেকেন্ডে অন্তত এক-দেড় শ’ পাকিস্তানী সেনা মারা যায়। রক্তে লাল হয়ে যায় নদীর পানি। পাকসেনাদের যেসব গাড়ি ব্রিজে উঠতে পারেনি সেগুলো আমাদের এ্যাম্বুশের মধ্যে আটকা পড়ে। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে নিরুপায় হয়ে পাকসেনারা ব্রিজের এক পাড়ে অবস্থান নিতে বাধ্য হয়। শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। বিকেল থেকে শুরু হয়ে সারারাত এ যুদ্ধ চলে। এ যুদ্ধে অন্তত এক হাজার পাকসেনা নিহত হয়েছিল। যুদ্ধের ভয়াবহতার কারণেই এ যুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে কুমিরার যুদ্ধ হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে। হাবিলদার আবদুল মান্নান জানান, এ যুদ্ধটি তার জীবনেও ইতিহাস হয়ে আছে। এ যুদ্ধে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়েছিলেন। ডাক্তাররা তার জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লাগাতার তিন রাত চার দিনের যুদ্ধের কারণে শরীর ছিল অত্যন্ত দুর্বল। চোখে ক্রমে ঝাপসা দেখছিলাম। কুমিরার যুদ্ধের শেষ রাতের ভোরের দিকে বুকের মাঝে স্টেনগান নিয়ে ঝোপের আড়ালে হঠাৎ ঝিমুনি দিয়েছিলাম। আকস্মিক অসর্তকতায় পাকিস্তানী সেনাদের ছোড়া একটি মর্টার শেল এসে পড়ে আমার সামনে। কানে প্রকট আওয়াজ আর আগুনের ফুলকি ছাড়া কিছু দেখিনি। কয়েক সেকেন্ডে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। কয়েকজন সঙ্গী আমাকে উদ্ধার করেন। দুদিন পর নিজেকে একটি গ্রামের ঘরের মেঝেতে আবিষ্কার করি। পাকিস্তানীদের ছোড়া মর্টার শেলে আমার বাঁ পা এবং বাঁ হাত ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। গ্রামের চিকিৎসকদের অব্যাহত প্রচেষ্টায় জীবন রক্ষা পেলেও চিরদিনের জন্য পঙ্গু হয়ে যাই। হাবিলদার (অব) আবদুল মান্নান শুধু বীরপ্রতীক নন, তিনি যুদ্ধপ্রতিবন্ধীও। অসীম সাহসিকতায় ভরপুর এ মানুষটি গুরুতর আহতাবস্থা নিয়েও থেমে থাকেননি। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা নিয়ে আবদুল মান্নান কোম্পানি কমান্ডারের অনুমতি নিয়ে সন্দীপ-লালমোহন ঘুরে ২০-২৫ দিন পর ফিরে আসেন বাড়ি। ঘরে তখন তাঁর মাত্র ছয় মাস আগে বিয়ে করে রেখে যাওয়া স্ত্রী। পরিবারে বাবা-মাসহ অন্য ভাইবোনরাও রয়েছেন। এরই মধ্যে ২৬ এপ্রিল পটুয়াখালী জেলা শহর হানাদার বাহিনী কবলিত হয়। শহর-গ্রাম সর্বত্র গড়ে ওঠে শান্তি কমিটি আর রাজাকার বাহিনী। তাঁর অবস্থান জেনে ফেলে শান্তি কমিটির দালালরা। তবে তার আগেই তিনি এলাকার ১০-১২ জন যুবককে সংগঠিত করে গড়ে তোলেন মুক্তিযোদ্ধাদের একটি গ্রুপ। নবপরিণীতা স্ত্রীকে ফেলে আহত শরীর নিয়েই সঙ্গীদের নিয়ে নেমে পড়েন মুক্তিযুদ্ধে। শুরুতে অস্ত্র বলতে একমাত্র নিজের রিভলবারটি। এ নিয়েই গ্রামে গ্রামে অপারেশন চালিয়ে অবস্থাপন্ন ব্যক্তিদের বেশ কয়েকটি বন্দুক ও ডাকাতদের কাছ থেকে কয়েকটি রাইফেল যোগাড় করেন। পরে যোগ দেন স্থানীয়ভাবে গড়ে ওঠা শাহজাহান ফারুকীর বাহিনীতে। পরে আরও কয়েকটি ছোট গ্রুপ একত্রিত হয়ে আমতলী, কালিশুরি, প্রতাপপুরসহ বেশ কয়েকটি যুদ্ধে অংশ নেন। শেষদিকে যোগ দেন পটুয়াখালী সাব-সেক্টরে। এদিকে, মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেয়ায় শান্তি কমিটির দালালরা তাঁর বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়। তাঁর খোঁজ বের করার জন্য শ্বশুর, চাচাশ্বশুর, ভাই, শ্যালকসহ বেশ কয়েকজনকে রাজাকাররা ধরে নিয়ে যায়। পটুয়াখালী জেলখানায় তাদের ওপর দিনের পর দিন চালানো হয় অকথ্য নির্যাতন। এর পরেও তিনি দমে যাননি বা পাকসেনাদের কাছে ধরা দেননি। অকুতোভয় সেনানীর মতো পুরো নয় মাস আহত শরীর নিয়ে পাকসেনাদের বিরুদ্ধে একের পর এক অংশ নিয়েছেন সশস্ত্র লড়াইয়ে। দেশ শত্রুমুক্ত হলে ফিরে যান আবার সেনাবাহিনীতে। কুমিরাসহ অন্যান্য যুদ্ধে অসম সাহসী ভূমিকা পালনের জন্য অর্জন করেন ‘বীরপ্রতীক’ খেতাব। আবদুল মান্নান বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ সমগ্র জাতির জীবনে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এতে অংশ নিতে পেরে আমি এবং আমার পরবর্তী প্রজন্ম গর্বিত। এ গর্ব নিয়েই আমি এ বাংলার মাটিতে ঘুমাতে চাই, যেখানে আর কোনদিন বর্গীরা হামলে পড়বে না।
×