ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বিএনপি নেতার হুমকি ॥ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬

বিএনপি নেতার হুমকি ॥ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ পেকুয়া শীলখালী ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মারধর ও লুটপাটের অভিযোগে মামলা করে চরম বেকায়দায় পড়েছেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক নাছির উদ্দিন বাদশা। মামলার আসামি বিএনপি নেতা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাদীকে প্রাণনাশসহ বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বাদী নাছির। জানা গেছে, নাছির উদ্দিন বাদশা বনবিভাগ থেকে বনায়নের অনুমতি নিয়ে পহরচাদা বনবিটের হারবাং মৌজায় বনভূমিতে নিজ উদ্যোগে কাঁটাতারের বেড়া, বনায়নসহ ভোগদখল করে আসছিল। ওই জমির ওপর কুনজর পড়ে চেয়ারম্যান নুরুল হোছাইনসহ তার বাহিনীর। বিভিন্ন সময় তারা দখলসহ চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সম্প্রতি নাছির উদ্দিন বাদশাকে বেধড়ক মারধর, বনায়নের চারাগাছ কর্তন, কাঁটাতারের বেড়া লুট ও সীমানা পিলার ভাংচুর করে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এ ব্যাপারে পেকুয়া থানায় মামলা রেকর্ডভুক্ত হয়। মামলার বাদী জানান, মামলার আসামি বিএনপি নেতা নুরুল হোছাইন আদালত থেকে জামিন পেয়ে বেপরোয়া হয়ে আমাকে ও মামলার সাক্ষীদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। ভিক্ষায় জীবন চলে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার নিজস্ব সংবাদদাতা, কেরানীগঞ্জ, ১৫ ডিসেম্বর ॥ স্বাধীনতার ৪৫ বছরেও সরকারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে পারেননি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ (৭৫)। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এ মুক্তিযোদ্ধার এখন জীবন চলে ভিক্ষার টাকায়। অভাব অনটনের সংসারে বিধবা এক মেয়ে আর নাতি। স্ত্রী গত হয়েছেন প্রায় ১০ বছর। মাঝে টুকটাক কাজ করলেও বয়সের কারণে এখন তাও সম্ভব হচ্ছে না। জীবনযুদ্ধে পরাজিত এই মুক্তিযোদ্ধা বাধ্য হয়ে দুই বছর যাবত কেরানীগঞ্জের কদমতলী গোলচত্বরে ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন। রশিদের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া গ্রামে। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে নববধূকে বাড়িতে রেখেই চলে যান খুলনা। সেখান থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাসনাবাদ চব্বিশ-পরগনায় গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। ফিরে এসে খুলনায় মেজর জলিলের নেতৃত্বাধীন ৯নং সেক্টরে যোগ দেন। তার দায়িত্ব ছিল খুলনা, সুন্দরবন দিয়ে নিরাপদে সংখ্যালঘুদের পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে দেয়া। খুলনা থেকে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার সময় একদিন হানাদার বাহিনীর মুখোমুখি পড়ে যান। গুলিবিদ্ধ হন ডান ঊরুতে। কোন রকমে বেঁচে যান তিনি। রশিদ বলেন, ‘গুলি খাইয়া হ্যাদিন মইরা গেলে ভাল হইত। বুড়া বয়সে এতো কষ্ট করা লাগতো না। মুক্তিযুদ্ধ করছি। দেশ স্বাধীন হইছে। স্বাধীন দেশে ভিক্ষা কইরা খাই।’ তিনি ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, ‘দেশ স্বাধীন হইলে ভাল থাকমু, এ আশায় যুদ্ধ করছি।’
×