ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সুভাষ সিংহ রায়

বিজয়ের ৪৫ বছর ॥ এগিয়েছি অনেক

প্রকাশিত: ০৩:৪০, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬

বিজয়ের ৪৫ বছর ॥ এগিয়েছি অনেক

সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর যুক্তরাজ্যে সফরের সময় তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে সৈয়দ হক ছয়দফা সহজ করে বুঝিয়ে দিতে বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তিন আঙ্গুল দেখিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার আসলে তিন দফা। ‘কত নিছো, কবে দেবা, কবে যাবা’। আমাদের লড়াই ছিল মুক্তির লড়াই। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চে গণসূর্যের মঞ্চ কাঁপিয়ে বঙ্গবন্ধু শুনিয়েছিলেন তাঁর অমর কবিতাখানি, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ সেই থেকে স্বাধীনতা শব্দটি আমাদের। আজকের দিনে হয়ত অনেকেই বুঝতে পারবেন না কত ত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশে^র নবীনতম দেশ ছিল; বিশে^র অন্যতম দরিদ্র দেশও বটে। ২৫ মার্চ কালরাত্রির পর ‘পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ দেখতে বিশ^ব্যাংকের একটি বিশেষজ্ঞ দল কয়েকটি শহর পরিদর্শন শেষে মন্তব্য করেছিল- ‘এগুলো দেখতে পারমাণবিক হামলার পরের একটি সকালের মতোই।’ প্রায় ৬০ লাখ বাড়ি ধ্বংস করা হয়েছিল। ১৪ লাখ কৃষক পরিবার চাষবাসের হালহাতিয়ার ও পশু হারিয়েছিল। পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল সম্পূর্ণ ধ্বংস। রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত, সেতু বিধ্বস্ত এবং অভ্যন্তরীণ জলপথ অবরুদ্ধ হয়েছিল। পাকিস্তানী বাহিনীর আত্মসমর্পণের আগ পর্যন্ত দেশটির ধ্বংসযজ্ঞ শুধুই বেড়েছে। কেননা পাকিস্তান বাংলাদেশের পোড়ামাটি চেয়েছিল। যুদ্ধের শেষ দিনগুলোতে পশ্চিম পাকিস্তানী ব্যবসায়ীরা (যারা ছিল দেশের প্রায় সকল ব্যবসার মালিক) তাদের সর্বশেষ কড়িটিও পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যায়। একটা ছোট উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স বন্দরনগরী চট্টগ্রামে তাদের এ্যাকাউন্টে মাত্র ১১৭ টাকা রেখে যায়। সেনাবাহিনী ব্যাংক নোট ও ধাতব মুদ্রা ধ্বংস করে যাওয়ায় অনেক জায়গায় নগদ অর্থের সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। বন্দর বন্ধ করে দেয়ার আগে রাস্তা থেকে প্রাইভেট কার তুলে নয়ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেড়ে পাকিস্তানে চালান করে দেয়া হয়। সেই পাকিস্তান এখন নির্লজ্জের মতো বলছে বাংলাদেশের কাছে তারা ৭০০ কোটি পাবে! ॥ দুই ॥ বাঙালী জাতির নায্যতার প্রতি বিশে^র প্রায় সকল দেশের মানুষের সমর্থন ছিল। বিশ^ রাজনৈতিক নেতৃত্ব শেখ মুজিবকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছিল। ১৯৭১ সালের মে মাসে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধি আবদুস সামাদ আজাদ বুদাপেষ্টে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন। এটাই প্রথম আন্তর্জাতিক ফোরাম, যারা প্রকাশ্যে বাংলাদেশকে সমর্থন দেয় এবং ‘পূর্ব পাকিস্তান’ বা ‘পূর্ব বাংলা’ না বলে স্পষ্ট করে বলে ‘বাংলাদেশ’। এছাড়া ১৬ জুন (১৯৭১) ব্রিটেনের শ্রমিক দলের ১২০ এমপি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য একযোগে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেন। কেউ কেউ মনে করতে পারেন, কেউ একজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছেন আর মুক্তিযুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। যারা এটা মনে করছেন তারা নিজেরা তো অপরাধ করেছেন; নতুন প্রজন্মকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। সময়টা একেবারে কম নয়, সাড়ে চার দশক। আমরা বিজয়ের ৪৫ বছর পার করে ফেললাম। এই ৪৫ বছরের মধ্যে ২৮ বছর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সরকার ক্ষমতায় ছিল। জাতি রাষ্ট্র গঠনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকা-ে সুস্পষ্টভাবে আন্তর্জাতিক মদদ ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে সর্বাত্মকভাবে সমর্থন করেছে, সপ্তম নৌবহর পাঠাতে চেয়েছিল। ভারতের সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতী ইন্দিরা গান্ধীর সৃজনশীল কূটনৈতিক নেতৃত্বের কারণে মার্কিন সরকারের কূটকৌশল ধোপে টিকতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেই সময়কার সরকার (৭১-৭২) শুধু মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাই করেনি, স্বাধীন হওয়ার পরও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যত নিয়ে অনেকেই সংশয় প্রকাশ করেছে এবং নানারকম অপপ্রচার চালিয়েছে। ফা’ল্যান্ড ও পারকিনসন নামের দুই বিদেশী অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশকে একটি ‘পরীক্ষা ক্ষেত্র’ (ঃবংঃ পধংব) হিসেবে আখ্যায়িত করেছিলেন। তাঁদের মূল্যায়ন অনুযায়ী বাংলাদেশের পরিস্থিতি এতই সঙ্গীন ছিল যে, এ দেশের উন্নয়ন হলে বুঝতে হবে পৃথিবীর অন্য যে কোন দেশেরই উন্নয়ন সম্ভব। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর হেনরি কিসিঞ্জার বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি আখ্যা দিয়েছিল। ভাগ্যের কি নিষ্ঠুর পরিহাস কন্্সপির্যাসি থিওরির প্রবক্তা হেনরি কিসিঞ্জারের প্রিয় দেশ পাকিস্তান আজ তলাবিহীন ঝুড়ি। ॥ তিন ॥ ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু যখন স্বদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন সে সময় দেশে মোট খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪০ লাখ টন। কিন্তু সরকারের হাতে ছিল মাত্র ৪ লাখ টন খাদ্য। এছাড়া খাদ্য সরবরাহ করতে হয়েছিল ৯০ হাজার পাকিস্তানী যুদ্ধবন্দী, আটককৃত ৫০-৬০ হাজার রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস্ এবং সেইসঙ্গে ১ লাখ ২৫ হাজার ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সদস্যদের। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭৩ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বিধ্বস্ত ব্রিজ, কালভার্ট, সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। মাত্র ১ বছরের মধ্যে ২ হাজার কিলোমিটার টেলিফোন লাইন স্থাপন করা হয়। পাকিস্তানের কাছে আমাদের অনেক পাওনা। অথচ এ কথা এখন কাউকে বলতে শুনি না। সেই সময়ের এক হিসাব অনুযায়ী যুদ্ধের অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি ২১-২৩ বিলিয়ন ডলার বলে ধারণা করা হয়েছিল। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দাতাদের অব্যাহত চাপের ফলে বাংলাদেশ পাকিস্তানের ঋণের এক অংশের দায় মেনে নিতে বাধ্য হয়। অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বঙ্গবন্ধুর সময় জাতীয় পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি ‘বাংলাদেশ জাতি গঠনকালে এক অর্থনীতিবিদের কথা’ নামে এক অসাধারণ বই লিখেছেন। স্পষ্ট বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কাছে পাওনা আদায়ের ব্যাপারে ভীষণ তৎপর ছিলেন। সর্বশেষ ১৯৭৪ সালে নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল- কিভাবে পাকিস্তান আমাদের পাওনা পরিশোধ করবে। পাকিস্তান এটা মোটেই ভালভাবে নেয়নি। যে কারণে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার চক্রান্তে লিপ্ত হয়েছিল। কথা ছিল পাকিস্তান নীতিগতভাবে সব সম্পদ ও দায় সমানভাবে ভাগ করে নেবে, একটি যৌথ কমিশন এ বিষয়ে বিস্তারিত পরীক্ষা করে দেখবে এবং পাকিস্তান দুই মাসের মধ্যে কিছু অর্থ তার সদিচ্ছার প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশকে প্রদানের উদ্যোগ নেবে। প্রথম কিস্তিতে সহজে হিসাবযোগ্য সম্পদ দিয়ে পরিশোধ করা হবে, যেমন স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা, বেসামরিক বিমান ও জাহাজ। এই প্রতীকী অর্থ প্রদানের পরিমাণ ২০০ থেকে ৩০০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করা হয়। ১৯৭৫ সালে কমনওয়েলথ রাষ্ট্রের প্রধানদের কনফারেন্সেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই ইস্যু উত্থাপন করেছিলেন। এমনকি ১৯৭৫-এর জুলাই মাসে ইসলামী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্মেলনেও প্রসঙ্গটি আলোচিত হয়। ॥ চার ॥ ঘটনাচক্রে ১৯৭৪ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে উৎপাদনকারী আরব দেশগুলোয় শ্রমিক রফতানির সুযোগ এবং তার ফলে রেমিট্যান্স (ৎবসরঃঃধহপব) তথা প্রবাসী আয়ের সমাগম ঘটে। পাকিস্তানের প্ররোচনায় সৌদিসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের বিরোধিতার পরও বঙ্গবন্ধু অনেক মুসলিম দেশের সমর্থন আদায় করতে পেরেছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল কাদের খান বাংলাদেশের গার্মেন্টস্ সামগ্রী বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের সূচনা করেছিলেন। কালক্রমে এই প্রবাসী আয় আজ বার্ষিক ৩২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। আজ আমরা শত্রুর মুখে চুনকালি দিয়ে বিশ্ব অগ্রগতির মহাসড়কে। শেখ হাসিনা সরকারের সাফল্য দেখে বিশ্ব অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা গোল্ডম্যান স্যাকস ও অনেকেই বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনীতি আশু সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ১১টির মধ্যে রয়েছে। জেপি মরগ্যান এক কদম এগিয়ে বলছে, বাংলাদেশ অগ্রসর দেশগুলোর মধ্যে ‘ফ্রন্টিয়ার ফাইভ’। সিটি গ্রুপ যা বলছে তা আরও উৎসাহব্যঞ্জক- ‘বাংলাদেশ এখন থ্রিজি অর্থাৎ থ্রি গ্লোবাল গ্রোথ জেনারেটর গ্রুপে’। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলছে ‘লিঙ্গভিত্তিক আয় সমতায় দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ।’ ॥ পাঁচ ॥ বাংলাদেশে আজ যাদের বয়স ২৫-এর নিচে তারাই পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তি। তারাই দিন বদলের সংগ্রামের অগ্রসৈনিক। জিপি মরগ্যান থেকে শুরু করে সিটি ব্যাংক সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব অর্থনীতির মহাসড়কে। সাউথ ইস্ট এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ শীর্ষে। দেশের শ্রমজীবী মানুষের অবদানেই এই অর্জন। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে কম করে ৮০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা ছিল কৃষকের সন্তান। আজও অর্থনৈতিক মুক্তি সংগ্রামে এই কৃষকের সন্তানরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। তারাই দেশের বাইরে গিয়ে উদয়াস্ত পরিশ্রম করে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা পাঠায়। তাদের কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক রিজার্ভ ২৭ বিলিয়ন ডলার। এদেশের শ্রমজীবী মানুষ কখনই অন্যায় নির্দেশ মানে না। অসাম্প্রদায়িক চেতনা মনেপ্রাণে ধারণ করে। পহেলা বোশেখে তাদের বাধা দিতে পারে না। সমগ্র দেশে এদিন মানুষ ঈদের আনন্দে মেতে ওঠে। বাংলাদেশে গার্মেন্টসে কর্মরত মানুষের অধিকাংশের বয়সও ২৫ থেকে ৩৫ বছর। অতএব, আমাদের অর্থনীতির সবচেয়ে বড় অংশ অর্জিত হয় এই বয়সী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণের মাধ্যমে। অর্থাৎ নতুন প্রজন্ম এই দেশকে অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। যে বিশ^ব্যাংক পদ্মা সেতু নিয়ে ষড়যন্ত্র করেছে তিন বছর ব্যবধানে বিশ^ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু বাংলাদেশের অগ্রগতি নিয়ে দারুণ দারুণ মন্তব্য করেছেন। গণবক্তৃতায় বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন চীনের সঙ্গে নেক টু নেক’ পাল্লা দিচ্ছে। ১০ বছর আগে এটি ছিল অচিন্তনীয়। বাংলাদেশকে কেউ দাবায়ে (বঙ্গবন্ধুর ভাষায়) রাখতে পারেনি। কিন্তু বাংলাদেশে সুশাসনের অভাব রয়েছে। বলা ভাল ‘সুরাজনীতি’র অভাব রয়েছে। কিন্তু বিএনপির মতো একটা বিরোধী দল থাকলে দেশে ‘সুরাজনীতি’ প্রতিষ্ঠিত হওয়া বেশ কঠিন। দুঃখজনক হলেও সত্য, বিএনপি এখনও আন্তঃবিনাশের মহাযাত্রায় শামিল হয়েছে। সাকা চৌধুরীর ফাঁসির রায়ের পর বিএনপি মুখপাত্র বলছিলেন, ‘সাকা চৌধুরীর বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি কমিটমেন্ট ছিল। এসব কথাবার্তার মধ্য দিয়ে বিএনপির আত্মহননমনষ্কতা প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। নানা ঘটনায় বিএনপির কমিটমেন্ট নিয়েও বাংলাদেশের মানুষ সন্দিহান হয়ে উঠেছে। আমাদের সমাজের ভাল অংশ আওয়ামী লীগের সফলতার দিকে তাকিয়ে থাকে। সঙ্গে সঙ্গে এটাও বলা দরকার, এই জাতির ভাল অংশ খুবই নিষ্প্রভ। এরা দূর থেকে দেখতে ভালবাসে। প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণে এদের নানান সংশয়। এ কারণে শত শত বছর এই জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খলে বাঁধা ছিল। খুব আশ্চর্যের বিষয়, এই জাতির শিক্ষিতের একটা বড় অংশ এখনও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে জিয়াউর রহমানের তুলনা করেন। তাদের অনেকের উপলব্ধিতে বোধ হয় নেই বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ বহু আগে একটি আত্মনির্ভরশীল জাতিতে পরিণত হতো। প্রশ্ন জাগে, শিক্ষিতের এই অংশটা কি বাংলাদেশে বিশ^াস করেন না? লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
×