ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

৬ হাজার টন পণ্য নিয়ে সাগরে ডুবল চার লাইটার জাহাজ

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

৬ হাজার টন পণ্য নিয়ে সাগরে ডুবল চার লাইটার জাহাজ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গর এবং সন্দ্বীপ হাতিয়া চ্যানেলে বুধবার একদিনেই ৬ হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন পণ্যবোঝাই ৪টি লাইটার জাহাজ ডুবেছে। জাহাজগুলোতে ছিল সিমেন্ট ক্লিঙ্কার, ভুট্টা, গম এবং অপরিশোধিত চিনি। ঘন কুয়াশার কারণে দিক হারিয়ে জাহাজগুলো নিমজ্জিত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। লাইটার জাহাজ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেল (ডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর বহির্নোঙ্গরের কর্ণফুলী মোহনার ১ এবং ৩ নম্বর বয়ার মাঝামাঝি স্থানে ১১শ’ টন সিমেন্ট ক্লিংকারবাহী একটি জাহাজ নিমজ্জিত হয়। ল্যাচ-১ নামের এই লাইটার জাহাজের ১৩ সদস্যকে উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। এছাড়া পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায় নিমজ্জিত হয় এমভি মজনু নামের আরেকটি লাইটার জাহাজ। এতে ছিল টিএসপি সার কারখানার ১৬শ’ টন কাঁচামাল। অপর দুটি জাহাজডুবির ঘটনা ঘটে সন্দ্বীপ-হাতিয়া চ্যানেলে। সন্দ্বীপ চ্যানেলের হাতিয়া এলাকায় নিমজ্জিত হয় ১৮শ’ টন অপরিশোধিত চিনি বোঝাই জাহাজ এমভি দারিন দাসাব। কাছাকাছি এলাকায় ডুবে যায় এমভি গ্লোরিয়ার্স শ্রীনগর-৪ নামের একটি লাইটার জাহাজ। এতে ছিল ১৮শ’ টন ভুট্টা। এছাড়াও আরও দুটি লাইটার জাহাজ দুর্ঘটনা কবলিত হয়। জাহাজ দুটির মধ্যে একটি টিএসপি সার কারখানার কাঁচামালবাহী প্রিন্স আরেফিন এবং অপরটি গমবোঝাই জাহাজ এমভি আল জামিও। এই দুটি জাহাজ তলা ফুটো হয়ে ডুবে যাওয়ার উপক্রম হয়। ফলে পানি ঢুকে যায়। তবে জাহাজের নাবিকরা দ্রুততার সঙ্গে ফুটো বন্ধ করে পানি সেচ দিয়ে এগুলো রক্ষা করতে সক্ষম হন। বুধবার বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন এলাকায় এ চারটি জাহাজ নিমজ্জিত হলেও এগুলোতে থাকা নাবিকদের নিরাপদে উদ্ধার করা সম্ভব হয়। চট্টগ্রাম বন্দর লাইটারেজ ঠিকাদার সমিতির সভাপতি হাজী শফিক আহমেদ জানান, একইদিনে এতগুলো দুর্ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। এজন্য কোন যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একসঙ্গে অর্ধডজন জাহাজের যান্ত্রিক ত্রুটি হওয়ার কথা নয়। তবে ভোর থেকে ঘন কুয়াশা এবং সাগরের পরিস্থিতিও কিছুটা অস্বাভাবিক ছিল। সে কারণেই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
×