ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে মামলা তুলে নিতে হুমকি

প্রকাশিত: ০৪:২৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

কক্সবাজারে মামলা তুলে নিতে হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসীরা শহরের ফুলবাগ সড়কের রাখাইন নেতা মং বু রীকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সন্ত্রাসী দলপতি শাহেদের অব্যাহত হুমকিতে ওই রাখাইন পরিবার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ জানান, চাঁদা না পেয়ে বাড়িতে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। প্রতিকার চেয়ে থানার আশ্রয় নেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে চলছে সন্ত্রাসীরা। স্থানীয়রা জানান, কেন্দ্রীয় রাখাইন বুড্ডিস্ট ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের ধর্মীয় ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মং বু রীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে আসছিল শাহেদ বাহিনীর লোকজন। চাঁদা না পেয়ে ঘরে ঢুকে লুটতরাজ চালায় তারা। এ সময় তার স্ত্রী ও কিশোরী কন্যা বাধা দিলে তাদের শ্লীলতাহানি ও নির্যাতন চালানো হয়। তাদের মারধরে কিশোরী মেয়ের ডান হাত ভেঙ্গে যায়। রাখাইন মং বু রী জানান, এখানে কেউ দালান নির্মাণ করতে চাইলে শাহেদ বাহিনীকে মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হয়। জোসেফকে পুলিশ কারাগারে পাঠিয়েছিল। সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে জোসেফ ও শাহেদ (পলাতক) আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চিনিকলের প্রেস মার্ড নিয়ে বাণিজ্যের পাঁয়তারা নিজস্ব সংবাদদাতা, ঠাকুরগাঁও, ১৪ ডিসেম্বর ॥ স্বার্থান্বেষী একটি দল আখ চাষীদের জন্য বরাদ্দকৃত ঠাকুরগাঁও চিনিকলের প্রেস মার্ড (জৈব সার) নিয়ে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, প্রতি মৌসুমে আখ মাড়াইয়ের পর ঠাকুরগাঁও চিনিকলের কয়েকশ’ টন আখের উচ্ছিষ্ট প্রেস মার্ড বের হয়, যা জমির উর্বরা শক্তি বৃদ্ধি করে এবং আখসহ যে কোন ফসলের ফলন বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত কার্যকর। এছাড়া এ প্রেস মার্ড উন্নতমানের জ্বালানি ও কয়েল তৈরির কাঁচামাল হিসেবে চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর এ সারের কিছু অংশ চিনিকলের কৃষি বিভাগ নিজস্ব খামারে ব্যবহার এবং কিছু সার শুধু আখ চাষের জন্য চাহিদা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত আখ চাষীদের কাছে নামমাত্র মূল্য প্রতি ট্রলি ৫শ’ টাকা হারে রশিদ মূল্যে বিক্রি করেন। কিন্তু গত কয়েক বছর অধিকাংশ কৃষক এ সার ব্যবহার বা উত্তেলনে তেমন আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তবে চলতি মৌসুমে বিভিন্ন বেসরকারী খামারি এ প্রেস মার্ড প্রতি ট্রলি ১৪-১৫শ’ টাকা হারে ক্রয়ের আগ্রহ প্রকাশ করলে স্বার্থান্বেষী একটি দল লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করার লক্ষ্য নিয়ে আখ চাষীদের কাছ থেকে প্রতি ট্রলি ৬শ’ টাকা দরে বরাদ্দকৃত সিøপগুলো কিনে নিতে শুরু করেছে। তারা ইতোমধ্যে শতাধিক কৃষকের কাছ থেকে সিøপ কিনে চিনিকল থেকে প্রেস মার্ড উত্তোলন করে অন্যান্য স্থানে স্তূপ করে রেখেছে। সেখান থেকে বিভিন্ন জেলার বেসরকারী খামারিগণ ট্রাক বোঝাই করে তা নিয়ে চলে যাচ্ছে। এ কাজে স্থানীয় আখ চাষী সমিতির কতিপয় নেতৃবৃন্দ জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে জেলা আখ চাষী সমিতির সাধারণ সম্পাদক তোজাম্মেল হক বলেন, প্রেস মার্ড ক্রয় করে হয়ত কৃষকের পোষায় না সেজন্যই অধিকাংশ কৃষক তা উত্তোলন করেন না। যেহেতু বেসরকারী খামারে এর চাহিদা রয়েছে সেহেতু এসব নষ্ট না করে বাইরে বিক্রি করলে চিনিকলের লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। তবে কৃষকের জন্য বরাদ্দকৃত প্রেস মার্ড বাহিরে বেচাকেনায় আখ চাষী সমিতির নেতৃবৃন্দ জড়িত আছেন কিনাÑ এমন প্রশ্নের উত্তর তিনি এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এনায়েত হোসেন জানান, কৃষকের প্রেস মার্ড জমিতে ব্যবহার না করে বাইরে বিক্রির অভিযোগ তিনি পেয়েছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। বাউফলে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণের হিড়িক নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৪ ডিসেম্বর ॥ বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর বাঁধ এলাকায় চলছে খাল দখলের হিড়িক। যে যেভাবে পারছে দখল করে নিচ্ছে খাল। নির্মাণ করছে বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা। প্রকাশ্যে এ খাল দখল চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। সরেজমিন দেখা গেছে, কালাইয়া-পটুয়াখালী সড়কের কাশিপুর এলাকায় বাঁধের দুই পাশে স্থানীয় লোকজন বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। ইতোমধ্যে ওই বাঁধ এলাকার দুই পাশে অর্ধেকেরও বেশি খাল দখল করে বহুতল ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ-বিএনপি একজোট হয়ে খালের জায়গা দখল করছে। জানা গেছে, বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা- এ তিন উপজেলার জনসাধারণের পটুয়াখালী জেলা সদরের সঙ্গে সড়কপথে যাতায়াতের জন্য বাউফলের আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের কাশিপুর এলাকায় ১৯৯৮ সালে ভূড়িয়া-ভায়লা নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর ২০০৬ সালে সড়কটি পাকা করা হয়। গুরুত্ব বাড়তে থাকে এ এলাকাটির। গত ২-৩ বছর ধরে এ বাঁধের দু’পাশের খালের জায়গা দখল হতে শুরু করে। স্থানীয়রা ২-৪টি করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু করে। এভাবে গত এক বছর ধরে বাঁধের পূর্ব ও পশ্চিম পারের দু’পাশের খালের অর্ধেকেরও বেশি জায়গা দখল হয়ে যায়।
×