ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সব্যসাচী দাস

গসিপ

প্রকাশিত: ০৪:০০, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

গসিপ

স্রেফ গুজব! গত কয়েকদিন ধরে বিনোদন দুনিয়ার একটি খবর সবার মাথা হেট করে দিচ্ছে। অগণিত ভক্ত থেকে কৌতূহলি জনতার। বিষয় সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও হাই প্রফাইল বলিউড স্টার ঐশ্বরীয়া রাই বচ্চনের ব্যক্তিগত ও অভিনয় জীবনের টানাপড়েন। খোদ ভারতীয় নামী-দামী পত্র-পত্রিকায় মুখরোচক কভার স্টোরি তাকে নিয়ে। সাংসারিক সংঘর্ষ। দাম্পত্যকলহ। বিতর্কিত চরিত্রে নিজেকে উপস্থাপন। সব মিলে ঐশ্বরীয়া খুব মানসিক চাপের মধ্যে আছে এমন ভাবানা ভাবাই স্বাভাবিক। সব শেষ যখন একাধিক সূত্রে খবর হলো, খুব শক্তিশালী ঘুমের ওষুধ খেয়ে জীবন জলাঞ্জলি দেয়ার চেষ্টা ছিল তার। তখন কিন্তু খবরটি কেবল বিনোদনের ছিল না। রীতিমতো ভয়ঙ্কর। আসল সত্য হলো তিল থেকে তাল। গুজব। তাই প্রমাণিত হলো। সব শেষে দেখা গেল স্বামীর সঙ্গে চিরচেনা রাজকীয় হাসি হেসে কোন পার্টির মধ্যমণি তিনি। তখন চোখ কপালে! ইশ! কী শুনছি আর কী দেখছি। সত্য তো তার হাসির মতো উজ্জ্বল। সম্প্রতি ফ্যাশন ডিজাইনার মণিশ মালহোত্রার জন্মদিনের পার্টিতে অভিষেকের সঙ্গে তার স্বতঃস্ফূর্ত আচরণ এমনটাই প্রমাণ করে। যা দেখে বলাই যায় বাকি প্রশ্ন বাকি থাক। ৯৪ তে দিলীপ কুমার উপমহাদেশর কিংবদন্তি চলচ্চিত্র অভিনেতা। দিলীপ কুমার। দেখতে দেখতে জীবনের ৯৩টি বছর অতিবাহিত করেছেন। গত ১১ ডিসেম্বর ছিল তাঁর ৯৪তম জন্মদিন। দীর্ঘ জীবনের বেশিরভাগ সময়ই কেটেছে চলচ্চিত্রের বর্ণিল পর্দায়। তাঁর অসংখ্য বর্ণাঢ্য চরিত্র চলচ্চিত্রকে করেছেল দীপ্তিময়। তরুণ দিলীপ কুমার সদ্য স্বাধীন হওয়া বিচলিত জাতিকে দিয়েছিল বেঁচে থাকার অন্যমাত্রা। হয়ত সে কারণে মুছে ফেলতে হয়েছিল ইউসুফ খানকে। তিনি ছিলেন সাদাকালো পর্দার রঙিন নায়ক। আমাদের সবার প্রিয় শ্রদ্ধেয় দিলীপ কুমার! গত ১৬ এপ্রিল শ্বাস-প্রশ্বাসের কষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মুম্বাইযের লীলাবতী হাসপাতালে। সে থেকে বিভিন্ন সময় ছোট-খাট সমস্যা নিয়ে প্রায়ই তাকে ডাক্তারের স্বরণাপন্ন হতে হচ্ছে। যে কারণে চুরানব্বইতম জন্মদিনের কেক হাসপাতালের বিছানায় কাটতে হয়েছে এই মহান । সঙ্গে সহধর্মিণী ও অভিনেত্রী সায়েরা বানু উপস্থিত ছিলেন। বহুরূপে মিস্টার প্যাশনেট মিস্টার প্যাশনেট। কয়েকদিন আগেও যাকে তার ভক্ত থেকে সহকর্মী সবাই মিস্টার পারফেকশনিস্ট নামে জানতেন। কিন্তু না। এই বিশেষণ তার পছন্দ না। বরং মিস্টার প্যাশনেট তার যোগ্য বিশেষণ বলে নিজে মনে করেন। তাইতো নিজে থেকে জানিয়েছেন আমাকে মিস্টার পারফেকশনিস্ট না বলে মিস্টার প্যাশনেট বলা উচিত। কারণ আমি একজন প্যাশনেট মানুষ। শুধু নামে বৈচিত্র্য নয় বছরজুড়ে এই আইকনের ফ্যাশনে ও ছিল বহু বৈচিত্র্যতা। কখনও ১১০ কেজি ওজনের কাঁচা-পাকা চুলের ভুঁড়িওয়ালা। কখনও টাইট মাসলের লৌহ মানব। কখনওবা গোঁফওয়ালা রাজকীয় লুক ছিল বছরজুড়ে। অবশ্য সবগুলো ছিল তার চরিত্রের প্রয়োজনে। ব্যক্তিগত জীবনে আমিরকে হাওয়াই চপ্পোল সঙ্গে সাদাসিধে পোশাকে প্রায়ই দেখা যায়। আবারও জনি ডেপ! হলিউডের ফ্যাশন আইকন। গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জয়ী অভিনেতা জনি ডেপ। ২০০৩ সালে এক জলদস্যুর চরিত্রে অভিনয় করে এনে দিয়েছিলেন কোটি কোটি ডলার। তুলে দিয়েছিলেন পরিচালক প্রযোজকের এ্যাকাউন্টে। ৫৩ বছর রয়সী এই অভিনেতা। ইতোমধ্যে সময় পেরিয়েছে অনেক। কিন্তু ইমেজ তার বদলায়নি এতটুকুও। নিজের সান-শইকত বা আভিজাত্য ছাপ রয়েছে অগের মতোই। পরপর দু’বার ফোর্বস ম্যাগাজিনের সর্বাধিক বেশি পারিশ্রমিক নেয়া অভিনেতা তিনি। যে কারণে বেশি আয়ের তারকাদের শীর্ষে এখন জনি ডেপ।
×