ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আসছে ‘আহত ফুলের গল্প’

প্রকাশিত: ০৩:৫৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

আসছে ‘আহত ফুলের গল্প’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অত্যন্ত সম্ভাবনাময় নির্মাতা অন্ত আজাদ। সময়ের তরুণ এই পরিচালকের নির্দেশনায় সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে ব্যতিক্রমী গল্পের চলচ্চিত্র ‘আহত ফুলের গল্প’। চলচ্চিত্রটির কাহিনী, চিত্রনাট্য, শিল্প নির্দেশনা ও পরিচালনায় অন্তু আজাদ। প্রযোজনা করছে চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গ্রিন পিচ এন্টারটেইনমেন্ট। বেশকিছু নতুন মুখ এই চলচ্চিত্রে দেখা যাবে। চলচ্চিত্রের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাহিয়া খান। আরও আছেন গাজী রাকায়েত, সুজন মাহাবুব, আলী আহসান, অনন্যা হক, শেলী আহসান, জয়া, অভি চৌধুরী, শান্ত কুন্ডু প্রমুখ। কামরুল হাসান, তৌহিদুল আলম, সজীব, রিফাত, পিয়ারা বেগম, শহীদুল ইসলাম, ওমরচাঁদ, ইকতারুল ইসলাম, মিনহাজ, তাজিন, রাব্বি, শিরিন। চলচ্চিত্রের গল্পে পরিচালক তুলে ধরেছেন পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা নারীর পথচলায় কীভাবে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া সামাজিক কুসংস্কার, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও প্রযুক্তির অসৎ ব্যবহারে কতটা দুর্বিষহ হয়ে ওঠে তাঁদের জীবন। চলচ্চিত্রে পঞ্চগড় জেলার আঞ্চলিক বিয়ের গান ও প্রচলিত শ্লোক ব্যবহার করা হয়েছে। সংলাপে আঞ্চলিক এবং প্রমিত দু’ধরনের ভাষারই রয়েছে। আছে ভাওয়াইয়া, লালনগীতি, রবীন্দ্রনাথের গান ও নজরুলের কবিতা। এছাড়া দুটি মৌলিক গান লিখেছেন সোলায়মান আকন্দ ও শাহিন আহমেদ। চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে পরিচালক অন্তু আজাদ বলেন, ‘আহত ফুলের গল্প’ দেশীয় মানুষদের নিজস্ব চলমান সংস্কৃতি-সংকট ও সম্ভাবনার গল্প। মাটির সংস্পর্শে থাকা মানুষদের প্রেম ও মানবতার গল্প। পিতৃতান্ত্রিক বাংলাদেশের মুসলিম সমাজব্যবস্থা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সংস্কৃতি সংস্পর্শ; এ তিনটি বিষয় শাপলা, কামিনী এবং মোহনা নামের তিন মেয়ের জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করেছে তা নিয়ে ‘আহত ফুলের গল্প’ চলচ্চিত্রের গল্প এগিয়েছে। গল্পের বিষয়, সরল উপস্থাপন ভঙ্গি, নতুনদের সরব উপস্থিতি- সবমিলিয়ে চলচ্চিত্র দেখার পর একটি নতুন ও সজীব অনুভূতির জন্ম নেবে। তিনি বলেন, আমার চলচ্চিত্রে ফ্যান্টাসি নেই। আছে চারপাশে দেখা ঘটনার বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে আমাদের প্রচলিত জীবনের গভীর সঙ্কটকে উপলব্ধির চেষ্টা। গল্পের বিষয়বস্তু সিরিয়াস হলেও দৈনন্দিন জীবনে বয়ে চলা হাসি-ঠাট্টা, গান-গীত এবং একটি প্রেম কাহিনীর মধ্য দিয়ে গল্পের মূল সুরটি প্রবাহিত হয়েছে। এ ছাড়া বর্ণনাত্মক রীতির সরল ভঙ্গিতে গল্প বলার ধরনটিও আধুনিক যান্ত্রিক চাপে পিষ্ট মানুষের আবেগ ও উপলব্ধিকে একই সঙ্গে স্পর্শ করবে বলে আমার আশা। অন্তু আজাদ জানান, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার মাটিয়াপাড়া গ্রামে চলচ্চিত্রটির অধিকাংশ শূটিং করা হয়েছে। পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শেষ হলে বিভিন্ন চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠানো হবে। তারপর কয়েকটি হলে মুক্তি দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
×