ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঋণগ্রস্ত হিসাব নিয়ে নীতি নির্ধারণের দাবি

প্রকাশিত: ০৩:৫০, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬

ঋণগ্রস্ত হিসাব নিয়ে নীতি নির্ধারণের দাবি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঋণগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের নেগেটিভ ইক্যুইটি বা ঋণাত্মক মূলধনী হিসাবগুলো নিয়ে পলিসি বা নীতি নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) নেতারা। বুধবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে নতুন কমিটির এক বৈঠকে ডিবিএ নেতারা এই দাবি জানান। তারা ব্রোকারদের কর অবকাশ সুবিধা আরও ২ বছর বৃদ্ধি, ক্যাপিটাল গেইনের ওপর ট্যাক্স সুবিধাসহ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বেশ কিছু দাবি অর্থমন্ত্রীর কাছে পেশ করেন। এ সময় ১৫ সদস্যের নতুন কমিটির সবাই উপস্থিত ছিলেন। ডিবিএ’র প্রস্তাবের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজার সংস্কারের সময় সরকারী কোম্পানির শেয়ার বাজারে ছাড়া সম্ভব হয়নি। তবে সম্প্রতি আমরা একটা বৈঠক করেছি, কাগজপত্র তৈরি হচ্ছে। শীঘ্রই ২৬টি সরকারী প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে। আর নেগেটিভ ইক্যুইটি ফান্ড গঠনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এ জন্য সরাসরি কোন টাকা দেয়া হবে না। পরে ডিবিএ’র পক্ষ থেকে পুঁজিবাজারে বন্ড ছেড়ে টাকা সংগ্রহের প্রস্তাব দিলে অর্থমন্ত্রী বলেন, পরে এসব বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এছাড়াও প্রথমবারের মতো ২০ জন সফল ব্রোকার ও ২০ জন ইস্যুয়ারকে সম্মাননা দেয়া হবে বলে জানান ডিবিএ। জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা একটা ভাল উদ্যোগ। এতে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা বাড়বে এবং কোম্পানি সম্পর্কে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ভাল ধারণা জন্মাবে। বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ডিবিএ সভাপতি আহমেদ রশিদ লালী। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির অন্যান্য সদস্য- সিনিয়র সহ-সভাপতি মোশতাক আহমেদ সাদেক, সহ-সভাপতি খুজিস্তা নূর-ই নাহরীন, পরিচালক আব্দুল হক, শাহেদ আব্দুল খালেক, মাহবুবুর রহমান, ড. জহিরুল ইসলাম, রিচার্ড ডি রোজারিও, মোঃ সাজেদুল ইসলাম, সৈয়দ রিদওয়ানুল ইসলাম, মোহাম্মদ আলী এফসিএ, মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ওয়ালিউর ইসলাম, খাজা আসিফ আহমদে প্রমুখ। আহমেদ রশিদ লালী বলেন, শেয়ারবাজারে উন্নয়নে প্রথমবারের মতো ডিএসই ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) আনুষ্ঠানিক যাত্রা করেছে। ১৫ সদস্যের কমিটির সবাই ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বলেন, আমরা কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য- ডিএসই-সিএসইকে সঙ্গে নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা, ব্রোকার হাউজের প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ দেয়া ও ব্লু-চীফ (মৌলভিত্তিসম্পন্ন) কোম্পানিকে বাজারে আনা। বিনিয়োগকারীদের সমস্যা চিহ্নিত করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আমরা প্রতিবেদন জমা দিতে চাই।
×