ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

স্বাস্থ্য কণিকা

প্রকাশিত: ০৬:৫৭, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

স্বাস্থ্য কণিকা

যে খাদ্য আপনাকে সতেজ এবং যৌবনোদ্দীপ্ত করে * কফি * চিজ * আখরোট * আঙ্গুর * তরমুজ স্বাস্থ্যোজ্জ্বল গর্ভধারণে আপনার খাদ্য তালিকা * গর্ভধারণে কোন্ খাদ্যগুলো ভাল এ নিয়ে দ্বন্দ্বের শেষ নেই। * মায়ের পুষ্টি, পেটের শিশুর পুষ্টি সমানভাবে বিবেচ্য বিষয়। তাই মোটামুটি ভাল একটি খাদ্য তালিকা প্রণীত হলো। * ডিম : আপনি মাত্র ৯০ ক্যালরি পাচ্ছেন ডিমে। অথচ এতে ১২টা ভিটামিন ছাড়াও পাচ্ছেন বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও প্রোটিন। ডিমের প্রোটিন সহজপাচ্য ও গুণসম্পন্ন। আপনি ও আপনার ভেতরের শিশুটির জন্য প্রতিদিন যে প্রোটিন দরকার ডিম তা সরবরাহ করে। ডিমে কোলিন থাকে। কোলিন আপনার ভেতরের শিশুটির মস্তিস্ক বর্ধন ও অন্য সব গঠন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। ডিম আবার নার্ভের জটিলতা রোধ করে। ডিম সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা আছে যে, ডিম কোলেস্টেরল বাড়ায়Ñআসলে তা ঠিক নয়। কারণ ডিমে সেচুরেটেড ফ্যাট কম। ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল তাই নেই বললেই চলে। প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলার ১ থেকে ২টা ডিম খেতে হবে প্রতিদিন। * স্যামন : স্যামন মাছে অতি উৎকৃষ্ট প্রোটিন আছে, আর ওমেগা-৩ ফ্যাস্টি এ্যাসিডে ভরপুর, বেড়ে ওঠা শিশুটির মস্তিষ্ক বর্ধনে যা অতীব উপকারী। * শিম : বিভিন্ন প্রকার শিমে প্রচুর প্রোটিন থাকে। প্রোটিন আঁশসমৃদ্ধ শিমের দানা গর্ভবতীকালীন কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রোধ করে। শিমে থাকে প্রচুর আয়রন, ফলিক এ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও জিংক। এগুলো ভ্রƒণের গঠন ও বর্ধনে খুব সাহায্য করে। * মিষ্টি আলু : মিষ্টি আলুর ক্যারোটিনয়েড আমাদের দেহে গিয়ে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। পশু খাদ্য থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ বেশি ভক্ষণ ক্ষতিকারক হতে পারে। কিন্তু ক্যারিটিনয়েড থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ‘এ’-তে কোন ক্ষতি নেই। সুতরাং ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ সবজি খেতে হবে। এছাড়া মিষ্টি আলুতে প্রচুর ফলিক এ্যাসিড ও আঁশ থাকে। * পপকর্ন ও অন্যসব খোসা সমেত খাদ্য : পপকর্নে আঁশ থাকে প্রচুর। থাকে নানা পুষ্টি যেমন : ভিটামিন ‘ই’, সেলেনিয়াম, ফাইটো নিউট্রিমন্ট। প্রোটিনসমৃদ্ধও বটে। * বাদাম : প্রচুর ওমেগা-৩ রয়েছে যা ভেতরের শিশুটির গঠনে সাহায্য করে। * ইউগার্ট : ইউগার্টে প্রচুর প্রোটিন থাকে। বিশেষ করে গ্রিন ইউগার্টে। ইউগার্টে রয়েছে ক্যালসিয়ামের প্রাচুর্য। গর্ভধারণে ক্যালসিয়ামের খুব দরকার। ক্যালসিয়াম ভেতরের শিশুটির জন্য অতীব প্রয়োজনীয়, তার দেহ গঠনে। * গাঢ় সবুজ শাকসবজি : সবুজ শাকসবজি সব রকম ভিটামিন যেমন : এ, সি, কে-তে ভরা। এগুলো বাচ্চার চোখের স্বাস্থ্য গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। * মাংস : মাংস খুবই উত্তম প্রোটিনের উৎস তবে পাতলা চর্বিহীন মাংস খেতে হবে। চর্বিগুলো কেটে ফেলে দিতে হবে। তবে শিক কাবার, হট ডগ জাতীয় মাংস গ্রহণ করা উচিত হবে না। কারণ তাতে থাকে ব্যাকটেরিয়া ও প্যারাসাইট। দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শাকসবজি ফলমূল গর্ভকালীন অব্যাহতভাবে গ্রহণ করতে হবে। গর্ভকালীন শেষের ৩ মাস বাচ্চা গর্ভের পানির (এ্যামনিওস্টিক) মাধ্যমে এই সব খাদ্য গ্রহণ করে। তার স্বাদ সে ভুলে না। পরবর্তীতে তার এসব খাদ্যের চাহিদা রয়ে যায়। কফি কি হার্ট এ্যাটাক রোধ করে? একটি গবেষক দল ২৫ হাজার নারী-পুরুষের ওপর গবেষণা চালান। নারী-পুরুষের গড় বয়স ছিল ৪১ বছর। তাদের কারোরই আগে হৃদরোগ ছিল না। ২৫ হাজার নারী-পুরুষের কফি পানের পরিমাণ ছিল- দিনে ১ কাফও না, দিনে ১ কাপ, দিনে ১ থেকে ৩ কাপ, ৩ থেকে ৫ কাপ দিনে এবং দিনে ৫ কাপের উর্ধে। গবেষকরা দেখলেন, যারা দিনে ৩ থেকে ৫ কাপ কফি পান করেছে, তাদের শরীরে হৃদরোগের চিহ্ন খুব কম। সিওলের ক্যাংবুক স্যামসাং হাসপাতালে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষণায় এই বলে উপসংহার টানা হয়, কফি পান বেশি করলে হৃদরোধক কম হয়। অবশ্য এ ব্যাপারে আরও গবেষণা প্রয়োজন, এ কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। গবেষকরা দেখেছিলেন : নর-নারীদের শিরা-উপশিরায় দৃশ্যমান ক্যালসিয়াম জমাট হতো। এই ক্যালসিয়াম জমাটই হৃদরোগের চিহ্ন বলে মনে করা হয়। কফি পান এই দৃশ্যমান ক্যালসিয়াম জমা কমিয়ে দেয়। প্যারাসিটামল বড়ি বেশি খাবেন না প্যারাসিটামল বড়ি তথা নাপা, এইচ ইত্যাদি বেশি খাবেন না। কারণ প্যারাসিটামাল সেবন হৃদরোগ ও কিছু জটিলতা সৃষ্টি করে এবং মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। প্যারাসিটামল ব্যাথার জন্য যারা প্রায়ই খাচ্ছেন, তাঁরা সাবধান। দেখা গেছে ব্যাথার ডোজেই প্যারাসিটামল মৃত্যুঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগ, পরিপাকতন্ত্র , মূত্রনালী ও কিডনিজনিত জটিলতার কারণে। গবেষণাটি চালিয়েছে ব্রিটেনের লিও ইনস্টিটিউট তবে মাসফিলো স্বিলিস্টান মেডিসিন। লেবুর শরবতের উপকারিতা * প্রতিদিন লেবুর শরবত খেলে ভিটামিন ‘সি’র পর্যাপ্ত প্রাপ্তি ঘটে। * আপনার চোখকে বার্ধক্য তথা জরাগ্রস্ততা থেকে দূরে রাখে। * লিভার উত্তেজক ইরিটেবিল বাওয়েল সিনড্রম নামক রোগ প্রতিরোধ করে। * বদহজম দূর করে। শরীরে পানির পরিমাণ ঠিক রাখে। * শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোড়ালো করে। * শরীরের সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। * কলেরা রোগ প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। যে খাদ্যে আয়োডিন বেশি * সামদ্রিক শৈবাল * সামুদ্রিক মাছ * ইউগার্ট * সিদ্ধ আলু * ডিম * টুনা মাছ * তার্কি মুরগী * ব্রানবেরি * স্ট্রবেরি বিভিন্ন অসুখ সারিয়ে তুলতে যে খাদ্যগুলো সাহায্য করে * কলা : আপনার স্ট্রোক ও দুচিন্তা সারিয়ে দেয়। * ইউগার্ট : কোষ্ট্যকাঠিন্য দূর করে, গ্যাস বৃদ্ধি রোধ করে। * কিশিসি : ব্লাড প্রেসারকে বাড়তে দেয় না। * এ্যাপ্রিকোট: মূত্রনালী ও থলির পাথর হতে দেয় না। * আদা চা : বমি বমিস ভাব দূর করে। * নাশপাতি : কোলেস্টেরল বাড়তে দেয় না। * আলু : মাথার যন্ত্রণা কমায়। * কমলার রস : অবসন্নতা দূর করে। * পাতাকপি : আলসার রোধ করে। * রসুন : ইস্ট ইনফেকশন দূর করে।
×