ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

আরএসওর অপতৎপরতা

বিনা অনুমতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নগদ টাকা বিতরণ নিয়ে উদ্বেগ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

বিনা অনুমতিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নগদ টাকা বিতরণ নিয়ে উদ্বেগ

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার থেকে ॥ মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর বর্বরতা থেকে প্রাণ বাঁচতে টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে। মানবতার দোহাই তুলে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের মধ্যে অপরিচিত লোকজন ত্রাণ বিতরণের নামে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। রবি ও সোমবার সিলেট থেকে দুটি টিম এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাত ও নগদ টাকা বিতরণ করে চলছে। এ কাজে সরকারের তথা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন থেকে কোন ধরনের অনুমতি নেয়া হয়নি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। ত্রাণ বিতরণকারী ওই মাওলানাগণ নিজেদের কোন সংস্থার সদস্য নয় বলে দাবি করলেও তারা একটি বিশেষ মহলের হয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে নগদ লাখ লাখ টাকা বিলি করছে বলে একাধিক সূত্রে জানা গেছে। ওসব রোহিঙ্গাকে নগদ টাকা বিতরণের নামে এটিকে আরএসও জঙ্গীদের অপতৎপরতা বলে মন্তব্য করেছেন সচেতন মহল। সরকারের অনুমতি ছাড়া ত্রাণ বিতরণের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোহিঙ্গা জঙ্গীরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে বলেও আশঙ্কা করেছেন তারা। সূত্র জানায়, সীমান্তে বিজিবির কড়া সতর্কতা সত্ত্বেও স্থানীয় দালালদের সহায়তায় নাফ নদী পেরিয়ে কৌশলে বাংলাদেশে অবৈধভাবে ঢুকে পড়েছে কিছু কিছু রোহিঙ্গা পরিবার। তারা অবস্থান নিচ্ছে উখিয়া ও টেকনাফের নিবন্ধিত-অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প-বস্তি, আশপাশের এলাকায় ও জেলার বিভিন্ন স্থানে। রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঘটানোর সহায়তাকারী দালালদের চ্যালেঞ্জের মুখে রোহিঙ্গা আনতে নিয়োজিত রেখেছে আরএসও। বিদেশী বিপুল অর্থ এনে আত্মসাত এবং সশস্ত্র ক্যাডাররা দল ভারি করতে টার্গেট করে রোহিঙ্গা আনছে আরএসও। এদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা জিঁইয়ে রেখে আরএসও ক্যাডাররা কতিপয় এনজিওর সঙ্গেও আঁতাত করে চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের লেদা অরক্ষিত রোহিঙ্গা বস্তিতে নগদ টাকা বিতরণ করেছে ৩০ জনের পৃথক দুটি টিম। তারা মাধ্যম না ধরে নিজ হাতে ১ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত এক একটি রোহিঙ্গা পরিবারকে প্রদান করেছেন। টাকা প্রদানকারী ব্যক্তিরা জানান, তারা কারও নির্দেশে বা কোন সংস্থার পক্ষ থেকে এ টাকা বিতরণ করছেন না। তবে ধনাঢ্য ব্যক্তিবর্গ থেকে সাহায্য হিসেবে নিয়ে তা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বিলিয়ে দিচ্ছেন। অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গাদের উখিয়ার কুতুপালং, শাপলাপুর ও টেকনাফ বস্তিতে বনবিভাগের জায়গায় স্থান পেতে কতিপয় গ্রাম্য নেতাকে ম্যানেজ করে চলছে আরএসও। সাতটি নৌকা ফেরত ॥ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকালে শতাধিক রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠিয়েছে বিজিবি। সোমবার ভোরে নাফ নদী থেকে তাদের ফেরত পাঠানো হয়।
×