ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুপ্রীমকোর্টের উদ্যোগে বিএনপির সাধুবাদ

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

সুপ্রীমকোর্টের উদ্যোগে বিএনপির সাধুবাদ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিষয়ে সুপ্রীমকোর্ট যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে এ বিষয়ে সরকারের কর্মকা-ে তারা ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন। সোমবার দলের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকারের প্রভাব বিস্তার করার জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ক্ষুণœœ করা হয়েছে। আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধিমালার বিষয়ে প্রধান বিচারপতির যে উদ্যোগ নিয়েছে আমরা দলের পক্ষ থেকে তার সাধুবাদ জানাই। পল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আদালত স্বাধীন হলে ন্যায় বিচারের নিশ্চয়তা থাকে। সরকার তার আধিপত্য বজায় রাখার জন্যই সেটা করছে না। বিচারকদের শৃঙ্খলার বিষয়ে সুপ্রীমকোর্ট যেভাবে বলছেন, সেভাবে সরকার এবং রাষ্ট্রপতি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। যার মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল আদালত নিজ শক্তিতে স্বাধীন ও স্বায়ত্তশাসিত হতে পারে উল্লেখ করেন। এ সময় তিনি নরায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, এ নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের হিড়িক চলছে। ক্ষমতাসীনদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন চুপ রয়েছে। তিনি এ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের জোর দাবি জানান এ সময়। বলেন, বার বার আমরা সেনা মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি। কিন্তু সরকার এতে কান দিচ্ছে না। কারণ সেনা মোতায়েন করলে সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী ভয় পাবে। সেনা মোতায়েন না করলে ভোটাররা ভয় পাবে। নির্বাচন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে সেনা মোতায়েন অবশ্যক। যদি নির্বাচন কমিশন ও সরকারের সন্ত্রাসী বাহিনী নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করে তাহলে বিএনপি এ নির্বাচনে জয়ী হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী থেকে শুরু করে স্থানীয় এমপি, এমনকি গণভবনে সভা করে সরকার প্রধানও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। স্থানীয় এমপি নারায়ণগঞ্জে প্রকাশ্যে সংবাদ সম্মেলন করে সেলিনা হায়াত আইভীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যা ভোটারদের প্রভাবিত করছে। এটি সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন। তিনি বলেন, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের কাছে এ বিষয়ে বার বার অভিযোগ উত্থাপন করা হলেও তারা নির্বিকার ভূমিকা পালন করে আসছে। অথচ জনসাধারণের মধ্যে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। শাসক দলের প্রভাবশালী নেতারা যেভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন, তা তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান। বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে শাসক দলের ভাড়াটিয়া গুন্ডাদের আনাগোনা বেড়ে গেছে। সেনা মোতায়েন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী পরিবেশকে ক্ষমতাসীনদের পক্ষে রাখতে চায় বলেই সিইসি সেনা মোতায়েন চান না। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, বিলকিস জাহান শিরিন, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, বেলাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×