ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের পরও বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশের সময় ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট ;###;গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই, রাষ্ট্রপতির এ সিদ্ধান্তের পর এ জাতীয় কথা বলা ঠিক নয়। -আইনমন্ত্রী

রাষ্ট্রপতি নামমাত্র

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

রাষ্ট্রপতি নামমাত্র

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ‘রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে’ উল্লেখ করে অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করতে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছেন সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগ। এ সময় আদালত বলেন, সংসদীয় সরকার পদ্ধতিতে সংবিধান অনুয়ায়ী প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ছাড়া রাষ্ট্রপতির আর কোন ক্ষমতা নেই। পার্লামেন্টারি সিস্টেমে রাষ্ট্রপতি নামমাত্র। আপনারা যা পাঠিয়েছেন তাই করবেন। আমরা সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী নই। মন্ত্রণালয়ে যারা আছেন তাদের সাধারণ জ্ঞান থাকলে চিঠি পাঠাতেন না। বিধিমালা নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে ভুল বুঝানো হয়েছে। এক পর্যায়ে আদালত আইন সচিবের উদ্দেশে বলেন, আপনি বিচার বিভাগের সদস্য। ওপর থেকে নির্দেশে করতে হলে আপনাকেও রাখা হবে না। সাবেক আইন সচিবকে একই কারণে সরানো হয়েছে। তিনি ভুল করছেন। গেজেট করার জন্য একমাস সময় যথেষ্ট। এই বিষয়ে আমরা কোন আপোস করতে চাই না। এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতার প্রশ্ন। এখানে কোন কম্প্রোমাইজ নেই। সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগের আট সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এ বিষয়ে শুনানির শুরুতে ওই দুই সচিব দাঁড়ালে আদালত তাদের বসার অনুমতি দেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে তিনি বলেন, ‘আমাদের দুই মাসের সময়ের আবেদনের বিষয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন আদালত’। এদিকে প্রধান বিচারপতির কর্মকা-ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে মন্ত্রিসভা। অধস্তন আদালতের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রণয়নের নির্দেশ দেয়ায় এই ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দেয়ার পরদিন দুই সচিবকে আদালতে ডেকে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে গেজেট প্রকাশের নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চ। মন্ত্রিসভা বৈঠকের শেষে মোবাইলে অনলাইনে এই খবরটি দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগের পর শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, বৈঠকে আসার আগে টেলিভিশনে দেখে এসেছি। প্রধান বিচারপতি বলেছেন, রাষ্ট্রপতিকে ভুল বুঝানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তখন বলেন, রাষ্ট্রপতিকে ভুল বুঝানো হয়েছে কী না তা তিনিই বলতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা নিয়ে নেয়ার ক্ষমতা জাতীয় সংসদ বা কারও আছে কী? না নেই। এই বলে প্রধানমন্ত্রী আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে ব্যাখ্যা দিতে বলেন। সূত্র জানায়, আইনমন্ত্রী বলেন, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দেয়ার পর দুই সচিবকে ডেকে এ জাতীয় কথা বলা ঠিক নয়। তিনি বলেন, সংবিধানে রাষ্ট্রপতির স্থান সবার ওপরে। রাষ্ট্রপতিকে কেউ দিকনির্দেশনা দিতে পারেন না। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা কি তা সংবিধানে উল্লেখ আছে। সুপ্রীমকোর্ট সংবিধানের রক্ষক। সংবিধানের উর্ধে কেউ নয়। আইনমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পর মন্ত্রিসভার সিনিয়র সদস্যরা অনেকেই ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আর কোন মন্তব্য করেননি। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টকে জানানো হয়েছে। রাষ্ট্রের আইনমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রপতির মতামতের পর এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার এখতিয়ার আমার নেই। অন্যদিকে সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবীরা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ভুল বোঝার বিষয়টি নিশ্চয়ই বুঝবেন। সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ বলেছেন, আদালত কিসের প্রেক্ষিতে বলেছে, রাষ্ট্রপতিকে ভুল বুঝানো হয়েছে তা জানা নেই। তবে রাষ্ট্রপতি বিষয়টি নিশ্চয়ই বুঝবেন। বিচার বিভাগের উপর হস্তক্ষেপ করতে হয় না। অটোমেটিক চলে আসে। সুপ্রীমকোর্টের আইনজীবী শাহদিন মালিক বলেছেন, মামলাটি বিচারাধীন। বিচারাধীন মামলা নিয়ে মন্তব্য করাটা বাঞ্ছনীয় নয়। তবে এটা বলা যায় যে, আমাদের মতো প্রায় সব দেশেই নির্বাহী বিভাগ সহজে বিচার বিভাগকে স্বাধীন ও পৃথক করতে দিতে চায় না। এবং বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তারই ধারাবাহিকতায় অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও এই ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি চলছে। এদিকে উচ্চ আদালতের নির্দেশ মোতাবেক সোমবার কার্যদিবস শুরুর আগেই তারা আদালতে হাজির হন আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মোহম্মদ জহিরুল হক ও একই মন্ত্রণালয়ের ড্রাফটিং ও পার্লামেন্টারি উইংয়ের সচিব মোহম্মদ শহিদুল হক। আদালতের জিজ্ঞাসার জবাবে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ জহিরুল হক বলেন, আদালত যে আদেশ দেবেন আমরা তাই মেনে নেব। আদালতে এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আইন মন্ত্রণলায়ের প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করেন। ঐ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, উপর্যুক্ত বিষয়ে নির্দেশিত হয়ে জানানো যাচ্ছে যে, বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের জন্য পৃথক আচরণ বিধিমালা, শৃঙ্খলা বিধিমালা এবং বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (সার্ভিস গঠন, সার্ভিস পদে নিয়োগ ও বরখাস্তকরণ, সাময়িক বরখাস্তকরণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৭ সংশোধনকল্পে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া বাংলাদেশ গেজেটে প্রকাশ করার প্রয়োজনীয়তা নাই মর্মে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সানুগ্রহ সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা বিধিমালা ও আচরণ বিধিমালা প্রণয়ন বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় থেকে ওই চিঠি রবিবার সুপীমকোর্টে পাঠানো হয়েছে। আদালত বলেন, আমরা এখনও বিষয়টি জানি না। এটি ভুল বোঝাবুঝি। আদালত মাসদার হোসেন মামলার রায় দুই বার রিভিউ করেছেন। দেশে সংবিধান আছে, বিচার বিভাগেরও সংবিধান আছে। একটি প্রজ্ঞাপন করে দিলেই হবে। সরকারের কিছু হবে না। সরকার মাসদার হোসেন মামলার রায় মেনে নিয়েছে। রায়ের ৮০ ভাগ কার্যকর হয়েছে। ভুল ফাইল পাঠানো হয়েছে। এ পর্যায়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা তো বিধিমালার কোন খসড়া করে দেইনি। আপনারা (আইন মন্ত্রণালয়) এই খসড়া পাঠিয়েছেন মাজদার হোসেন মামলার রায়ের আলোকে কিছু সংশোধন করে দেয়া হয়েছে। অতএব, এখানে রাষ্ট্রপতিকে ভুল বোঝানো হয়েছে। আর সংসদীয় পদ্ধতিতে আপনারা যা পাঠাবেন রাষ্ট্রপতি তাতেই সম্মতি দেবেন। এরপরই আদালত ১৫ জানুয়ারির মধ্যে শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রণয়ন করতে নির্দেশ দেয়। প্রধানবিচারপতি বলেন, “পার্লামেন্টারি সিস্টেমে রাষ্ট্রপতি নামমাত্র। যা আপনারা পাঠিয়েছেন তাই করবেন।” তিনি বলেন, মাসদার হোসেন মামলার ৮০ শতাংশ রায় সরকার ‘মেনেই নিয়েছে’। অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা ও আচরণ সংক্রান্ত বিধির এই খসড়া সরকারই দিয়েছে। “এটা ভুল বোঝাবুঝির বিষয় নয়। অনেক সময় পেয়েছেন, আমরা অনেক সময় দিয়েছি। আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হক বলেন, সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয় থেকে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছিল। তখন আদালত বলেন, তাঁরা ফাইল তলব করতে চান না। সংঘাতে যেতে চান না। আইন সচিব বলেন, সরকারের ওপর থেকে যেভাবে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, সেভাবেই সারসংক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি নিজে তা করেননি। আদালত বলেন, তিনিও (আইন সচিব) বিচার বিভাগের সদস্য। ওপর থেকে নির্দেশে করতে হলে তাঁকে রাখা হবে না। সাবেক আইন সচিবকে একই কারণে সরানো হয়েছে। তিনি ভুল করছেন। একপর্যায়ে আইন সচিব বলেন, যেভাবে আদেশ দেবেন, সেভাবে করা হবে। মাসদার হোসেন মামলার রায় ঘোষণার আট বছর পর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করা হয়। ওই সময় যে চারটি বিধিমালা গেজেট আকারে জারি করা হয়েছিল। এর মধ্যে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (কর্মস্থল নির্ধারণ, পদোন্নতি, ছুটি মঞ্জুরি, নিয়ন্ত্রণ, শৃঙ্খলা বিধান এবং চাকরির অন্যান্য শর্তাবলী) বিধিমালা, ২০০৭ একটি। যেখানে বলা হয়েছে, পৃথক বিধি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত অধস্তন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলা বিধান করা হবে ১৯৮৫ সালের গবর্নমেন্ট সার্ভিস রুলস অনুযায়ী। তবে মাসদার হোসেন মামলার রায়ের ৭ নম্বর নির্দেশনা অনুযায়ী সেই জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যদের জন্য পৃথক শৃঙ্খলাবিধি এখনও তৈরি হয়নি। উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে সরকার বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কিছু পদের বেতন স্কেল বৃদ্ধি করে। এতে অন্য ক্যাডারদের সঙ্গে অসঙ্গতি দেখা দেয়। তৎকালীন সরকার এই অসঙ্গতি দূর করার জন্য ১৯৯৪ সালের ৮ জানুয়ারি জজ আদালতের বেতন স্কেল বাড়িয়ে দেয়। প্রশাসন ক্যাডারের আপত্তির মুখে সরকার ওই বেতন স্কেল স্থগিত করে। জুডিশিয়াল সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মাসদার হোসেনসহ ৪৪১ জন বিচারক ১৯৯৫ সালে হাইকোর্টে একটি রিট মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে ১৯৯৭ সালে হাইকোর্ট পাঁচ দফা সুপারিশসহ ওই মামলার রায় দেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপীল করলে আপীল বিভাগ ১৯৯৯ সালে ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে পৃথক করার ঐতিহাসিক রায়াটি দেন। গত ১০ ডিসেম্বর একটি অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে বর্তমান সংবিধানের ১১৬ ও ১১৬ (এ) সংবিধানের মূল নীতির সাংঘর্ষিক। এ দুটো বিধান যে সংবিধানের পরিপন্থী, এটি আমাদের এই পবিত্র বই (সংবিধান) থেকে অতি তাড়াতাড়ি সরে ফেলার জন্য এখানে উপস্থিত সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের প্রতি আহ্বান জানাব। এটি থাকায় আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বেশ ব্যাঘাত হচ্ছে।’ এটি থাকায় আমাদের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে’। তিনি আরও বলেছিলেন, এক অনুষ্ঠানে বলেছিলাম এদেশে দ্বৈত শাসন চলছে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের আইনমন্ত্রী বললেন যে, চলে না। প্রধান বিচারপতি আইনের অভিভাবক। সংবিধানের অভিভাবক হয়ে বলছি, এটি যদি না হয়, তাহলে আজকে বিচারকদের ডিসিপ্লিন রুলস কে করবেন? সরকার করবে না আমরা বিচারকরা করব? তাদের কন্ট্রোল, বদলি কোন কিছুই আমরা করতে পারছি না। তাই এ অসাংবিধানিক প্রভিশনগুলো তাড়াতাড়ি সরিয়ে দেয়া হবে বলে আমি আশা করি’। প্রধান বিচারপতির বক্তব্যের একদিন পর ১১ ডিসেম্বর আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হক একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “বিচারিক কাজে বিচারক এবং বিচারপতিবৃন্দকে কোনভাবেই নির্বাহী বিভাগ কোন হস্তক্ষেপ করে না। এটা আমরা করি না। এটা বাংলাদেশের কালচারে আগে যা ছিল, তার আমূল পরিবর্তন হয়েছে এবং সেজন্যই আমি মনে করি ১১৬ (ক) আমরা সম্পূর্ণভাবে নির্বাহী বিভাগ বলেন, অন্যান্য বিভাগ বলেন, আমরা সম্পূর্ণ মেনে চলছি, সম্মান করে যাচ্ছি এবং সম্মান করে যাব।” বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়ে সংবিধানে যেসব অনুচ্ছেদ রয়েছে সরকার তা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলছে। সংবিধানের ওই দুটি অনুচ্ছেদে হলো। ১১৬ অনুচ্ছেদ : বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচারবিভাগীয় দায়িত্বপালনে রত ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল- নির্ধারণ, পদোন্নতি দান ও ছুটি মঞ্জুরিসহ) ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির উপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রীমকোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হইবে। ১১৬ (ক) অনুচ্ছেদ : এই সংবিধানের বিধানাবলী সাপেক্ষে বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিগণ এবং ম্যাজিষ্ট্রেটগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকিবেন।
×