ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভৈরবের সড়ক বেহাল ॥ দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬

ভৈরবের সড়ক বেহাল ॥ দুর্ভোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ১২ ডিসেম্বর ॥ মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে ভৈরব নদীবন্দর ও শহর রক্ষায় নির্মিত জিল্লুর রহমান শহররক্ষা বাঁধ এবং বাঁধঘেঁষে তৈরি করা রাস্তাটির বেহালদশায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। নিম্নমানের কাজ হওয়ায় রাস্তাটির অধিকাংশ স্থানে খানাখন্দ আর বাঁধের জমি অবৈধ দখলদারদের দখল হয়ে যাওয়ায় ওই এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যসহ মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে জনকল্যাণে সরকারের ২১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে গ্রহণ করা প্রকল্পটি ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। অবিলম্বে এসব অব্যবস্থা থেকে মুক্তি চায় এলাকার মানুষ। মেঘনা নদীর ভাঙ্গন থেকে ভৈরব নদীবন্দর ও শহরকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এবং নদীবন্দর থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের সঙ্গে মূল শহরকে পাশ কাটিয়ে বিকল্প সড়ক যোগাযোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১০-১১ অর্থবছরে ২১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিল্লুুর রহমানের নামে নির্মাণ করে ১৮৬০ মিটার দৈর্ঘ্যরে জিল্লুর রহমান ভৈরব শহররক্ষা বাঁধ ও বাঁধঘেঁষা ৭০০ মিটার সড়ক, যার নির্মাণকাজ শেষ হয় ২০১২-১৩ অর্থবছরে এবং ২০১২ সালের ১৬ জুন এ কাজের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সাংসদ নাজমুল হাসান। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের কাজের ফলে বছর না ঘুরতেই সড়কটির অধিকাংশ স্থানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে সেটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। অপরদিকে বাঁধ এলাকাজুড়ে অবৈধ দখলদারদের করাল থাবায় অল্পদিনের ব্যবধানেই গড়ে ওঠে শত শত স্থাপনা। সড়কটির পাশে বেশ কয়েকটি পরিবহন সংস্থা গড়ে ওঠায় এবং ওই সব পরিবহন সংস্থার মালামাল রাস্তার ওপর লোড-আনলোড করায় ভৈরব লঞ্চ ও কার্গো টার্মিনাল থেকে যাত্রীসাধারণ ও পণ্য বিকল্প পথে পারাপার করে বন্দর শহরটির যানজট নিরসন করার পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। উল্টো জনভোগান্তি বেড়ে বর্তমানে চরম আকার ধারণ করেছে। অন্যদিকে রাস্তা ও বাঁধের ওপর কয়েক শ’ লোক প্রতিদিন পুরাতন ড্রাম মেরামতের কাজ করে। তাদের রাখা সারিবদ্ধ হাজার হাজার ড্রাম রাস্তা ও বাঁধের ওপর রাখায় যান চলাচলসহ মানুষের যাতায়াতে অসুবিধার সৃষ্টি করছেÑ অভিযোগ এলাকাবাসীর। মাদারীপুরে ইটেরপুল-ঘোষেরহাট সড়ক নিজস্ব সংবাদদাতা মাদারীপুর থেকে জানান, ইটেরপুল-ঘোষেরহাট সড়কের বেহাল দশা। সড়কের ১২ কিলোমিটার রাস্তা যান চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে পথচারী, চালক ও যাত্রীদের। সড়কটির এ করুণ অবস্থায় দায়সারা বক্তব্য সড়ক বিভাগের। এতে ক্ষুব্ধ জনপ্রতিনিধিরা। মাদারীপুর থেকে ঘোষেরহাট যেতে সময় লাগার কথা ২০ মিনিট। কিন্তু ১২ কিলোমিটার পথ যেতে এখন সময় লাগছে এক ঘণ্টারও বেশি সময়। রাস্তার পিচ উঠে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হওয়ায় প্রায়ই যানবাহন বিকল হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন এ সড়কে দুর্ভোগে পড়ছে হাজার হাজার মানুষ। কালকিনি উপজেলা থেকে সদর হাসপাতালে আসা রোগীদের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। অথচ চলতি অর্থবছরেও কয়েক দফা সংস্কার করেও মিলছে না সমাধান। একই সড়কের নিয়মিত যাত্রী কাইয়ুম হাওলাদার বলেন, কোন রকম পুরনো ইট আর বালু দিয়ে বছর বছর সংস্কার করা হয়। ফলে রাস্তার কোন পরিবর্তন হচ্ছে না। এ গুরুত্বপূর্ণ সড়কের অধিকাংশ স্থানে এক থেকে দেড় ফুটেরও বেশি গর্ত হয়েছে। এটি মরণফাঁদ ছাড়া অন্যকিছু নয়। কালকিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দোদুল কাজী বলেন, একাধিকবার এ সড়কের বিষয়টি অবহিত করলেও টনক নড়েনি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। আমরা দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চাই। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহিম বলেন, প্রতিদিন এ সড়কে আট হাজার মানুষ চলাচল করে। সে কথাটি মাথায় রেখে চলতি অর্থবছরেই সংস্কারের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধান অফিসে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।
×