স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ চলতি বছর অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপে নিজেদের সেরা সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৯ দল। উঠেছিল প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে। কিন্তু সেই দলে এখন আমূল পরিবর্তন এসেছে। এবার তরুণ সাইফ হাসানের নেতৃত্বে নতুন করে গুছিয়ে উঠছে বাংলাদেশ যুব দল। সেই দলটির জন্য প্রথম মিশন আসন্ন অনুর্ধ-১৯ এশিয়া কাপ। শ্রীলঙ্কায় ১৪ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে এ আসর চলবে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ৮ দলের এ আসরে বাংলাদেশের যুবারা ‘বি’ গ্রুপে খেলবে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে। তবে এটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছেন না যুব দলের কোচ মোঃ আব্দুল করিম জুয়েল, ম্যানেজার এহসানুল হক সিজান। তারা মনে করছেন যুব এশিয়া কাপ ২০১৮ যুব বিশ্বকাপের জন্য একটি সংঘবদ্ধ দলে পরিণত হওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। তারা আশা করছেন সেমিফাইনাল খেলার। আর অধিনায়ক সাইফ চান অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে।
একেবারেই নতুন একটি দলে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ যুব ক্রিকেট দল। সর্বশেষ বিশ্বকাপে দারুণ সাফল্য আনা দলের মাত্র দু’জন ক্রিকেটার আছেন নতুন করে গড়া দলটিতে। ওপেনার ও অলরাউন্ডার অধিনায়ক সাইফ ও পেসার আব্দুল হালিম শুধু অনুর্ধ-১৯ দলের হয়ে খেলেছেন। এছাড়া বাকি সবাই উঠে এসেছেন বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দল থেকে। এ বিষয়ে অধিনায়ক সাইফ বলেন, ‘আমাদের দলটা বেশ ব্যালান্সড। যখন আমরা অনুর্ধ-১৭তে ছিলাম বেশ কয়েকজন একসাথে খেলেছি। পারস্পরিক বোঝাপড়াটা বেশ ভাল। আমাদের প্রস্তুতিটাও বেশ ভাল হয়েছে। একসাথে ক্যাম্প করেছি, অনুশীলন ম্যাচ খেলেছিÑ এসব কারণে সবাই বেশ ভালভাবেই প্রস্তুত। ম্যাচ বাই ম্যাচ আমরা খেলব। ইনশাআল্লাহ আশা করছি খুব ভাল খেলতে পারব। খুব বেশি আমরা চিন্তা করব না, এখান থেকে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করব সেটা আমাদের জন্য ভবিষ্যতে অনেক ভাল হবে।’ ম্যানেজার সিজানও একই কথাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাইফ ও হালিম ছাড়া বিগত কোন আন্তর্জাতিক অনুর্ধ-১৯ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেনি কেউ। সুতরাং আমাদের এই টুর্নামেন্টটা খুব ভাল একটা অভিজ্ঞতা হবে। বিশেষ করে আগামী যে বিশ্বকাপ আছে সেটার দিকে ফোকাস করেই কিন্তু আমাদের এই দলটা তৈরি করা হয়েছে।’
কোচ জুয়েলের প্রত্যাশা সেমিফাইনাল খেলার। তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ২০১৮ সালে যে বিশ্বকাপ আছে সেটারই প্রাথমিক দল হিসেবে এটিকে বিবেচনা করা হয়েছে। ওই লক্ষ্যের ক্ষেত্রে এই টুর্নামেন্টটা আমাদের জন্য ভাল প্রস্তুতি হবে। বেশ কয়েকজন বিপিএল খেলে দিবারাত্রির ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাটা অর্জন করেছে। এজন্য আবার আমরা এখানে তিনটা দিন ফ্লাডলাইটে অনুশীলন করেছি। দিবরাত্রির ম্যাচও আছে। সুতরাং আমার মনে হয় ছেলেদের সমস্যা হবে না।’ দলের অনুশীলন নিয়েও খুশি যুবাদের কোচ। তিনি বলেন, ‘আমরা আসলে আগস্ট থেকে শুরু করেছি। আমাদের প্রস্তুতিটা চমৎকার। আমরা বিভিন্ন ধরনের উইকেটে খেলেছি। শ্রীলঙ্কায় যেমনটা পাওয়ার কথা সেটার কাছাকাছি পরিবেশ আমরা রেখেছি অনুশীলনে। প্রথম রাউন্ডটা যদি আমরা ভালভাবে নিজেদের কাজটা করতে পারি অবশ্যই সেমিফাইনাল খেলব। তেমন চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে না।’ দলের কম্বিনেশনে চারজন স্পেশালিস্ট পেসার, একজন বাঁহাতি স্পিনার আছে যে নিয়মিত পারফর্ম করে আসছে, একজন অফস্পিনার কাম ব্যাটসম্যান ও ৬ জন স্পেশাালিস্ট ব্যাটসম্যান রয়েছে। ১৫ ডিসেম্বর প্রথম ম্যাচে মাতারায় আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে, ১৬ ডিসেম্বর আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ও ১৮ ডিসেম্বর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। ‘এ’ গ্রুপে মোকাবেলা করবে ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও মালয়েশিয়া। ২০ ও ২১ ডিসেম্বর দিবারাত্রির দুটি সেমিফাইনাল এবং ২৩ ডিসেম্বর দিবারাত্রির ফাইনাল দিয়ে শেষ হবে যুব এশিয়া কাপ।