ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আয়ের অন্যতম উৎস ফ্রিল্যান্সিং ॥ পলক

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আয়ের অন্যতম উৎস ফ্রিল্যান্সিং ॥ পলক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ফ্রিল্যান্সিং তথ্যপ্রযুক্তির খাত আয়ের অন্যতম উৎস। ঘরে বসেই এই খাত থেকে বড় অংকের টাকা আয় করা সম্ভব। সরকার এ জন্য দেশে ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি উদ্যোগ নিয়েছে। দক্ষ ফ্রিল্যান্সার গড়ে উঠলে ভিশন ২০২১ সালের মধ্যে এই খাতে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হবে। রবিবার তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বনানীতে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ইন্টার এ্যাকটিভ সেশনে এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা আইডিইএ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এই প্রকল্পের অধীনে যে কোন আইডিয়াকে স্বাগত জানাই। আইসিটি সংশ্লিষ্ট নতুন কোন আইডিয়া থাকলে তা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে জানানোর অনুরোধ করেন। ৫৫ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি লক্ষ্য নিয়ে কাজ চলছে। ইতোমধ্যে ২০ হাজার বিশ্বমানের ফ্রিল্যান্সার তৈরি হলেই ২০২১ সালের মধ্যে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হবে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতটি অনেক সম্ভাবনার। ফ্রিল্যান্সার তৈরির জন্য সারাদেশে লার্নিং এ্যান্ড আর্নিং মেলা চলছে। এতে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষণ শেষে অনেকে কাজও শুরু করেছেন। তারা ভাল আয়ও করেছেন। এ সময় সেশনে প্রতিমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরও দেন। অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও আইসিটি বিভাগের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ত্রিপক্ষীয় এই চুক্তিতে নিজ নিজ দফতরের ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জেমস গোমেস, আর্নেস্ট এ্যান্ড ইয়ং-এর প্রতিনিধি শাহ মোঃ ইমরান ও আইসিটি বিভাগের পক্ষে জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আবু নাছের সই করেন। আইসিটি বিভাগ এলআইসিটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারাদেশে ২০ হাজার দক্ষ লোকবল (আইটিতে ১০ হাজার ও নন আইটিতে ১০ হাজার) তৈরির কাজ করছে। এই সুবিধা পেতেই বিশ্ববিদ্যালয়টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. উইলিয়াম এইচ ড্যারেঞ্জার, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের প্রধান উপদেষ্টা এম এ আরাফাত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
×