ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

গাইবান্ধায় যৌতুক মামলায় মেজরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: ০৬:২০, ১২ ডিসেম্বর ২০১৬

গাইবান্ধায় যৌতুক মামলায় মেজরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১১ ডিসেম্বর ॥ গাইবান্ধায় স্ত্রীর যৌতুক মামলায় এক মেজরের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। গাইবান্ধার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মেজর একেএম সাইফুল হকের (বিএ নং-৫২২০) বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। সদর উপজেলা আমলি আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুল হাসান ইউসুফ রবিবার এ আদেশ দেন। চট্টগ্রাম সেনানিবাসে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে কর্মরত আছেন মেজর একেএম সাইফুল হক। মামলার বিবরণ মতে, গাইবান্ধা শহরের থানাপাড়ার মোঃ সদরুল আমিনের মেয়ে শামীমা নাসরিনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে সাইফুল হকের। এরই এক পর্যায়ে ২০০২ সালের ২৫ জুন তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে সাইফুল স্ত্রীর কাছে মোটা অঙ্কের যৌতুক দাবি করে আসছিলেন। এই অবস্থায় বিয়ের ছয় মাসের মধ্যে ইন্স্যুরেন্সের কথা বলে শামীমার কাছ থেকে কৌশলে কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে তাকে তালাক দেন সাইফুল। এর কিছুদিন পর শামীমাকে জানানো হয়, তাদের তালাক হয়ে গেছে। শামীমা বিষয়টি তার বাবাসহ অন্যদের জানালে এ নিয়ে সাইফুলের চাকরির ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিতে পারে বিবেচনায় ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর পুনরায় কাবিননামার মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে বর্তমানে ১১ বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এরই মধ্যে মেয়ের বাবা সদরুল আমিন মারা যান। ততদিনে সাইফুল হক মেজর পদে উন্নীত হন। মেজর সাইফুল স্ত্রী শামীমার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। অন্যথায় সংসার করতে অস্বীকৃতি জানান। শামীমা যৌতুকের টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গত ২২ আগস্ট গাইবান্ধা সদর জুডিসিয়াল আদালতে যৌতুক নিরোধ আইন ধারা-৪-এর আওতায় মামলা দায়ের করেন। শামীমা নাসরিনের আইনজীবী এ্যাডভোকেট সারওয়ার হোসেন বাবুল জানান, মামলা দায়েরের দিনই মেজর সাইফুল হককে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য বিচারক সমন জারি করেন। এরপর আরও তিনটি ধার্য দিন পার হলেও মেজর সাইফুল হক আদালতে হাজির হননি। এর ফলে রবিবার আদালতের বিচারক তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
×