ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

‘আমার ফাঁসি হোক, খাদিজার জয় হোক’

প্রকাশিত: ০১:১৯, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬

‘আমার ফাঁসি হোক, খাদিজার জয় হোক’

অনলাইন ডেস্ক ॥ সিলেটে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি বদরুল আলম বলেছেন, ‘আমার ফাঁসি হোক। খাদিজার জয় হোক।’ আজ রবিবার সিলেটের মহানগর মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলার দ্বিতীয় পর্যায়ের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন। এ উপলক্ষে বদরুলকে আদালতে উপস্থিতকালে সাংবাদিকদের দেখে তিনি উচ্চ স্বরে এ কথা বলেন। রবিবার বেলা ১১টা থেকে বেলা পৌনে ৩টা পর্যন্ত সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে খাদিজার বাবা, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, স্বাকীরোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণকারী বিচারিক হাকিম, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ মোট ১৫ জনের সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়। সাক্ষ্যগ্রহণের পুরো সময় ধরে আদালতের এজলাসের কাঠগড়ায় বদরুল আর কোনো কথা বলেননি। অনেকটা নীরবে দাঁড়িয়ে ছিলেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত চত্বরে এক প্রতিক্রিয়ায় খাদিজার বাবা মাসুক মিয়া বলেন, গত শনিবার আমি ঢাকা থেকে সিলেটে এসেছি সাক্ষী দিতে। তখন আমার মেয়ে খাদিজা আমাকে হাসি মুখে বিদায় দিয়ে বলেছে, ‘সিলেটের মানুষকে আমার সালাম দিবেন। আমি বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’ আমার মেয়ের সাথে আমরাও বখাটে এই ছেলেটির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। গত ৫ ডিসেম্বর খাদিজা হত্যা প্রচেষ্টা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ওইদিন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এ মামলার ১৭ জন সাক্ষ্য দেন। গত ৪ অক্টোবর খাদিজা বিএ পরীক্ষা দিয়ে কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার সময় এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বদরুল তাঁকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। এ ঘটনায় পরদিন হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস। ঘটনার পরপরই বদরুলকে ধরে পুলিশে দেন জনতা। পরে আদালতে হত্যাচেষ্টার দায় স্বীকার করে বদরুল জবানবন্দি দিয়েছেন। ঘটনার ৫৫ দিনের মাথায় পুলিশ বদরুলকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দিলে বিচার-প্রক্রিয়া শুরু হয়।
×