ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএল ফুটবল

আবাহনী-রাসেল লড়াই ড্র

প্রকাশিত: ০৬:০২, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬

আবাহনী-রাসেল লড়াই ড্র

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ একটা ম্যাচ উপভোগ্য হতে যা যা দরকার- লালকার্ড, হাতাহাতি, তীব্র আক্রমণ, পোস্টে বল লাগা এবং গোল হওয়া। তার প্রায় সবগুলোই ছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড বনাম শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের ম্যাচে। তবে শেষের এবং আসল জিনিসটাই হয়নি। মানে গোল। ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে শনিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় এ খেলার স্কোরলাইন ছিল ০-০। সবচেয়ে বড় ব্যাপার, এই ম্যাচে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া আবাহনীকে বাগে পেয়েও হারাতে পারেনি রাসেল। ফলে আফসোস করতেই পারে তারা। ম্যাচের প্রথমার্ধ শেষে রাসেলের রাইট ব্যাক এবং জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার আমিনুল ইসলাম তার ১৮ বছরের খেলোয়াড়ী জীবনের অবসানের ঘোষণা দেন। দু’দলের খেলোয়াড়, কোচ, স্টাফ ও সমর্থকদের ফুলেল শুভেচ্ছা এবং উষ্ণ সংবর্ধনায় অশ্রুসজল নয়নে মাঠ ছাড়েন তিনি। মজার ব্যাপার- প্রথম লেগে আবাহনী-রাসেল ম্যাচটিও ড্র হয়েছিল ১-১ গোলে। নিজেদের উনবিংশ ম্যাচে এটা ১১ বারের লীগ চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর সপ্তম ড্র। ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ভালমতোই ধরে রেখেছে তারা। চলতি লীগে এখনও অপরাজিত আছে তারা। এদিকে সমান ম্যাচে এটা একবারের লীগ চ্যাম্পিয়ন রাসেলের ষষ্ঠ ড্র। ২১ পয়েন্ট নিয়ে আগের অষ্টম স্থানেই আছে তারা। ম্যাচের ৩ মিনিটে আবাহনীর নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার শট রাসেলের গোলরক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্যের হাতে লেগে কর্নার না হলে নিজের ব্যক্তিগত ১৯ নম্বর গোলটি পেয়েই যাচ্ছিলেন সানডে। ৩৭ মিনিটে রাসেলের ক্যামেরুনের ডিফেন্ডার জঁ জুলস ইকাঙ্গাকে বল ছাড়াই দৃষ্টিকটুভাবে ফাউল করেন আবাহনীর ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাক। রেফারি মিজানুর রহমান কোন দ্বিধা ছাড়াই লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন লিকে। লিকে হারিয়ে শক্তি কমে গেলেও এর সুবিধা নিতে পারেনি রাসেল। বরং ৬৩ মিনিটে রাসেলের ডি-বক্সের বাইরে থেকে আবাহনীর মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদ যে উঁচু ‘সুইং’ শটটি নেন, তা রাসেলের পোস্টে লেগে ফেরত না আসলে গোল পেতে পারতো আবাহনী।
×