ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন কর্মকর্তারা

আইএস দমনে শক্তিশালী করা হচ্ছে পেন্টাগনকে

প্রকাশিত: ০৩:৪৯, ১১ ডিসেম্বর ২০১৬

আইএস দমনে শক্তিশালী করা হচ্ছে পেন্টাগনকে

জঙ্গী বিরোধী অভিযান আরও জোরদার করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে পেন্টাগন। ইসলামিক স্টেট ও অন্যান্য জঙ্গী বিরোধী অভিযানের পরিসর আরও বাড়ানোর লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের জন্য একটি প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে। দেশটির পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে এই প্রস্তাব তুলে ধরা হবে। এতে পেন্টাগনকে নিজস্ব উদ্যোগে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য কর্তৃত্ব চাওয়া হয়েছে। পেন্টাগন ও কংগ্রেসের কর্মকর্তারা একথা জানিয়েছেন। খবর ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের। ট্রাম্প জঙ্গী বিরোধী অভিযান জোরদারের যে কথা আগে থেকেই বলে এসেছেন পেন্টাগনের নতুন পরিকল্পনাটি তারসঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, পেন্টাগন যে পরিকল্পনা উপস্থাপন করেছেন তাতে বিভিন্ন ফ্রন্টে বিদ্যমান আইন পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। বিদ্যমান আইনে হোয়াইট হাউসের অনুমোদন ছাড়া পেন্টাগন একক সিদ্ধান্তে বিমান হামলা বা বিশেষ কোন অভিযান চালাতে পারে না। প্রস্তাবগুলো গৃহীত হলে আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের চলমান সমর অভিযানে উল্লেখযোগ্য কোন পরিবর্তন ঘটবে না। কেবল মাঠ পর্যায়ে সিদ্ধান্তগুলো তখন মার্কিন সেনাবাহিনী নিজস্ব উপায়ে নিতে পারবে। আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান কৌশলটি হলো স্থানীয় বাহিনীগুলোর ওপর নির্ভর করা ও সামরিক উপদেষ্টা দিয়ে স্থানীয় শক্তিগুলোকে সহায়তা করা। এছাড়া পেন্টাগন মধ্যম পর্যায়ের (ট্যাক্টিক্যাল) সিদ্ধান্ত নিতে পারলে নতুন প্রশাসন তখন অন্যকাজে বেশি সময় দিতে পারবে। পেন্টাগনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ পর্যায়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ প্রস্তাবগুলো প্রণয়ন করেনি। নতুন প্রশাসনের কাছ থেকে অনুরোধ আসার পর এগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ট্রাম্পের সম্ভাব্য নয়া প্রশাসনের জন্য প্রস্তাব তৈরি পেন্টাগনের জন্য নতুন কিছু নয়। ২০০৯ সালে বারাক ওবামা যখন ক্ষমতাসীন হন তখন ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটানোর পরিকল্পনা বিষয়ক পেন্টাগন অনুরূপ প্রস্তাব দিয়েছিল। ট্রাম্পের মনোনীত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাইকেল ফ্লিন বলেছেন নতুন প্রশাসন আইএসের বিরুদ্ধে চলমান লড়াই সামগ্রিকভাবে পুনর্মূল্যায়ন করে দেখবে, কিছু কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা পেন্টাগনের কাছে ন্যস্ত করা যায় কি না। বর্তমান পরিস্থিতি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা অনেকটাই সীমিত। তারা চাইলেই সবকিছু করতে পারে না। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ওবামার এক্ষেত্রে দৃষ্টিভঙ্গী ছিল বিভিন্ন দেশে আইএস দমনের জন্য স্থানীয় বাহিনীগুলোর ওপর বেশি নির্ভর করা। মার্কিন বাহিনী অনেকটাই উপদেষ্টার ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু পরবর্তী প্রশাসনের পরিকল্পনা হলো সামরিকভাবে আরও বেশি ভূমিকা রাখা। বর্তমানে ইরাকে মোতায়েন রয়েছে ৫ হাজার মার্কিন সেনা, সিরিয়ায় ৩ হাজার ও আফগানিস্তানে সাড়ে ৮ হাজার থেকে প্রায় ১০ হাজার সৈন্য।
×