ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হয়রানি ঠেকাতে টুইটারে মিউট বাটন

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬

হয়রানি ঠেকাতে টুইটারে মিউট বাটন

ইন্টারনেটে কুবচন বা অশোভন ভাষা ও শব্দ ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ লড়াইয়ে সম্প্রতি আরও একটি পদক্ষেপ ফেলেছে টুইটার। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা করেছে যে টুইটার ব্যবহারকারীরা তাদের নোটিফিকেশন থেকে হয়রানিমূলক এবং অশোভন শব্দ ও বাক্য যাতে মুছে ফেলতে পারে তার জন্য তাদের একটি মিউট ফিচার বা বাটন দেয়া হচ্ছে। টুইটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে যে সব ফিডব্যাক পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কের নোটিফিকেশনে ফিচারটি যোগ করা একটা অগ্রাধিকার হয়ে দাঁড়িয়েছিল। নতুন ফিচার যুক্ত হওয়ার ফলে টুইটার ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট থেকে সে সব শব্দ, শব্দগুচ্ছ, বাক্যাংশ বা ইশেজি তাদের নোটিফিকেশনে আবির্ভূত হওয়া দেখতে চায় না তার একটা তালিকা সঙ্কলন করতে পারবে। ফিচারটি এ বছরের গোড়ার দিকে বাজারে ছাড়া একটা ইনস্টাগ্রামের অনুরূপ। ওই ইনস্টাগ্রামের দ্বারা ব্যবহারকারীরা কিছু কিছু শব্দ বা উক্তি আছে এমন সব মন্তব্য ব্লক করতে পারে। এবারের মার্কিন নির্বাচনের পর কিছু কিছু উদ্বেগজনক ও অবাঞ্ছিত ঘটনার প্রেক্ষিতে টুইটার এমন পদক্ষেপ নিল। নিজস্ব সাইটে হয়রানি ও অশোভন ব্যাপার স্যাপার মোকবেলায় যথেষ্ট দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়ার জন্য কোম্পানিটি বার বার সমালোচিত হচ্ছিল। টুইটারের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেল হার্ভে বলেন, হয়রানির ইস্যুটি মোকাবেলা করার কাজটা যে গতি এগোচ্ছিল তা দেখে কিছু কিছু ব্যবহারকারী বেশ হতাশ হয়। তাদের হতাশ হওয়াটা খুবই সঙ্গত। কারণ আমরা এক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি কিছু করতে পারিনি। কারণ কোম্পানিকে এটা নিশ্চিত করতে হচ্ছে যে সাইটে হয়রানি বন্ধ করার হাতিয়ার তাদের হাতে আছে অথচ তার জন্য বাকস্বাধীনতার সীমা লঙ্ঘিত হবে না। হার্ভে আরও বলেন, হয়রানি বন্ধ করতে গিয়ে যাতে কোন অনভিপ্রেত ও নেতিবাচক পরিণতির সম্মুখীন হতে না হয় সেটা নিশ্চিত করতে আমাদের অনেক ভেবেচিন্তে এগোতে হয়েছে। হার্ভে বলেন, নেটওয়ার্কে খোলাখুলি মতামত প্রকাশের অধিকার রক্ষা এবং হয়রানির শিকার হওয়া ব্যক্তিদের রক্ষা করার মধ্যে একটা সঠিক ভারসাম্য রচনার জন্য টুইটার বছরের পর বছর ধরে লড়াই চালিয়ে এসেছে। সেটা করতে গিয়ে মত প্রকাশের অধিকার লঙ্ঘন করার জন্য অনেক সময় দারুণ সমালোচনার শিকারও হয়েছে। টুইটার সাইটে হয়রানি ঠেকাতে মিউট ফিচার যোগ করেছে বটে তবে এ ব্যাপারে আরও কতদূর যেতে হবে সে সম্পর্কে কোম্পানিটি নিশ্চিত নয়। হার্ভে জানান যে সাইটে হয়রানির ঘটনাগুলো কোম্পানির কাছে রিপোর্ট করার পদ্ধতিরও কিছু পরিবর্তন এনেছে টুইটার। গত বছর টুইটার ঘৃণাপূর্ণ আচরণ সুস্পষ্টভাবে নিষিদ্ধ করেছে। এই নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী জাতি, বর্ণ, ধর্ম ইত্যাদির ভিত্তিতে সহিংসতা, সরাসরি হামলা বা হামলার হুমকির কারণ ঘটাতে পারে এমন কিছুই এই সাইটে পরিবেশন করা যাবে না।
×