ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শুরুতে লুইস, পরে সাঙ্গাকারা ঝলক

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬

শুরুতে লুইস, পরে সাঙ্গাকারা ঝলক

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ফাইনাল ম্যাচের বাড়তি এক উত্তাপ ছিল। ম্যাচটা আবার টি২০। ধুমধাড়াক্কা মারদাঙ্গা ব্যাটিংয়ের খেলা। শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। সবমিলিয়ে কানায় কানায় ভরে গিয়েছিল ‘হোম অব ক্রিকেট’ মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম। ঢাকা ডায়নামাইটস ও রাজশাহী কিংসের মধ্যে শিরোপা লড়াই দেখার জন্য উন্মুখ দর্শকদের ঢল নেমেছিল। তাদের আনন্দে ভাসিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তরুণ উদীয়মান ওপেনার এভিন লুইস। ঝড় তুলেছিলেন ব্যাট হাতে। কিন্তু অন্যপ্রান্তে বাকিরা ছিলেন একেবারেই নিষ্প্রভ। সে কারণে বিপর্যস্ত ঢাকাকেই অবলোকন করেছেন দর্শকরা। তবে ৩১ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দর্শকদের ক্ষুধা কিছুটা কমিয়েছেন লুইস। আর এদিন ৫ নম্বরে নেমে শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারাও ব্যাট হাতে ঝলসে উঠে দলকে ভাল একটি সংগ্রহ পাইয়ে দিয়েছেন। টস জিতে আগে শক্তিশালী ঢাকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রাজশাহীর অধিনায়ক ড্যারেন সামি। শুরুটা দেখে শুনে করলেও পরে ঠিকই বিপদ নেমে আসে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপে। কিন্তু ওপেনার লুইস আঁকড়ে ছিলেন একপ্রান্ত। তিনি দারুণ ব্যাটিং করেছেন। বাকিরা ব্যর্থ হয়ে একে একে সাজঘরে ফিরলেও তিনি ব্যাট চালিয়েছেন স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতেই। সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় দলের জার্সিতে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন লুইস। ক্যারিবীয়দের হয়ে জিম্বাবুইয়ের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলার কারণে শুরু থেকে বিপিএলে অংশ নিতে পারেননি এ বাঁহাতি। ডায়নামাইটসের হয়ে তিনি প্রথম ম্যাচ খেলেন গ্রুপ পর্বে শেষদিকে। সেই ম্যাচেই ৩৪ বলে ৩ চার ও ৮ ছক্কায় ৭৫ রানের ইনিংস খেলে নিজের ধারাবাহিকতার নিদর্শন দেখিয়েছেন। তবে লীগ পর্বে দলের শেষ ম্যাচে বিশ্রাম পেয়েছেন টানা খেলার ক্লান্তি কাটিয়ে ওঠার জন্য। কিন্তু কোয়ালিফায়ার ম্যাচে তার ব্যাট হাসেনি এরপরও। খুলনা টাইটান্সের বিরুদ্ধে মাত্র ১১ রান করেই সাজঘরে ফিরেছিলেন। তবু শুক্রবার ফাইনালে তার দিকে তাকিয়ে ছিল ঢাকা। তিনিই রাজশাহীর বোলারদের কোন পাত্তা দেননি। ৩১ বলে ৮ চারে ৪৫ রানের ইনিংস উপহার দিয়ে তবেই সাজঘরে ফিরেছেন। লুইস ফিরে যাওয়ার পর দ্রুতই বিপর্যয়ে পড়েছে ঢাকা। এর আগ পর্যন্ত রানরেটটা বেশ উঁচুতে থাকলেও সেটা পড়ে যায় পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায়। তবে একপ্রান্ত আগলে ছিলেন ধারাবাহিকভাবে ভাল খেলা অভিজ্ঞ সাঙ্গাকারা। তিনিই শেষ পর্যন্ত ঢাকাকে একটি লড়াই করার মতো বড় পুঁজি দিয়েছেন। এদিন ৫ নম্বরে নামলেও ধীরস্থির থেকে বিপদ সামলে গেছেন। কিন্তু শেষদিকে ঝড় তোলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৩ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ রানের একটি কার্যকর ইনিংস উপহার দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সাঙ্গাকারা। তখন ঢাকার ইনিংস শেষ হতে আর মাত্র এক বল বাকি ছিল এবং দলও দেড় শ’ পেরিয়ে গেছে।
×