ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মেলবোর্নেও ওয়ার্নার-শো

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬

মেলবোর্নেও ওয়ার্নার-শো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডেতে স্বপ্নের সময় পার করছেন ডেভিড ওয়ার্নার। ৬ সেঞ্চুরির পথে ২০১৬ সালে সর্বাধিক ট্রিপল ফিগারে রেকর্ডটা আগেই গড়েছিলেন, সেটিকেই ছাড়িয়ে গেলেন তুখোড় অসি ওপেনার। ক্যানবেরার পর মেলবোর্নেও দেখাল তার ব্যাটিংঝলক। এবার খেললেন ১৫৬ রানের ম্যারাথন ইনিংস। সৌজন্য নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডতে ২৬৪ রানের স্কোর গড়া অস্ট্রেলিয়া পেল ১১৭ রানের সহজ জয়। কিউইদের ৩-০তে ‘হেয়াইটওয়াশ’ করে ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফি পুনরুদ্ধার করল স্টিভেন স্মিথের দল। জবাবে ৩৬ ওভার ১ বলে ১৪৭ রানে অলআউট হয় কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ ও ‘ম্যান অব দ্য সিরিজের’ দুটি পুরস্কারই গেছে ওয়ার্নারের পকেটে। ৭ সেঞ্চুরি ও ৪ হাফ সেঞ্চুরির সাহায্যে ৬৩ গড়ে এ বছর ওয়ানডেতে তার মোট রান ১৩৮৮। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াও হাফ ছেড়ে বাঁচল, দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫-০তে ওয়ানডে ও ২-১এ টেস্ট হারের পর এল স্মিথদের স্বস্তির এই সাফল্য। অসিরা কিন্তু শুরুতে বেশ বিপদেই পড়েছিল। দলীয় ১১ রানের মধ্যে সাজঘরে ফেরেন এ্যারন ফিঞ্চ (৩) ও অধিনায়ক স্মিথ (০)। দু’জনকেই ফেরান ট্রেন্ট বোল্ট। ব্যক্তিগত ২৩ রানের পথে বেইলি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দলীয় ঠিক ৭৩ রানে তাকে ও মিচেল মার্শকে তুলে নিয়ে স্বাগতিক শিবিরে এবার ধাক্কা দেন আরেক পেসার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। ১৯তম ওভারে ৭৩ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপরও আড়াই শ’ পেরিয়ে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের রূপকার ওয়ার্নার। শেষ দিকে ছোট তিনটি ইনিংসে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন ট্রেভর হেড (৩৭), ম্যাথু ওয়েড (১৪) ও জেমস ফকনার (১৩)। ১২৮ বলে ১৩ চার ও ৪ ছক্কায় ১৫৬ রানের ক্ল্যাসিক্যাল ইনিংস খেলে শেষ বলে রানআউট হন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের শতকরা ৫৯.০৯ ভাগ রানই আসে তার ব্যাট থেকে। এক্ষেত্রে রেকর্ডটা মার্টিনের (৬০.৬৩, ২০০০ সালে)Ñ এই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অসিদের ১৯১-এর মধ্যে তার সংগ্রহ ছিল ১১৬*। বোল্ট ৩, গ্র্যান্ডহোম ও মিচেল স্যান্টনার নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ক্যানবেরায় আগের ম্যাচে ১১৯ রান করা ওয়ার্নারের ২০১৬ সালে এটি সপ্তম সেঞ্চুরি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যা এক বছরে সর্বাধিক ও সর্বোপরি সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে যৌথভাবে বিশ্বে দ্বিতীয় সর্বাধিক সেঞ্চুরির রেকর্ড। ২০০০ সালে সৌরভ ৭ সেঞ্চুরি করেছিলেন ৩২ ইনিংসে। ওয়ার্নারের লাগল মাত্র ২৩ ইনিংস। বছরে ৯ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রেকর্ডটা গ্রেট শচীন টেন্ডুলকরের দখলে, ১৯৯৮ সালে, ৩৩ ইনিংসে। ওয়ানডেতে এ বছর হাজারের ওপর রান আছে কেবল স্টিভেন স্মিথের (১১৫৪, সেঞ্চুরি ৩, হাফ সেঞ্চুরি ৭টি)। বছরে সর্বোচ্চ রানের অস্ট্রেলীয় রেকর্ড ম্যাথু হেইডেনের (১৬০১ রান, ২০০১ সালে)। ওয়ার্নারের ১৩৮৮ রান তালিকার চতুর্থ স্থানে। মাঝে দুই সাবেক মার্ক ওয়াহ (১৪৬৮) ও রিকি পন্টিং (১৪২৪)। প্রথম দুই ওয়ানডেতে হারলেও কিউদের মনোভাবটা ছিল দারুণ লড়াকু। অথচ ‘হোয়াইটওয়াশ’ এড়ানোর ম্যাচে উইলিয়ামসনরা পাত্তা পায়নি। আধুনিক ওয়ানডেতে ২৬৫ খুব বড় টার্গেট নয়। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বোলিং তোপে অতিথিরা ছিল দিশেহারা। সর্বোচ্চ ৩৪ রান এসেছে ওপেনার মার্টিন গাপটিলের ব্যাট থেকে। টম লাথাম ২৮, কলিন মুনরো ২০ ও মিচেল স্যান্টনার করেছেন ১৫ রান। মিচেল স্টার্ক ৩, প্যাট কুমিন্স, জেমস ফকনার ও ট্রেভর হেড প্রত্যেকে নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
×