ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গ্রীস চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’

প্রকাশিত: ০৬:৩১, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬

গ্রীস চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ গ্রীসের অলিম্পাস পর্বতমালার পাদদেশে পিরগোস শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অলিম্পিয়া ফিল্ম ফেস্টিভাল ফর চিল্ড্রেন এ্যান্ড ইয়ং পিপল। শিশু কিশোর ও তরুণদের জন্য ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত হয় বাংলাদেশের স্বল্পদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র অশ্বারোহী তাসমিনা। জানা গেছে প্রায় দেড় হাজার চলচ্চিত্রের মধ্য থেকে ৪২১টি বিভিন্ন দৈর্ঘ্যরে চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে। মূল প্রতিযোগিতা পর্বে রয়েছে ৩৪টি দেশের ১৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ও ৪৫টি মধ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য কাহিনীচিত্র, এ্যানিমেশন চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর পাশাপাশি উৎসবে তরুণ নির্মাতাদের জন্য ২১টি পাঁচদিনব্যাপী চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা, ৬টি ফিল্ম এ্যাপ্রিসিয়েশন ওয়ার্কশপ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য ১৮টি সেমিনার রয়েছে। ‘অশ্বারোহী তাসমিনা’ প্রামাণচিত্র পরিচালনায় ফরিদুর রহমান, প্রযোজনায় মাহবুবা বেগম হেনা। চিত্রগ্রহণে শোভন বিশ্বাস ও মঞ্জুর আলম, সম্পাদনায় শাহিনুল ইসলাম। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে নওগাঁ জেলার প্রত্যন্ত এক গ্রামের এগারো বছর বয়সের তাসমিনা প্রতিবেশী এবং সহপাঠীদের মধ্যে ‘ঘোড়াওয়ালি’ নামে পরিচিত। যে দেশে পনেরো বছর বয়স হওয়ার আগেই বেশিরভাগ মেয়ের বিয়ে হয়ে যায়Ñসেখানে তাসমিনা আরও অন্তত পাঁচ বছর ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার আশা রাখে। দেশের গ্রামীণ সমাজেÑযেখানে বড় মেয়েদের মাঠে ময়দানের খেলাধুলায় অংশগ্রহণে বিস্তর আপত্তি ওঠে, সেখানে ঘোড়দৌড় তো অকল্পনীয় ব্যাপার। তাসমিনা যখন তার চেয়ে বেশি বয়সের পুরুষ প্রতিযোগীদের পেছনে ফেলে প্রতিযোগিতায় প্রথম বা দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে নেয়।
×