ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পরিস্থিতির আজ উন্নতি হবে

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সঙ্কট ॥ বিবিয়ানায় উৎপাদন হ্রাস

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬

ঢাকা-নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সঙ্কট ॥ বিবিয়ানায়  উৎপাদন  হ্রাস

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ওয়ার্কওভারের (কূপের সংস্কার) জন্য আন্তর্জাতিক তেল-গ্যাস কোম্পানি শেভরন বাংলাদেশ ২৪ ঘণ্টার জন্য গ্যাসক্ষেত্রটির কয়েকটি কূপ বন্ধ রেখেছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে উৎপাদন বন্ধ রাখায় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের আশপাশের এলাকায় গ্যাসের সঙ্কট দেখা দেয়। তিতাস বলছে, এতে তাদের ১২০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিবিয়ানা থেকে সরবরাহ কমিয়ে দেয়ায় শুক্রবার থেকেই গ্যাসের সঙ্কট ছড়িয়ে পড়েছে। তবে তিতাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ শনিবার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। শুক্রবার ছুটির দিন হলেও গ্যাসের সঙ্কটে ভুগেছে আবাসিক গ্রাহকরা। রাজধানীর কোন কোন এলাকায় তীব্র গ্যাসের সঙ্কট দেখা গেছে। দেশে মোট উৎপাদন এখন দুই হাজার ৭০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এরমধ্যে এককভাবে বিবিয়ানা ক্ষেত্র থেকে এক হাজার ২৪০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। দৈনিক উৎপাদনের অর্ধেক গ্যাসের সংস্থান করা হয় বিবিয়ানা থেকে। প্রতিদিন বিবিয়ানা থেকে এককভাবে এক হাজার ২০০ মিলিয়ন ঘনফুট উৎপাদন করা হয়। এমনিতে শীতে রাজধানীতে গ্যাসের চরম সঙ্কট শুরু হয়েছে। গাজীপুর-ঢাকা এবং নারায়ণগঞ্জে গৃহস্থালির সঙ্গে শিল্পেও সঙ্কট ছড়িয়ে পড়েছে। কোন কোন এলাকায় গ্যাসের চাপ এতই কমে যাচ্ছে যে, দিনে শিল্পের চাকা ঘুরছে না। গ্যাসের চাপ দুই পিএসআইতে নেমে আসছে। গাজীপুরের একজন শিল্প মালিক জানান, কারখানায় বেশিরভাগ দিন গ্যাসের চাপ সকালের দিকেই দুই পিএসআইতে নেমে আসে। এতে কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তিতাসকে দফায় দফায় বিষয়টি জানালেও কোন লাভ হচ্ছে না। একেক সময় তিতাসের তরফ থেকে একেক কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু সঙ্কটের কোন সমাধান হচ্ছে না। গাজীপুরের স্থানীয় তিতাসের একজন কর্মকর্তা জানান, বিদ্যুত উৎপাদন এবং সারের জন্য তিতাসকে অনেক বেশি গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে শিল্পে গ্যাসের সরবরাহ কমিয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে এ সঙ্কটের সৃষ্টি হয়েছে। এ সমস্যার এখনই কোন সমাধান হবে বলে মনে করেন না তিতাস গ্যাস বিতরণ কোম্পানির এ কর্মকর্তা। তবে গাজীপুরে পৃথক আরেকটি পাইপলাইন নির্মাণের কাজ চলছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির দিকে শেষ হলে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হবে। এদিকে শুক্রবার বনশ্রীর এক গৃহিণী জানান, সকাল থেকেই গ্যাস চলে যাচ্ছে আর আসছে বিকেলের দিকে। প্রতিবার শীতেই গ্যাসের এ সঙ্কট সহ্য করতে হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তবে গতবারের তুলনায় এবার সঙ্কটটা একটু বেশি বলে মনে করেন তিনি।
×