ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও রোকেয়া পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী

উন্নয়নের জন্য নারীকে অবহেলার কোন সুযোগ নেই

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬

উন্নয়নের জন্য নারীকে অবহেলার কোন সুযোগ নেই

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করার লড়াইয়ে নারীর অংশগ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, দেশের উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন অপরিহার্য। সমাজের কোন ক্ষেত্রেই নারীকে অবহেলা করার সুযোগ নেই। তবে পুরুষ শাসিত এ সমাজে মুখে অধিকারের কথা বললে হবে না। অধিকার আদায় করে নিতে হয়, তাই নারীদের অধিকার আদায়েও সচেষ্ট হতে হবে। আমরা নারীদের জন্য সুযোগ করে দিয়েছি। এটা কাজে লাগাতে হবে। বর্তমান সরকার শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে চায়, যাতে প্রত্যেক নারী অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয় এবং উন্নত জীবনযাপন করতে পারে। নিজের সংসার ও সমাজকে যেন গড়ে তুলতে পারে। শুক্রবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন ও রোকেয়া পদক-২০১৬ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শতবর্ষ আগের সমাজ বাস্তবতায় বেগম রোকেয়া তখনই বুঝতে পারেনÑ ‘নারীকে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েই মুক্তি অর্জন করতে হবে। শিক্ষাই হলো সেই স্বনির্ভরতার সোপান।’ তিনি বলেন, আমরা সব সময় এটাই বিশ্বাস করি যে, শিক্ষা ছাড়া প্রকৃত উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্যই শিক্ষার প্রতি আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকের দিনে সকলকে অভিনন্দন জানাই এবং সকলের কাছে আমি আমার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের জন্য দোয়া চাইÑ আজকে তাঁর জন্মদিন। দোয়া করবেনÑ সে যা কাজ করে যাচ্ছে তাতে যেন সফল হয়। এ দেশের প্রতিবন্ধী বা অটিস্টিক যারা তাদের চিকিৎসা সেবা প্রদান, তাদের জীবনকে অর্থবহ করার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আমি আপনাদের কাছে তাদের জন্যও দোয়া চাই।’ মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম। অনুষ্ঠানে নারী উন্নয়নে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সমাজকর্মী এ্যারোমা দত্ত এবং শিক্ষিকা বেগম নুরজাহানকে ‘রোকেয়া পদক-২০১৬’ প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে দুই লাখ টাকার চেক, ১৮ ক্যারেট স্বর্ণের পদক ও সনদপত্র বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কার প্রদানকালে দুই পদক বিজয়ীর জীবনী পড়ে শোনান মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম। প্রধানমন্ত্রী আলোচনা পর্ব শেষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘জ্বালাও বহ্নিশিখা’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। প্রধানমন্ত্রী আগামীতে রোকেয়া পদক দুইজনের স্থলে পাঁচজনকে দেয়ার সরকারী সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামীতে দুজন নয়, পাঁচজনকে রোকেয়া পদক প্রদান করা হবে। কারণ আমাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আজকে মেয়েরা যথেষ্ট অবদান রাখছেন। তৃণমূল পর্যায় থেকে যারা অত্যন্ত সীমিত সুযোগ নিয়ে নারী শিক্ষায়, নারী জাগরণে, নারীর উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন আমরা তাদেরই পুরস্কৃত করতে চাই। একেবারে তৃণমূল পর্যায় থেকেই তাদের খুঁজে আনতে চাই এবং পুরস্কারের এ সংখ্যাটি আমরা বাড়াতে চাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুরস্কারটি আর কিছু নয়, এটি একটি উৎসাহ বা প্রেরণা দেয়া, একটা সম্মান দেয়া। কাজেই আজকে যারা পুরস্কার পেয়েছেন তাদের আমি সম্মান জানাচ্ছি এবং আমাদের নারী জাগরণে আপনারা আরও এগিয়ে আসবেনÑ সেটাই প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন কেবল শহর পর্যায় থেকে নয়, তৃণমূল থেকেই যেন হয়, সে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। এজন্য নারীদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আমরা করে যাচ্ছি। নারীদের কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারণ করার এবং বিভিন্ন ধরনের কাজ যেন তারা করতে পারে, সেজন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি এবং বিভিন্নভাবে তাদের ট্রেনিং দেয়া হচ্ছে। যেমন- মৎস্য চাষ, কৃষি, হাঁস ও মুরগি পালন, হাউজ কিপিং এ্যান্ড কেয়ার গিভিং, বিউটিফিকেশন, মাশরুম চাষ, রন্ধন প্রক্রিয়াকরণ ও বিপণন, বেসিক কম্পিউটার, আধুনিক গার্মেন্টস, মধু চাষ, লন্ড্রি এমব্রয়ডারি, ড্রাইভিং, ছোট-ছোট যন্ত্রপাতি মেরামতকরণ বিষয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। শেখ হাসিনা বলেন, বেগম রোকেয়ার নিজের লেখা কাব্যগ্রন্থে নারীর মুক্তিতে তার দর্শনের পরিচয় পাওয়া যায়। জাগরণের কাজ ‘কঠিন সাধনার’ মন্তব্য করে তিনি লিখেছিলেনÑ ‘কোন ভাল কাজ অনায়াসে হয় না।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজকে নারী উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্বে মর্যাদা পাচ্ছে। মেয়েরা যেন সর্বক্ষেত্রে তাদের অবস্থান সুদৃঢ় করতে পারে সেজন্য বিভিন্ন কর্মসূচী আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমাদের পুরুষ সদস্যদের মনে রাখতে হবেÑ মায়ের কোলে বড় হতে হয়, বোনের হাত ধরে হাঁটা শিখতে হয়, স্ত্রী রান্না-বান্না করে সেবা করে আর বৃদ্ধ বয়সে মেয়েই সেবা করে। তাই নারীকে অবহেলা করা চলবে না। সমাজের অর্ধেক সদস্য নারী; তারা শিক্ষাবঞ্চিত থাকলে সমাজ কখনও গড়ে উঠতে পারবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর তার সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে সংরক্ষিত আসনে মহিলা কাউন্সিলর এবং পরবর্তীতে উপজেলা পর্যায়ে ভাইস চেয়ারম্যানের পদ সৃষ্টি করে। দুইজন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান থাকতে হবে। উন্নয়নের জন্য যেসব কমিটি হবে সেসব কমিটিরও অন্তত ৫টি কমিটিতে নারীরা চেয়ারম্যান থাকবেন, যাতে তারা উন্নয়নের কাজে নিজেদের সম্পৃক্ত করতে পারেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের স্পীকার একজন নারী, সংসদ নেতা, সংসদ উপনেতা ও বিরোধীদলীয় নেত্রীও নারী। জাতীয় সংসদের চারটি গুরুত্বপূর্ণ পদই নারীরা দখল করে আছে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হবেন মেয়েরা এটা কেউ কোনদিন স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি। যা হোক, আমি উদ্যোগ নেই এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী ভিসি-প্রো-ভিসি নিয়োগ দেয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আছেন। তারা কিন্তু খুব ভালও করছেন। এমনকি আমরা বুয়েটেও দিয়েছিলাম (নারী ভিসি) কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য তিনি হঠাৎ ক্যান্সারে মারা যান। বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী প্রো-ভিসি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ভবিষ্যতে আরও মহিলাকে দায়িত্ব দেয়ার ইচ্ছা আছে। কারণ আমরা দেখেছি মহিলাদের দায়িত্ব দিলেই তারা ভালভাবে এ্যাডমিনিস্ট্রেশন চালাতে পারে। তিনি বলেন, বিচার বিভাগে প্রথম হাইকোর্টের মহিলা জজ আমরা আওয়ামী লীগ সরকারই নিয়োগ দেই। রাষ্ট্রপতিকে বলেই আমি এটা করাই। এখন তো এ্যাপিলেট ডিভিশন পর্যন্ত এবং আমাদের সরকারের সময়ই এটা হয়েছে। প্রশাসনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের মেয়েরা অবদান রাখছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা যেমন বর্ডার গার্ডে মেয়েদের নিয়োগ দেয়া শুরু হয়েছে। আমাদের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীতে পূর্বে কিন্তু মেয়েদের কোন স্থান ছিল না। ১৯৯৬ সাল থেকেই আওয়ামী লীগ সরকার সেটা শুরু করে। এখন প্রতিটি বাহিনীতেই আমাদের মেয়েরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছে এবং আমাদের মেয়েরা কিন্তু ফাইটার প্লেনও চালাচ্ছে। তারা দুর্গম গিরিশৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করেছেন। আমাদের মহিলা দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, দাবা ও ফুটবল খেলছে; দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, তথ্যপ্রযুক্তি, সশস্ত্র বাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, ক্রীড়া জগতসহ সব চ্যালেঞ্জিং কাজে নারীদের পেশাদারিত্ব প্রশংসনীয়। শেখ হাসিনা বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়নে তার সরকারের ব্যাপক কার্যক্রমের সাফল্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একের পর এক স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টে বিশ্বের ১৪২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৬৮তম স্থানে রয়েছে। নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সপ্তম স্থান অর্জন করেছে। শিক্ষাসহ নানা ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ছেলেদের চেয়ে এখন মেয়েদের অংশগ্রহণ বেশি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। মহিলা শিক্ষিকার সংখ্যাও বেশি। জেন্ডার সমতা নিয়ে যারা কথা বলেন তাদের বলি, আমাদের দেশে ঘটনা কিন্তু উল্টো। স্কুলগুলোতে মেয়েদের সংখ্যা ছেলেদের চেয়ে বেশি। এখন ভাবতে হচ্ছে ছেলেদের সংখ্যাও আবার কিভাবে বাড়িয়ে তোলা যায়। সরকারী বিভিন্ন প্রকল্পে নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলোতে বাধ্যতামূলক অগ্রাধিকার রয়েছে। এছাড়া এসএমই ফাউন্ডেশন থেকে সহজে ঋণ দেয়া হচ্ছে, এতে তারা ব্যবসার প্রসার ঘটাতে পারছেন। নারী উন্নয়নে জাতির পিতার পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত নারীদের পুনর্বাসন ও ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে ‘নারী পুনর্বাসন বোর্ড’ গঠন করেন। এ কাজে তাঁকে নেপথ্যে থেকে সর্বাঙ্গীন সহায়তা করেন আমার মা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার সাড়ে তিন বছরের শাসনের পদাঙ্ক অনুসরণ করে আমাদের সরকার দেশে নারী জাগরণে বিপ্লব ঘটিয়েছে। বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশ এখন নারী উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। সরকারের নারী উন্নয়নে গৃহীত পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করেছে। মাতৃত্বকালীন ছুটির মেয়াদ স্ববেতনে ৪ মাস থেকে ৬ মাসে বর্ধিত করা হয়েছে। সন্তানের পরিচয়ের ক্ষেত্রে মায়ের নাম লেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে ৫০ করা হয়েছে। তিনি বলেন, নারী ও পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আমরা ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশকে একটি উচ্চ-মাধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবÑ এটিই হোক রোকেয়া দিবসে আমাদের অঙ্গীকার। নারী জাগরণ ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে পাওয়া ‘বেগম রোকেয়া পদক’ সকল নারীর জন্য উৎসর্গ করেছেন সংগ্রামী ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের নাতনি ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য এ্যারোমা দত্ত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক নেয়ার সময় নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি এই সমাজকর্মী। মঞ্চেই মুখে হাত দিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। পদক নেয়ার পর বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে বলেন, ‘এ পুরস্কার সব সংগ্রামী, সকল নারীদের। আমি শুধু বাহক। আমার কোন অর্জন নাই। আমি আমার এই সম্মান, এই পদক উনাদের পায়ে তুলে দিলাম। কারণ উনারাই আজকে আমাদের দেশকে গৌরবান্বিত করেছেন।’ তিনি বলেন, ‘জীবনে কখনও ভাবতে পারি নাই আমি বেগম রোকেয়া পদক পাব। এ কথা গল্পের মতো আমার কাছে। আমি অত্যন্ত গর্বিত।’ রোকেয়া পদক পাওয়ায় গ্রামবাংলার প্রতিটি নারীর মুখে হাসি ফোটাতে আরও বেশি কাজ করার দায়িত্ব অনুভব করার কথাও বলেন তিনি।
×