ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে: খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ০১:১৯, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬

দেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে: খালেদা জিয়া

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময় বয়ে চলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের পর ক্ষমতাসীন সরকার সীমাহীন রক্তপাত ও বেপরোয়া নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্য দিয়ে জনগণের সকল গণতান্ত্রিক অধিকারকে হরণ করে নিয়েছে। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার মানবাধিকারের পরিপূরক। কিন্তু বর্তমানে দেশের মানুষের মানবাধিকার শূণ্যের নিচে অবস্থান করছে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে শুক্রবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া বলেন, এ বছরের মানবাধিকার দিবসের শ্লোগান হচ্ছে ‘বছরের ৩৬৫ দিনই মানবাধিকার দিবস’। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে মনে হয়, ৩৬৫ দিনই এদেশের মানুষের মানবাধিকার হরণের দিবস। তিনি বলেন, বর্তমান শাসকদের নৈরাজ্যকর দুঃশাসনের ছোবল থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের এই মূহুর্তে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। দেশের মানুষের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার জন্য জনগণের মিলিত কন্ঠের আওয়াজ তুলে বর্তমান অপশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গিকার। খালেদা জিয়া বলেন, জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে মানবাধিকার দিবস ঘোষনা করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর এই দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। এই দিনে আমি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক মানবিকাধিকারহারা নির্যাতিত মানুষের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। যারা বাক, ব্যাক্তি, চিন্তা, প্রার্থনা, মূদ্রণসহ নাগরিক স্বাধীনতার জন্য সোচ্চার হতে গিয়ে ক্ষমতাসীন স্বেচ্ছাচারী গোষ্ঠির নৃশংস নিপীড়নে আত্মদান করেছেন তাদের প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। বিএনপি চেয়ারপারসন অভিযোগ করেন, শুধু মাত্র বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী ও শিশুসহ কারোই কোন নিরাপত্তা নেই। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল নিরেপক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং কাউকে কাউকে কারাঅন্তরীনও করে রাখা হয়েছে। খালেদা জিয়া বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে মানুষ একদলীয় স্বেচ্ছাচারী শাসন, গোষ্ঠী, বর্ণ ও জাতিগত সংঘাতে অবলীলায় খুন ও গুপ্ত হত্যার শিকার হচ্ছে। অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে অনেক মানুষ। মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ডের শিকার হচ্ছে। অথচ জাতিসংঘের সার্বজনিন ঘোষনায় বলা হয়েছে বিশ্বের সব জাতির সকল মানুষের মানবাধিকার সংরক্ষনের নিশ্চয়তা থাকতে হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন,বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার শুধুমাত্র ক্ষমতাকে চিরস্থায়ীভাবে ধরে রাখার জন্য জনমতকে অগ্রাহ্য করছে। আর সেজন্য জনগণের মানবাধিকারের ত্বোয়াক্কা করে না। দুঃশাসনের অচলায়তন তৈরী করতে গিয়ে তারা প্রতিবাদি জনগণের উপর নামিয়ে আনে পৈশাচিক উৎপীড়ন।
×