ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফারহানা অদ্রিতা

হলিউডে ব্যস্ত ম্যারিওন কটিলার্ড

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬

হলিউডে ব্যস্ত ম্যারিওন কটিলার্ড

জনপ্রিয় অভিনেতা ব্র্যাড পিটের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে আগ্রহী পৃথিবীর অনেক জাঁদরেল নায়িকা। ব্র্যাড পিটের পর্দা প্রেমিকা হওয়ার স্বপ্নে বিভোর থাকলেও সবার সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না। কারণ বিশ্বখ্যাত এই অভিনেতার সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতাটাই সম্পূর্ণ আলাদা। স্ত্রী এ্যাঞ্জেলিনা জোলির সঙ্গে ব্র্যাড পিটের বিচ্ছেদ প্রসঙ্গ নিয়ে যখন দুনিয়াজুড়ে তোলপাড় চলছে, তখন মুক্তি পেয়ে জনপ্রিয় অভিনেতা ব্র্যাড পিটের নতুন সিনেমা ‘এ্যালাইড’। ব্রিটিশ-আমেরিকান এই রোমান্টিক থ্রিলার সিনেমার গল্প আবর্তিত হয়েছে দুই খুনী আততায়ীর বাস্তব জীবনের কাহিনী অবলম্বনে। এক জার্মান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে হত্যার মিশনে নামার পর তারা পরস্পরের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং প্রেমে পড়েন। এ্যালাইড ছবির দুই প্রবীণ চরিত্র ম্যাক্স ভাটেন ও ম্যারিয়ান্নি বিওসেজর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যথাক্রমে ব্র্যাড পিট ও ম্যারিওন কটিলার্ড। গত ফেব্রুয়ারিতে লন্ডনে এ ছবির মূল শূটিং শুরু হয়েছিল। কানাডিয়ান ইন্টেলিজেন্স অফিসার ম্যাক্স ভাটেন আর ফরাসী নারী যোদ্ধা ম্যারিয়ান্নি বিওসেজর এক জার্মান কর্মকর্তাকে হত্যার মিশনে নামার পর পরস্পরের কাছাকাছি চলে আসেন। তার প্রেম ভালবাসার মিষ্টি মধুর আবেশের পাশাপাশি তাদের হত্যা মিশনের থ্রিল সাসপেন্স চমৎকারভাবে তুলে ধরা হয়েছে। রোমান্টিক থ্রিলার ধাঁচের এ ছবিতে। ম্যারিয়ান্নি চরিত্রটি এক ফরাসী নারীর আর এই চরিত্রটি পর্দায় রূপায়ণ করেছেন প্রখ্যাত ফরাসী অভিনেত্রী ম্যারিওন কটিলার্ড। ৪১ বছর বয়সী সুন্দরী মেধাবী এই অভিনেত্রীর অভিনয় জীবন শুরু ফরাসী চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। যদিও এর আগে মঞ্চে ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিল। ‘হাইল্যান্ডার’-এর মতো টিভি সিরিজেও অভিনয় করেছেন একসময়ে। তখন তার বয়স ছিল অনেক কম। ৯০ দশকের মাঝামাঝি সময়ে বেশকিছু ছোট্ট অথচ চোখে পড়ার মতো রোলে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য ফরাসী সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘দ্য স্টোরি অব এ বয় হু ওয়ান্টেড টু বি কিসড’, ‘মাই সেক্স লাইফ- অর হাউ আই গট ইন টু এন আরগুমেন্ট’, ‘ট্যাক্সি’, ওয়ার ইন দ্য হাইল্যান্ডস, ফুরিয়া, ট্যাক্সি টু, লিসা, প্রিটি থিংস, এ প্রাইভেট এ্যাফেয়ার প্রভৃতি। প্রচুর ফরাসী শর্ট ফিল্মে তাকে দেখা গেছে বিভিন্ন সময়ে। এভাবেই ম্যারিওন কটিলার্ডের খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে দুনিয়াজুড়ে। এক পর্যায়ে হলিউড থেকে তার কাছে ডাক আসে। টিম বার্টনের ‘বিগ ফিস’ ছবিতে একটি পার্শ্বচরিত্রে দুর্দান্ত অভিনয়ের মাধ্যমে হলিউডে চমক সৃষ্টি করেন। ওটাই ছিল তার প্রথম আমেরিকান সিনেমা। যা মুক্তি পেয়েছিল ২০০৩ সালে। যে ছবিতে হলিউডের বেশ কযেক নামি-দামি জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা-অভিনেত্রীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে দুর্দান্ত অভিনয় করেছিলেন কটিলার্ড। একই বছরে মুক্তি পায় তার অভিনীত ফরাসী রোমান্টিক কমেডি ছবি ‘লাভ মি ইফ ইয়্যু ডেয়ার।’ ২০০৪ সালে তিনি ফান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে চপার্ড ট্রফি লাভ করেন। প্রায় কাছাকাছি সময়ে তাকে দেখা যায় দর্শক সমালোচকদের উচ্চ প্রশংসা অর্জনকারী ছবি ‘এ ভেরি লং এনগেজমেন্ট’-এ। যাতে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেত্রীর সিজার এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন। রহস্যপূর্ণ থ্রিলার মুভি ইনোসেন্স’-এ ম্যাডামোজায়েল ইভা চরিত্রে ম্যারিওন কটিলার্ডের অভিনয় উচ্চ প্রশংসা লাভ করলে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়ে যায়।
×