ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাগরপুরে আবাদি জমিতে ১০ ইটভাঁটি

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬

নাগরপুরে আবাদি জমিতে ১০ ইটভাঁটি

ইফতেখারুল অনুপম, টাঙ্গাইল ॥ নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আবাদি জমি নষ্ট করে ও কাঠবাগানের পাশে অবৈধভাবে ১০ ইটভাঁটি স্থাপন করেছে প্রভাবশালীরা। আবাদি জমি ও সরকারী জায়গা দখল করে এবং কাঠবাগানের পাশে ইটভাঁটি কার্যক্রম চললেও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। অবৈধভাবে ভাঁটি স্থাপন, আবাদি জমির মাটি কেটে ভাঁটিতে মাটি সংগ্রহ ও জ্বালানি হিসেবে বনজ সম্পদ উজাড়ের কারণে নাগরপুরে ভাটপাড়া গ্রামে খোরশেদ মার্কেট এলাকায় অবৈধভাবে নতুন দুটি ইটভাঁটি গড়ে ওঠায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে জীববৈচিত্র্য ও জনবসতি হুমকির মুখে পড়েছে। ইটভাঁটি সংলগ্ন গ্রামের ভাটপাড়া, বীরসলিল, নলসন্ধ্যা, ডাংগা, দুয়াজানী, বেকড়া, বনগ্রাম, গয়হাটা, পাকুটিয়া, আগতারাইলের জনসাধারণ ভাঁটির কার্যক্রম বন্ধের আবেদন করলেও এ পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। ইটভাঁটির মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। খোরশেদ মার্কেট, দুয়াজানী, বনগ্রাম, পাকুটিয়া, আগতারাইল, ডাংগা, মীরনগর ও বেকড়ায় সিন্ডিকেট ইট ব্যবসায়ীরা সরকারের অনুমোদন ও পরিবেশ অধিদফতরের ছাড়পত্র ছাড়াই ১০টি ইটভাঁটি স্থাপন করেছে। এমবি ব্রিকসের মালিক বাবুল দেওয়ান বলেন, স্থানীয় ভূমি মালিকদের কাছ থেকে অধিকাংশ জমি লিজ বা ক্রয় করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ইটভাঁটি করা হয়েছে এবং জমির মালিকদের কাছ থেকে মাটি ক্রয় করে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে জমির মালিকরা লাভবান হচ্ছেন। আবাদি জমির ওপর অবৈধভাবে ইটভাঁটি স্থাপন করায় জনবসতি হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদ ইলাহী বলেন, উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১০টি ইটভাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। তদন্তসাপেক্ষে অচিরেই এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চলাচল অনুপযোগী সড়ক ॥ দুর্ভোগে ৫০ হাজার মানুষ নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ৭ ডিসেম্বর ॥ জয়পুরহাট শহরের ব্যস্ততম রেলগেট-ট্রেনিং কমপ্লেক্স সড়কটি কর্তৃপক্ষের অবহেলায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ফলে জয়পুরহাট চিনিকল, পৌরসভার বামনকুন্ডা, বুলুপাড়া, নিশির মোড়, তাজুর মোড়, স্টেডিয়াম, বনমালী পাড়া, আয়মারসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর, বুধুইল, গোপিনাথপুর, নিকতীপাড়া, মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের বেল আমলা, জুংগিপাড়া, মাংনিপাড়া, কেশবপুর, পশ্চিম পারুলিয়া, বলরামপুর, দোগাছী ইউনিয়নের ঘাসুরিয়া, জিতাপুর, রাঘবপুর, চকশ্যাম, উত্তর জয়পুর, দোগাছী, বাগুয়ান, ধলাহার ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অর্ধ কিলোমিটার এই সড়কটি ২০১১-১২ চিনিকল আখ মাড়াই মৌসুমে প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয়ে সংস্কার হওয়ার পরপরই ভেঙ্গেচুরে চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়ে। সেই থেকে সড়কটি বেহাল।
×