ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বছর শেষে কিছুটা উদ্বৃত্তও থাকে ১৬ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চালের উৎপাদন

কৃষি উন্নয়নে সঠিক পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:১২, ৮ ডিসেম্বর ২০১৬

কৃষি উন্নয়নে সঠিক পথেই হাঁটছে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ টেকসই উন্নয়নে প্রত্যাশা মতোই এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষি খাত। স্বাধীনতার চার দশক পর বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতি নিয়ে এ মূল্যায়ন বিশ্বব্যাংকের। তবে এ খাতের উন্নয়নে গবেষণা কার্যক্রম যতটা গুরুত্ব পাওয়ার কথা, সে তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বলেও মনে করে সংস্থাটি। আর মৎস্য বিজ্ঞানীদের মতে, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কৃষিতে খাদ্যশস্যের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা রয়েছে মৎস্য খাতে। ৪৫ বছর আগে খাদ্য ঘাটতি নিয়ে জন্ম হয়েছিল যে কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের, বর্তমানে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ লাল-সবুজের সেই দেশ। বছর শেষে কিছুটা উদ্বৃত্তও থাকে ১৬ কোটি মানুষের প্রধান খাদ্যশস্য চালের উৎপাদন। খাদ্যের যোগান আর শিল্প সহায়ক উপাদান কিংবা কর্মসংস্থান, সবকিছু মিলিয়ে যে পথে হাঁটার কথা, ঠিক সেই পথেই হাঁটছে বাংলাদেশের কৃষি। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কৃষিজমির উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। বিপণন ব্যবস্থাও গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান তিনি। তবে নদী ভাঙ্গন, বসতি স্থাপন আর জলবায়ুর পরিবর্তন, এসব কিছুর কারণে ক্রমেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে খাদ্যশস্যের ফলন। এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্র সীমার বড় একটা অংশে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দেশের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনা যোগ করেছে মৎস্য খাত। ঢাবির সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান বলেন, ইচ্ছে করলে মুক্তা চাষ করা যায়। এছাড়া অন্যান্য অনেক কিছু সমুদ্র থেকে পাওয়া সম্ভব। এ অবস্থায় খাদ্যশস্য কিংবা মৎস্য, বহুমুখী কৃষি খাতের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে লাগসই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের। ঢাবির সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান আরও বলেন, এ সকল কারণে যে পরিমাণ গবেষণা দরকার তা হচ্ছে না। উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে কৃষিপণ্যের চাহিদা-যোগানের পরিসংখ্যানে হয়ত ভারসাম্য রক্ষা করা যাবে, কিন্তু শক্তিশালী বিপণন কাঠামো নিশ্চিত করা না গেলে এর পুরোপুরি সুফল পাওয়া নিয়ে থেকে যাবে অনিশ্চয়তা। পুরোপুরি সুফল পাওয়া নিয়ে থেকেই যাবে অনিশ্চয়তা। বরাবরই এমন শঙ্কা ও সম্ভাবনার কথা বলে আসছে সংশ্লিষ্টরা। তাই কৃষি টেকসই উন্নয়নে বাজার ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণে নজর রাখতে হবে সব সময়।
×