ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রাস্তার ধুলা থেকেই মিলছে সোনা!

প্রকাশিত: ২০:২২, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

রাস্তার ধুলা থেকেই মিলছে সোনা!

অনলাইন ডেস্ক॥ যেখানে দেখিবে ছাই, উড়াইয়া দেখ তাই, পাইলেও পাইতে পার অমূল্য রতন’ এই বাংলা প্রবাদটি হয়তো সকলের জানা। অনেকে হয়তো ঠাট্টা করেও বলেন ছাই থেকে যদি রত্ন পাওয়া যায় তবে আর কি লাগে। কিন্তু সত্যি বলতে এই কথাটির যথার্থ অর্থ খুঁজে পাওয়া যাবে কলকাতার বড় বাজার কিংবা বউ বাজারে গেলে। ভোর হতে না হতে ওখানকার মানুষ হাতে একটা ঠোঙা নিয়ে লেগে পড়েন ধুলা কুড়াতে। বাচ্চা থেকে বুড়া সকলেই থাকে এই দলে। বেশ দারুন জমজমা ব্যাপার। প্রথম দেখে হয়তো অনেক ভ্যাবাচ্যাকা খাবেন কিংবা গোটা কয়েক ভিমরিও খেতে পারেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে অনেক দামী জিনিস লুকিয়ে আছে এই ধুলোতে। এ দিয়ে অনেকের সংসার চলে রীতিমত। এতদূর শুনে নিশ্চয় মনে হচ্ছে বেশ ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার। ইন্ট্রো বড় না করে এবার একটু পরিস্কার করে বলা যাক। শিয়ালদহের বউ বাজার অথবা কলকাতার বড়বাজার মূলত পরিচিত সোনা পট্টি হিসেবে। এখানে শুধু যে বড় বড় সোনার দোকান আছে শুধু তা নয় এর সঙ্গে লাইন ধরে গলিগুলোতে আছে ছোট খাটো অনেক সোনার কারিগরদের দোকান। যারা দিনের ২৪ ঘণ্টায় সোনার গয়না বানানোর কাজ করে। গয়না তৈরির সময় যে সোনার গুঁড়ো মাটিতে পড়ে তা এতটাই সুক্ষ যে ব্যবহার করা যায়না। সকালে এবং রাতে দোকান যখন ঝাঁট দেওয়া হয় তখন ধুলার সঙ্গে সোনার গুঁড়া মিশে যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানেই এই সোনা মেশানো ধুলা কুড়ানোড় জন্য আশে পাশের অনেক বস্তির লোকেরা লেগে পড়ে। সকালে দোকানপাট খোলার আগে এরা ভিড় জমাতে থাকে। যে আগে যাবে সে অনেক বেশী ধুলা কুড়াতে পারবে তার তত বেশী লাভ করতে পারবে। ধুলা থেকে সোনা বাছাই করতে এরা সারাদিন যা ধুলা জমায় তা রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখে। পানির মধ্যে সব ধুলো নিচে থিতিয়ে যায় সোনার গুড়া পানিতে ভেসে ওঠে তা ছেঁকে আলাদা করে নেয়। এই প্রক্রিয়াতে চলে গোটা কাজটা। বউ বাজারের এক সোনার দোকানদার বলেন, ধুলা থেকে সোনা বাছাইয়ের কাজটা বেশ অনেকদিন থেকে চলে আসছে। এই কাজের সঙ্গে অনেকে যুক্ত আছে। এদের থেকে সোনার গুঁড়াগুলো অল্পদামে কিনি।
×