ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শর্ট বলে বিজয়ের দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছেন না কুম্বলে

প্রকাশিত: ২০:১১, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

শর্ট বলে বিজয়ের দুর্বলতা দেখতে পাচ্ছেন না কুম্বলে

অনলাইন ডেস্ক ॥ রাজকোটে প্রথম ইনিংসে সেই ১২৬-এর ইনিংসের পর টানা পাঁচ ইনিংসে তাঁর ব্যাটে রান নেই। মুরলী বিজয়। তার উপর চোট-আঘাত সমস্যা এমনই যে, মুরলীর ওপেনিং পার্টনারেরও ঠিকঠিকানা নেই। এক ম্যাচে কে এল রাহুল তো অন্য ম্যাচে পার্থিব পটেল। টেস্ট জিতে চললেও বিরাট কোহালির টিমের ওপেনিং জুটি নিয়ে দুশ্চিন্তার শেষ নেই। কবে যে ফের ওপেনাররা ইনিংসের ভিত তৈরি করা শুরু করবেন, এটাই এখন ভারতীয় ক্রিকেটে কোটি টাকার প্রশ্ন। মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সামলে না দিলে এটাই হয়তো সবচেয়ে বড় দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে উঠত। তবে ভারতীয় কোচের সে সব নিয়ে তেমন চিন্তা নেই। অনিল কুম্বলে বলছেন, মুরলী বিজয় রানে ফিরলেন বলে। যে কোনও ম্যাচে। যে কোনও ইনিংসে। হয়তো ওয়াংখেড়েতেই। শর্ট বলে মুরলী বিজয় দুর্বল— এমন অভিযোগকেও আমল দিতে চান না তিনি। মঙ্গলবার যেমন সাংবাদিকদের কুম্বলে বললেন, ‘‘বছর দু’য়েক ধরে বিজয় ধারাবাহিক ভাবে ভাল ব্যাটিং করে চলেছে। সিরিজটা তো ও শুরুও করেছে সেঞ্চুরি দিয়ে। এটা ঠিকই যে ও একই রকম বলে পরপর কয়েকটা আউট হয়েছে। কিন্তু তার মানে, ওই ধরনের বলই ওর দুর্বলতা, এটা বলা বোধহয় ঠিক নয়। ও যে কোনও মুহূর্তে বড় রান করে দেবে।’’ মুরলী বিজয়ের উপর কতটা ভরসা আছে টিম ম্যানেজমেন্টের, তা কুম্বলের পরের কথাগুলো থেকেই বোঝা যায়, ‘‘নেটে ওকে বেশির ভাগ সময় শর্ট বলই করা হচ্ছে এখন। কিন্তু বারবার কেন একই রকম বলে ও আউট হচ্ছে, এটা নিয়ে এত চর্চার কোনও কারণ দেখছি না।’’ ওপেনারদের কাছে ওয়াংখেড়ে চিরকালই আতঙ্কের মাঠ। এখানে সকালের দিকে বল এত নড়াচড়া করে যে এখানে ওপেনাররা বেশ চাপে থাকেন। মুরলী বিজয় এখানে একটাই টেস্ট খেলেছেন। তিন বছর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। একটাই ইনিংস খেলেছিলেন ৪৩ রানের। কিন্তু এ বার ওয়াংখেড়েতে মুরলীর সঙ্গী কে হবেন, তা নিয়ে এখনও অনিশ্চয়তা রয়েছে। মোহালিতে পার্থিব পটেল ওপেন করতে নেমে ভাল ব্যাট করলেও এই টেস্টে সম্ভবত কেএল রাহুল চোট সারিয়ে ফিরছেন এবং ওপেনও করবেন। কুম্বলে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন, ‘‘আমার মনে হয়, রাহুল এই ম্যাচে খেলতে পারবে। এই দু’দিন প্র্যাকটিসে দেখে নিতে হবে ওকে। আমরা তো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই ওপেনার-সমস্যায় ভুগছি। ওখানে বিজয় চোট পেয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিন টেস্টে তিনটে আলাদা ওপেনিং জুটি খেলেছে আমাদের। তখন শিখর ধবন চোট পেল। তার পর গৌতম গম্ভীর। যদিও চোট নিয়েও ও ব্যাট করেছিল। চোট-আঘাত তো আর আমাদের হাতে নয়। তবে এর একটা শেষ থাকা দরকার।’’ ঋদ্ধিমান সাহা যে এই টেস্টে খেলছেন না, তা এ দিন বোর্ড সরকারি ভাবে জানিয়ে দিল। তাঁকে আপাতত বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে ঋদ্ধিমান আপাতত ক’দিন বেঙ্গালুরুতেই থাকবেন বলে জানা গেল। ব্যাটসম্যানরা কোচকে যদি সামান্য হলেও চিন্তায় রাখে, তা হলে বোলারদের নিয়ে তিনি একেবারে নিশ্চিন্ত। বিশেষ করে যে ভাবে ফিল্ডিং সাজিয়ে সেই অনুযায়ী বোলারদের দিয়ে বল করাচ্ছেন ক্যাপ্টেন বিরাট কোহালি, তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করলেন বিরাটদের কোচ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘পার্টনারশিপে বোলিং করাটা দারুণ ব্যাপার। গত কয়েকটা টেস্টে আমাদের বোলাররা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছে। সারা সিরিজে মাত্র একবার পাঁচ উইকেট হয়েছে কোনও বোলারের। এর থেকেই বোঝা যায়, সব বোলারই পালা করে ভাল বল করেছে। তিন টেস্টে তিন রকমের পিচ পেয়েছি আমরা। আমাদের বোলাররা বিভিন্ন পিচে নিখুঁত ভাবে লেংথ অ্যাডজাস্ট করে আগ্রাসী বোলিং করেছে।’’ তবে ইংরেজদের বোলিং আক্রমণের সঙ্গে তাঁর দলের বোলিং বিভাগের তুলনা করতে রাজি নন অনিল কুম্বলে। উমেশ যাদব, মহম্মদ সামি, ভুবনেশ্বর কুমার, ইশান্ত শর্মা— সবার পারফরম্যান্সেই তিনি খুশি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×