ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আজ থেকে আবারও কমল সোনার দাম

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

আজ থেকে আবারও কমল সোনার দাম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক বাজারে অব্যাহত দরপতনের কারণে ১৫ দিনে ব্যবধানে দেশের বাজারে ভরিপ্রতি সোনার দাম সর্বোচ্চ ১ হাজার ১শ’ ৬৭ টাকা পর্যন্ত কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। সোনার দাম কমলেও রূপার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। নতুন মূল্য আজ বুধবার থেকে কার্যকর হবে। বাজুস’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী কমিটি সদস্যদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে সোনার দাম কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশের বাজারে স্বর্ণের মূল্য নির্ধারণ করে বাজুস। সর্বশেষ গত ২১ নবেম্বর ভরিতে সোনার দাম সর্বোচ্চ ৯৯২ টাকা কমেছিল। নতুন মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালমানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতিভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম হয়েছে ৪৪ হাজার ৭৯০ টাকা। বুধবার থেকে ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা ৪২ হাজার ৬৯০ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের সোনা প্রতিভরি ৩৭ হাজার ৩৩ টাকায় বিক্রি হবে। বর্তমানে ভরিপ্রতি এ দাম ২২ ক্যারেট ৪৫ হাজার ৮৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট ৪৩ হাজার ৮৫৭ টাকা ও ১৮ ক্যারেট ৩৭ হাজার ৯০৮ টাকা। ভরিতে ২২ ক্যারেটে এক হাজার ১০৮ টাকা, ২১ ক্যারেটে এক হাজার ১৬৭ টাকা ও ১৮ ক্যারেটের ক্ষেত্রে ৮৭৫ টাকা কমেছে। বুধবার থেকে সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি স্বর্ণের দাম হবে ২৪ হাজার ২৮ টাকা, এ মানের স্বর্ণের বর্তমান দাম ২৫ হাজার ১৯ টাকা। এক্ষেত্রে দাম কমেছে ৯৯১ টাকা। তবে রূপার (ক্যাডমিয়াম) দাম স্থিতিশীল আছে। ২১ ক্যারেটের প্রতিভরি রূপার দাম এক হাজার ৫০ টাকাই থাকছে। শিল্পঋণ বিতরণ বেড়েছে ১৬ শতাংশ অর্থবছরের প্রথম তিন মাস অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ৬২ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকার শিল্পঋণ বিতরণ করেছে। আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই ঋণ ১৫.৬৬ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে শিল্পঋণ বিতরণ হয়েছিল ৫৩ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকার। এই তিন মাসে শিল্পঋণের বড় একটি অংশ খেলাপিতে পরিণত হয়েছে। আলোচ্য তিন মাসে শিল্পখাতের খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১৮ শতাংশ। আবার আগের বিতরণ করা ঋণের মধ্যে থেকে আদায় বেড়েছে ৩৫ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ করা পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে। পরিসংখ্যাণ বিশ্লেষণে দেখা যায়, অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিতরণ করা ঋণের মধ্যে ১৩ হাজার ৪৪ কোটি টাকার মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ হয়েছে। আগের অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের তুলনায় এই ঋণ ২.৭২ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে মেয়াদি শিল্পঋণ বিতরণ হয়েছিল ১২ হাজার ৯৯ কোটি টাকার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ১ হাজার ১৭৯ কোটি টাকার শিল্পঋণ বিতরণ করেছে। যা এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৫.৬৫ শতাংশ বেশি। বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংকের বিতরণ বেড়েছে ১৪.৩৭ শতাংশ। বিদেশী বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিতরণ বেড়েছে ২০ শতাংশ। তবে বিশেষায়িত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর বিতরণ কমেছে ২২ শতাংশ। বিতরণ করা ঋণের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে বড় আকারের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে।
×