ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মাধবপুরে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

প্রকাশিত: ০৬:০২, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

মাধবপুরে তরমুজ চাষে ঝুঁকছেন কৃষক

সংবাদদাতা, মাধবপুর, হবিগঞ্জ ॥ মাধবপুর উপজেলায় গোপীনাথপুর গ্রামের স্বল্পশিক্ষিত কৃষক বদু মিয়া এলাকার একজন আদর্শ চাষী হয়ে উঠেছেন। তার খামারে এখন বারোমাসি তরমুজ উৎপাদিত হচ্ছে। হলদে রঙের এ তরমুজ খেতে সুস্বাদু। দেখতেও অনেক সুন্দর। চায়না হতে আমদানি করা নতুন জাতের তরমুজ ফল। এখন চাষ হচ্ছে মাধবপুরের এ কৃষকের খামারে। রাজধানী ঢাকার অভিজাত হোটেলগুলোতে এ জাতীয় তরমুজের প্রচুর চাহিদা। বারো মাস এ জাতের তরমুজ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করেন এ কৃষক বদু মিয়া। বদু মিয়ার দেখাদেখি অনেকেই এখন এ জাতীয় তরমুজ চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। অল্প সময়ে ফলন ও মূল্য ভাল পাওয়ায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে কৃষকরা বদু মিয়ার কৃষি খামার দেখতে আসছেন। বদু মিয়ার তরমুজ চাষাবাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা দেখতে অনেক কৃষক এখন তার কাছে পরামর্শ চাইতে যায়। কৃষক বদু মিয়ার সঙ্গে আলাপ করে বিদেশী হলুদ জাতের তরমুজের বীজ চায়না ও ভারত থেকে বীজ আমদানি করে তার জমিতে চাষাবাদ করে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া এ জাতীয় তরমুজ চাষের উপযোগী। এরপরই তার চিন্তায় আসে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে হলুদ তরমুজ চাষ করার। এ বছর বদু মিয়া ৩ বিঘা জমিতে বিদেশ থেকে আমদানি করা তরমুজের চাষাবাদ করেছে। তানীয়া মনিয়া, ব্ল্যাকবেরী, সামমাম এই তিন জাতের তরমুজে বদু মিয়ার ক্ষেত এখন ভরে গেছে। জমি চাষাবাদ করতে বীজ সার পরিচর্যাসহ প্রতি বিঘায় তার খরচ পড়েছে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা। তার ক্ষেতে ফলানো তরমুজ রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়। মৌসুম ভেদে প্রতি কেজি তরমুজ ১শ থেকে দেড়শ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। বদু মিয়ার তরমুজের সফলতা দেখে মাধবপুরের অনেক কৃষক লাভজনক বারোমাসি তরমুজ চাষ করতে এগিয়ে এসেছেন। মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল হক জানান, কৃষক বদু মিয়ার নতুন জাতের হলুদ তরমুজ উৎপাদনে কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। তার হাত ধরে এখন কৃষকরা এ জাতের তরমুজ ও অন্যান্য ফসল করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
×