ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি করছে সিএসই

প্রকাশিত: ০৬:০০, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

দেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি করছে সিএসই

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে বিদেশী কোম্পানি না আসায় এখন দেশী বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জ (সিএসই)। কৌশলগত বিনিয়োগকারী হতে আগ্রহী এমন তিন দেশীয় বিনিয়োগ কোম্পানিকে ইতোমধ্যে বাছাইও করেছে স্টক একচেঞ্জটি। শীঘ্রই তাদের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে এমন আশা সিএসই পরিচালনা পর্ষদের। সিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হতে আগ্রহী দেশীয় তিন প্রতিষ্ঠান হলো রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ(আইসিবি), লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স এবং জিএসপি ফিন্যান্স বাংলাদেশ লিমিটেড। এর আগে ডি-মিউচুয়ালাইজেশন (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথককরণ) এ্যাক্ট-২০১৩ অনুযায়ী নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এক চিঠিতে সিএসইকে পরবর্তী এক বছরের মধ্যে কৌশলগত বিনিয়োগকারীর সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরের সময় বেঁধে দেয়। এ সময়সীমা শেষ হচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। এর পরের এক বছরের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি করতে হবে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কৌশলগত বিনিয়োগকারী হতে আগ্রহীদের আবেদনপত্র চেয়ে গত ১৭ অক্টোবর সিএসই দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়। ২৪ নবেম্বর পর্যন্ত আগ্রহীদের আবেদন জমা দেয়ার শেষ সময় ছিল। অর্থাৎ আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আগ্রহী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এমওইউ করে বিএসইসিকে জানাতে হবে। এ বিষয়ে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, আমাদের হাতে মাত্র তিন কার্যদিবস সময় রয়েছে। কৌশলগত বিনিয়োগকারী হওয়ার জন্য বিদেশী কোন কোম্পানি এখনও আগ্রহী হয়নি। তবে আমাদের দেশীয় কিছু কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। আশা করছি বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যেই আমরা তাদের সঙ্গে এমওইউ করতে পারব। দেশীয় কোম্পানি কৌশলগত বিনিয়োগকারী হতে চাইলে আইনগত কোন বাধা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশী কিংবা বিদেশী যেকোন প্রতিষ্ঠানই কৌশলগত বিনিয়োগকারী হতে পারবে। এখানে আইনগত কোন বাধা নেই। সিএসই সূত্র জানায়, কৌশলগত বিনিয়োগকারী হতে ব্রামার্স এ্যান্ড পার্টনার্স, নাসডাক, বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইএফসির মতো বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে তারা সম্মতি দেয়নি। জানা যায়, আইন অনুযায়ী সিএসইর মোট শেয়ারের ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ কোটি ৮০ লাখ শেয়ার (প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকা করে মোট ১৫৮ কোটি টাকা) কৌশলগত বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রি করতে হবে। কৌশলগত বিনিয়োগকারী হতে পারবে খ্যাতনামা কোন স্টক বা কমোডিটি এক্সচেঞ্জ বা কোন আর্থিক বা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান। মূলত উন্নততর প্রযুক্তিগত সুবিধা, ব্যবস্থাপনাগত এবং ব্যবসা উন্নয়নে পরামর্শক সেবা পাওয়াই কৌশলগত বিনিয়োগকারী নেয়ার প্রধান উদ্দেশ্য। সিএসইর আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এক্সচেঞ্জটির বর্তমান পরিশোধিত মূলধন ৬৩৪ কোটি ৫২ লাখ ৪৮ হাজার ৪০০ টাকা। ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটির কর পরবর্তী প্রকৃত মুনাফা হয়েছে ২৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা; শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৯ পয়সা এবং প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) ১১ টাকা ৪৭ পয়সা। এর আগের বছর একই সময়ে প্রকৃত মুনাফা ছিল ৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা, ইপিএস ছিল ৬৭ পয়সা এবং এনএভি ছিল ১১ টাকা ৮ পয়সা।
×