ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রি-কোয়ার্টারে বাংলাদেশের বৃষ্টি

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

প্রি-কোয়ার্টারে বাংলাদেশের বৃষ্টি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বৃষ্টি খাতুন পাবনারই মেয়ে। ব্যাডমিন্টন কোর্টে নেমে প্রতিপক্ষকে নিজ দক্ষতায় নাকানি-চুবানি খাইয়ে পাগল বানিয়ে ছাড়েন। জাতীয় এই শাটলার মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ‘ইউনেক্স-সানরাইজ ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ব্যাডমিন্টন চ্যালেঞ্জে’ নিজের প্রথম খেলায় কুড়িয়ে নিয়েছেন জয়। পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়ামে (উডেন ফ্লোর জিমনেশিয়ামে) অনুষ্ঠিত খেলায় তিনি ২-১ সেটে হারিয়েছেন নেপালী প্রতিপক্ষ জেসিকা গুরুংকে। এই জয়ে বৃষ্টি পৌঁছে গেলেন মহিলা এককের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে। জেতার পর জনকণ্ঠকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, ‘খেলায় জেতার জন্য অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। তবে প্রথম সেটে অনেক ভুল করায় সেটা জিততে পারিনি। পরের সেটগুলোতে যথাসম্ভব কম ভুল করার চেষ্টা করেছি এবং প্রতিপক্ষের দুর্বল স্থানে আঘাত হানতে চেষ্টা করেছি।’ প্রতিপক্ষের দুর্বল দিকগুলোও বলে দিলেন বৃষ্টি, ‘ওর ব্যাকহ্যান্ডে সমস্যা ছিল। তাছাড়া আমি শর্ট সার্ভিস করেও সুফল পাই।’ একবিংশ বর্ষীয় বৃষ্টি শুরু একক নয়, অংশ নিচ্ছেন দ্বৈত এবং মিশ্র দ্বৈতেও। দ্বৈতে এবং মিশ্র দ্বৈতে তার সঙ্গী যথাক্রমে ইরিনা পারভীন রতœা এবং মিনহাজ। এই টুর্নামেন্টের ২০১৪ আসরে মিশ্র দ্বৈতে সেমিফাইনালিস্ট ছিলেন বৃষ্টি। এছাড়া ওই বছরই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের এককে সেমিফাইনালিস্ট এবং দ্বৈতে রানার্সআপ হন। এদিকে মহিলা এককের আশা-ভরসার দুই স্তম্ভ শাপলা আক্তার এবং এলিনা সুলতানা দু’জনই বিদায় নিয়েছেন প্রথম রাউন্ড থেকে। ভারতের রেশমা কার্তিকের কাছে হেরে যান শাপলা। প্রথম সেটে ৮-১ এবং দ্বিতীয় সেটে ১৬-১৫ পয়েন্টে এগিয়ে থেকেও জিততে পারেননি শাপলা। হেরে যান ২১-১৩, ২১-১৬ পয়েন্টে। ‘অনেকদিন পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললাম। প্রতিপক্ষ ছিল অনেক অভিজ্ঞ ও শক্তিশালী। তবে আমরা যদি এমন আন্তর্জাতিক ম্যাচ বেশি করে খেলার সুযোগ পাই, তাহলে আমাদের খেলার মান আরও উন্নত হবে।’ ম্যাচ শেষে শাপলার ভাষ্য। মজার ব্যাপারÑ বৃষ্টির মতো শাপলাও কিন্তু পাবনার মেয়ে। ‘সকাল ৯টায় মিশ্র দ্বৈত ম্যাচ খেলার চার ঘণ্টার মধ্যেই আবার এককের ম্যাচ খেলতে হয়েছে। দ্বৈতে খেলেই ক্লান্ত ছিলাম। সেটার প্রভাবেই এককে হেরেছি।’ ভিয়েতনামের প্রতিপক্ষের কাছে ২১-১৩, ২১-১৫ পয়েন্টে হারার পর এলিনার মন্তব্য। উল্লেখ্য, দ্বৈতে রাহাত কবির খালেদকে সঙ্গে নিয়ে এলিনা হেরে যান থাইল্যান্ডের কানিনপং ইয়কার্দ-নুতপ্রাউই প্রমদেজ জুটির কাছে ২১-১৭, ২১-১৩ পয়েন্টে। তবে এলিনা হেরে গেলেও দ্বৈতে জিতেছেন তার স্বামী এনায়েত উল্লাহ্ খান। নাবিলা আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচে ১৯-২১, ২১-১০, ২১-১৩ পয়েন্টে হারান মালদ্বীপের হুসেন যায়ান শাহিদ-মাইসা ফাথুউল্লাহ্ ইসমাইল জুটিকে। এছাড়া পুরুষ এককে বাংলাদেশের আরও তিনটি জয় আছে। মালয়েশিয়ার বুন হুই লিমের বিরুদ্ধে ওয়াকওভার পান আবদুল হামিদ লোকমান। আহসান হাবিব পরশ ২১-১৪, ২১-১৯ পয়েন্টে থাই প্রতিপক্ষ কৃসদা কলুমকে পরাভূত করে পরবর্তী রাউন্ডে উন্নীত হন। লাল চাঁদ হারান নেপালের দীপক বোহারাকে। ম্যাচের স্কোরলাইন ছিল ২১-১৬, ২১-১৪। তবে বিদেশী প্রতিপক্ষের কাছে এককে হেরে যান বাংলাদেশের আল আমিন যুমার, মিনহাজ মোহাম্মদ, তুষার কৃষ্ণ রায়, জাকারিয়া ইসলাম, জাহেদ রমজান এবং সাইফউদ্দিন। আর মহিলা এককে হেরে গেছেন বাংলাদেশের দুলালী হালদার, ঊর্মি আক্তার, রেহেনা এবং ইরিনা পারভীন রত্না।
×