ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ার্নারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

ওয়ার্নারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে সিরিজ অস্ট্রেলিয়ার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য সময় কাটানো ডেভিড ওয়ার্নারের সেঞ্চুরির সৌজন্যে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডকে ১১৬ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ‘চ্যাপেল-হ্যাডলি’ ট্রফি নিজেদের করে নিল স্টিভেন স্মিথের দল। কেবল একটি সিরিজ জয় নয়, এই সাফল্যে পুরো অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটই যেন প্রাণ ফিরে পেল। কারণ এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৫-০ ওয়ানডে ও ২-১এ টেস্ট হারের লজ্জায় ডুবেছিল তারা। ক্যানবেরায় নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৭৮ রানের বড় স্কোর গড়ে অসিরা। জবাবে ৪৭ ওভার ২ বলে ২৬২ রানে অলআউট হয় কেন উইলিয়ামসনের নিউজিল্যান্ড। ১১৯ রানের ম্যারাথন ইনিংস উপহার দিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ওয়ার্নার। চলতি বছর বাঁহাতি ওপেনারের এটি ষষ্ঠ সেঞ্চুরি, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে যা নতুন রেকর্ড। শুক্রবার মেলবোর্নে নিয়ম রক্ষার শেষ ওয়ানডে। টস হেরে ব্যাটিং পাওয়া অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়েছেন ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, ট্রেভর হেড ও মিচেল মার্শ। ১১৫ বলে ১৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ১১৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস উপহার দেন ওয়ার্নার। চলতি বছর এটি তার ষষ্ঠ ও সব মিলিয়ে ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি। এই বছর ওয়ার্নার ছাড়া বিশ্বের আর কোন ব্যাটসম্যান তিনটির বেশি সেঞ্চুরি পাননি। এক বছরে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড এখন ওয়ার্নারেরই। ৫টি করে সেঞ্চুরি আছে রিকি পন্টিং (২০০৩ ও ২০০৭) ও ম্যাথু হেইডেনের (২০০৭)। ৮৫ ইনিংসে এসেছে ওয়ার্নারের দশ নম্বর সেঞ্চুরি। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সবচেয়ে কম ১২৫ ইনিংসে ১০টি সেঞ্চুরির রেকর্ডটি ছিল মার্ক ওয়াহর দখলে। এক্ষেত্রে সর্বোপরি সবচেয়ে কম ৫৫ ইনিংসে রেকর্ডটা দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি’ককের। এ্যারন ফিঞ্চের সঙ্গে ৬৮ রানের উদ্বোধনী জুটিতে দলকে ভাল সূচনা এনে দেন ওয়ার্নার। তবে অধিনায়ক স্মিথের সঙ্গে তার ১৪৫ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিই খেলার পার্থক্য গড়ে দেয়। ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন কিউই পেসার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। স্মিথ ৭৬ বলে ৭২, হেড ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৩২ বলে ৫৭ রান করে আউট হন। তবে মিচেল মার্শের ইনিংসটা ছিল দর্শনীয়। মাত্র ৪০ বলে অপরাজিত ৭৬ রানের পথে ২ চার ও ৭টি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। জবাবে মার্টিন গাপটিলের আক্রমণাত্মক ৪৫ রানের পরও ৫২ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় কিউইরা। তৃতীয় উইকেটে উইলিয়ামসন (৮১)-নিশামের (৭৪) ১২৫ রানের জুটি আশা জাগালেও অধিনায়কের বিদায়ের পর পথ হারায় অতিথিরা। নিউজিল্যান্ডের শেষ সাত ব্যাটসম্যানের কেউ দায়িত্ব নিয়ে খেলতে পারেননি। কেউ ২০ পর্যন্তও যেতে পারেননি। ৪১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার প্যাট কুমিন্স। স্কোর ॥ অস্ট্রেলিয়া ইনিংস ৩৭৮/৫ (৫০ ওভার; ওয়ার্নার ১১৯, ফিঞ্চ ১৯, স্মিথ ৭২, হেড ৫৭, মার্শ ৭৬*, ওয়েড ১১, বেইলি ০*; হেনরি ০/৯১, বোল্ট ১/৮০, স্যান্টনার ১/৪৭, সাউদি ২/৬৩, গ্র্যান্ডহোম ১/৭৪, নিশাম ০/১২)। নিউজিল্যান্ড ইনিংস ২৬২/১০ (৪৭.২ ওভার; গাপটিল ৪৫, লাথাম ৪, উইলিয়ামসন ৮১, নিশাম ৭৪, মানরো ১১, গ্র্যান্ডহোম ১২, স্যান্টনার ২, ওয়াটলিং ১৭, সাউদি ২, হেনরি ৭, বোল্ট ২; স্টার্ক ২/৫২, হেজেলউড ২/৪২, কুমিন্স ৪/৪১ , ফকনার ২/৬৯)। ফল ॥ অস্ট্রেলিয়া ১১৬ রানে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)। সিরিজ ॥ তিন ম্যাচের ওয়ানডে অস্ট্রেলিয়া ২-০তে এগিয়ে।
×