ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল, আবাহনী ২-১ মোহামেডান

মোহামেডানকে হারিয়ে আরও এগোল ঢাকা আবাহনী

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

মোহামেডানকে হারিয়ে আরও এগোল ঢাকা আবাহনী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শীর্ষ অবস্থান এবং অপরাজিত থাকার কৃতিত্ব ছিল আগে থেকেই। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডকে ২-১ গোলে হারিয়ে শীর্ষস্থান ও অপরাজেয় থাকার গৌরব চলতি ‘জেবি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ’ ফুটবলে বজায় রেখেছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। মঙ্গলবার গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত মর্যাদার এই দ্বৈরথে অবশ্য প্রথমার্ধে কোন দলই গোল করতে পারেনি। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে মোহামেডানকে হারিয়ে লীগের শিরোপা জেতার ক্ষেত্রে আরেকটু এগিয়ে গেল আবাহনী। নিজের অষ্টাদশ ম্যাচে এটা আবাহনীর দ্বাদশ জয়। ৪২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে তারা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চট্টগ্রাম আবাহনীর চেয়ে এগিয়ে আছে ৫ পয়েন্টের ব্যবধানে। সমান ম্যাচে এটা মোহামেডানের সপ্তম হার। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে আগের দশম স্থানেই আছে সাদা-কালোরা। ম্যাচটি উপভোগ করতে স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দর্শক হাজির ছিলেন। ৫১ মিনিটে এগিয়ে যায় ঢাকা আবাহনী। বল নিয়ে মোহামেডানের বক্সে ঢুকে পড়েন জুয়েল রানা। তাকে জাপটে ধরেন গোলরক্ষক নেহাল। রেফারি মিজানুর রহমান নেহালকে হলুদ কার্ড এবং পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোন ভুল করেননি আবাহনীর ইংলিশ ফরোয়ার্ড লি টাক (১-০)। চলতি লীগে এটা লির ব্যক্তিগত দশম গোল। ৮১ মিনিটে সতীর্থ ফরোয়ার্ড ওয়াহেদ আহমেদের পাস থেকে বল পেয়ে বাঁপ্রান্ত দিয়ে ঢুকে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বল জালে পাঠান আবাহনীর নাইজিরিয়ান ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবা (২-০)। লীগে এটি সানডের উনবিংশ গোল, যা সর্বোচ্চ। ইনজুরি টাইমের শেষ মিনিটে (৯০+৩) পওমি লন্ড্রির গোলে ব্যবধান কমায় মোহামেডান (১-২)। তবে এই গোলে তাদের আক্ষেপই বেড়েছে কেবল। শেষ পর্যন্ত আর ম্যাচে ফেরা হয়নি মোহামেডানের। ফলে মর্যাদার লড়াইয়ে আরও একবার হার মেনেই (প্রথম লেগে আবাহনীর কাছে ৩-০ গোলে হেরেছিল মোহামেডান) মাঠ ছাড়ে সাদা-কালোরা। এই ম্যাচ দিয়েই শেষ হলো গোপালগঞ্জ ভেন্যুর খেলা। এরপর আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে আবারও ঢাকায় গড়াবে লীগের সর্বশেষ রাউন্ডের খেলা। গত লীগে অবশ্য পারস্পরিক মোকাবেলায় ভাল ফল করে মোহামেডানই। প্রথম সাক্ষাতে তারা আবাহনীকে হারায় ১-০ গোলে। ফিরতি মোকাবেলায় করে গোলশূন্য ড্র। আর সার্বিকভাবে লীগের হেড টু হেডে আবার এগিয়ে আছে আবাহনীই। পেশাদার লীগ চালু হবার পর এ পর্যন্ত উভয় দল মুখোমুখি হয়েছে ১৯ বার। আবাহনী জিতেছে ৭ বার, মোহামেডান ৪ বার। বাকি ৮ ম্যাচ ড্র হয়। আবাহনীর ১৮ গোলের বিপরীতে মোহামেডান করে ১৩ গোল। সাদা-কালো শিবির লীগে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে কবে, তা বোধকরি দলটির সমর্থকরাও ভুলে বসে আছেন। দলটির শেষ লীগ শিরোপা সেই ১৪ বছর আগে (২০০২)। ২০০৯ সালে ফেডারেশন কাপ এবং ২০১৩ সালে সুপার কাপের ট্রফি জেতাই হচ্ছে মোহামেডানের সর্বশেষ দুটি শিরোপা-সাফল্য। অথচ এই মোহামেডানই কি না সবচেয়ে বেশি ১২ বার লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ১১ বারের লীগ শিরোপাধারী আবাহনী তাদের শেষ লীগ শিরোপা জিতেছে ২০১১-১২ মৌসুমে। এছাড়া তাদের সর্বশেষ সাফল্য ২০১৬ ফেডারেশন কাপের শিরোপা জয়। এছাড়া ২০১৬ স্বাধীনতা কাপে রানার্সআপও হয় তারা।
×