ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অনলাইনের আওতায় আসছে সকল খাদ্যগুদাম

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

অনলাইনের আওতায় আসছে সকল খাদ্যগুদাম

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় আরও স্বচ্ছতা আনতে দেশের সকল খাদ্যগুদাম অনলাইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে তৈরি করা হচ্ছে সমন্বিত ডাটা বেস। এর মাধ্যমে ঢাকায় বসে সকল খাদ্যগুদাম মনিটরিং করা হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ফুড পলিসি রিসার্চ প্রোগ্রাম’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এখন আর আমাদের চাল আমদানি করতে হয় না। বিশ্বে চাল উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ। বর্তমান সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার হলো নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিদ্যমান খাদ্যনীতি ও খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে পর্যালোচনা করে কিভাবে আরও মানসম্মতভাবে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়, সে বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। এ গবেষণা প্রকল্পের সহায়তা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য ব্যবস্থাকে নির্ভেজাল রাখতে এ খাতকে তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনা হবে। মন্ত্রী বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদফতরকে তথ্য প্রযুক্তির আওতায় এনে ঢেলে সাজা হবে। অনলাইন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে দেশের সব স্তরের খাদ্য ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে। মন্ত্রী বলেন, খাদ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিকে ডাটা বেস করে তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। খাদ্য ব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করতে খাদ্যগুদামগুলোর সংরক্ষণ ব্যবস্থাকে উন্নত করা হবে। দেশের প্রতিটি খাদ্যগুদামকে অনলাইনের মাধ্যমে ঢাকা থেকে মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। বাংলাদেশ ইন্টিগ্রেটেড ফুড পলিসি রিসার্স প্রোগ্রামের কথা উল্লেখ করে কামরুল ইসলাম বলেন, খাদ্য সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তার জন্য এই গবেষণা প্রোগ্রাম অনেক বড় অবদান রাখবে। বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তার পাশাপাশি খাদ্যবান্ধব নিরাপত্তার জন্য বর্তমান সরকার কাজ করছে। বিশ্বব্যাংকের অপারেশন ম্যানেজার ও এ্যাক্টিং কান্ট্রি পরিচালক রাজশ্রী এস প্যারালকার বলেন, বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে অনেক পথ এগিয়েছে। এই খাদ্য উৎপাদনকে ধরে রাখতে খাদ্যের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব এ. এম. বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ বদরুল হাসান, যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনোইস ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক প্রোগ্রাম পরিচালক ড. এ্যালেক্স উইন্টার নেলসন, আইএফপিআরআই ওয়াশিংটনের পরিচালক ড. পাউল দরোস প্রমুখ।
×