ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

গোদাগাড়ীতে আইন ভেঙ্গে পুকুর খনন ॥ বিপুল জমি অনাবাদি

প্রকাশিত: ০৪:০২, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

গোদাগাড়ীতে আইন ভেঙ্গে পুকুর খনন ॥ বিপুল জমি অনাবাদি

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ গোদাগাড়ী উপজেলার তিনটি ইউনিয়নজুড়ে অবস্থিত বিলপাতিকুলা ও বামলাহাল এলাকায় আইন ভঙ্গ করে ভূমির শ্রেণী পরিবর্তন করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন শুরু হয়েছে। ফলে ইতোমধ্যেই ৫শ’ বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়েছে। স্থানীয় কৃষকদের বাধা সত্ত্বেও পুকুর খনন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে আগামী এক বছরের মধ্যেই ওই এলাকার প্রায় সাত হাজার বিঘা জমি অনাবাদি হয়ে পড়বে। মঙ্গলবার রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে স্থানীয় কৃষকরা এসব অভিযোগ করেন। কৃষকরা বলেন, স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একাধিকবার এলাকার ৫শ’ কৃষক পুকুর খনন বন্ধের দাবিতে আবেদন করলেও তাতে কর্ণপাত করেনি প্রশাসন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কৃষক ইবনে জাকারিয়া বলেন, বিলপাতিকুলা ও বামলাহাল মৌজায় অসংখ্য পুকুর খনন করা হয়েছে। কিন্তু একটি পুকুরের সঙ্গে অন্য পুকুরের পাড়ের সংযোগ কপাট না থাকায় উজান থেকে পানি ভাটিতে যাচ্ছে না। ফলে পানির অভাবে ফসল ফলানো হচ্ছে না ওই সব এলাকায়। প্রায় ৫শ’ বিঘা জমি ইতোমধ্যেই অনাবাদি হয়ে পড়েছে। আরও সাত হাজার বিঘা জমি অনাবাদি হওয়ার পথে। সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করলেও যে পরিমাণ শ্রমিক প্রয়োজন পড়ে ৩০ বিঘার পুকুরেও সেই পরিমাণ শ্রমিক লাগে না। ফলে পুকুর খনন করায় কৃষির ওপর নির্ভরশীল অনেক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। জাকারিয়া ছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে আব্দুস সামাদ, শাহীন আলম, সামসুল হোদা, বেলাল আহমেদ, আব্দুস সালাম, মনসুর আলী, সিদ্দিক হোসেন, রফিকুল ইসলাম, লুইস সরেনসহ অর্ধশতাধিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। প্রতিবন্ধী হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার দাবি স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ শিবগঞ্জ উপজেলার মরদনা এলাকায় প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন এক অসহায় পিতা। মঙ্গলবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সাধারণ পাঠাগারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়। শিবগঞ্জ উপজেলার মরদানা গ্রামের আলম সংবাদ সম্মেলনে জানান, গত ১৫ অক্টোবর রাতে তার প্রতিবন্ধী মেয়ে জান্নাতি (১৮) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু সকালে তাকে ঘরে পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজ খবরের পরদিন সকালে বাড়ি থেকে কিছু দূরে একটি আখ ক্ষেতের মধ্যে তার মেয়ের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে গত ১৭ অক্টোবর দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ তৌহিদ নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করলেও অন্য আসামি ইসমাইল হোসেন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না। পুলিশ ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে বাদীর শ্যালক বাদশাকে আটক করে নির্যাতনের পর জোরপূর্বক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি আদায় করে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আলম। তিনি মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন।
×