ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হারুন হাবীব

ডিসেম্বরের ইতিহাস- ৪৫ বছর আগে

প্রকাশিত: ০৩:৫৫, ৭ ডিসেম্বর ২০১৬

ডিসেম্বরের  ইতিহাস- ৪৫ বছর আগে

১৭ এপ্রিল ১৯৭১, যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠিত হওয়ার পর থেকে ভারতীয় রাজ্যগুলোতে শরণার্থীদের ভিড় বাড়তে থাকে। ৮ মে বাংলাদেশ সংলগ্ন ৫টি ভারতীয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা কলকাতার মহাকরণে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে শরণার্থীরা যেন অনতিবিলম্বে তাদের ঘরে ফিরে যেতে পারেন সে অবস্থা সৃষ্টি করার একযোগে দাবি তোলেন। ১৪ আগস্ট ভারতের রাষ্ট্রপতি ভি ভি গিরি পূর্ববঙ্গের সাড়ে সাত কোটি মানুষের নির্যাতন ও লাঞ্ছনা দূর করার জন্য বিশ্ববাসীর প্রতি সক্রিয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। বাংলাদেশ পরিস্থিতিকে তিনি মানবজাতির বিবেক ও শুভবুদ্ধির নির্দয় হত্যা বলে অভিহিত করেন। বাংলাদেশকে সমর্থন ও সাহায্যের জন্য ভারতীয় লোকসভায় ৩১ মার্চ একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব গৃহীত হয়। ১ আগস্ট দিল্লীতে পার্লামেন্ট ভবনের সামনে সত্যাগ্রহ শুরু করে জনসংঘ। আন্দোলনের নেতা অটল বিহারি বাজপেয়ী দৃঢ়তার সঙ্গে উচ্চারণ করেন পৃথিবীতে এমন কোন শক্তি নেই যা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রুখতে পারে। আমেরিকার নিক্সন সরকার বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তানী গণহত্যার নিন্দা করেনি। এমনকি গণহত্যার বর্ণনা দিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাডের কূটনৈতিক টেলিগ্রাম পাবার পরও নয়। ২৮ মার্চ পররাষ্ট্রমন্ত্রী রজারের কাছে পাঠানো টেলিগ্রামে আর্চার ব্লাড অভাবিত শক্ত ভাষায় অভিযোগ করেন: Our government has failed to denounce the suppression of democracy. Our government has failed to denounce atrocities. Our government has failed to take forceful measures to protect its citi“ens while at the same time bending over backwards to placate the West Pakistan dominated government…’ বিদ্যমান পরিস্থিতিতে বিশ্বব্যাপী এক সাহসী কূটনৈতিক অভিযান চালাবার সিদ্ধান্ত নেন ইন্দিরা গান্ধী। অভিযানের অংশ হিসেবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার স্মরণ সিং ৬ জুন থেকে ২২ জুন পর্যন্ত মস্কো, বন, প্যারিস, অটোয়া, নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটন ডি.সি. এবং লন্ডন সফর করেন। নিরস্ত্র মানুষের ওপর পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বাহিনীর বর্বরতা ও বাংলাদেশের সঙ্কটের মূল কারণ তুলে ধরেন তিনি। ১৩ জুলাই ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সমর সেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল উ থান্টের সঙ্গে সাক্ষাত করে শরণার্থীরা যাতে দ্রুত স্বদেশে ফিরতে পারে সে ব্যাপারে জাতিসংঘের করণীয় সম্পর্কে অবহিত করেন। ৯ আগস্ট ১৯৭১ গুরুত্বপূর্ণ ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ‘শান্তি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি’ স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তি অন্যতম পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান বিশ্বশক্তির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যেখানে পাকিস্তানের পক্ষ নেয়, সমাজতান্ত্রিক বিশ্ব সেখানে প্রকাশ্যে সমর্থন দান করে। যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট যোসেফ ব্রোজ টিটো ভারতে আগত লাখ লাখ শরণার্থীর স্বার্থে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান। ২৩ জুন চিলির প্রেসিডেন্ট স্যালভাদর আলেন্দে জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল উ থান্টকে এক বার্তায় পূর্ববঙ্গের পরিস্থিতিতে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন। পূর্ব জার্মানির প্রধানমন্ত্রী উইলী স্টোফ বলেন, তার সরকার পূর্ববঙ্গে উদ্ভূত সমস্যার প্রতি ভারতের মনোভাবের মর্ম সম্পূর্ণভাবে অনুধাবন করেছে। এদিকে ইন্দিরা গান্ধীর কূটনৈতিক লড়াই ক্রমশই সফলতার দিকে যাত্রা করে। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব বদলায় না। ৭ জুলাই ইন্দিরা গান্ধী মার্কিন প্রেসিডেন্টের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. হেনরি কিসিঞ্জারকে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন, পাকিস্তানে মার্কিন অস্ত্র বিক্রি সম্পূর্ণ বন্ধ না হলে এবং বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থীর প্রত্যাবর্তনের সুব্যবস্থা না হলে উপমহাদেশের শান্তি বিঘ্নিত হবে। পাকিস্তানের কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুক্তির বিষয়টি বাংলাদেশ সঙ্কটের রাজনৈতিক সমাধানের অন্যতম প্রধান শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন মিসেস গান্ধী। বঙ্গবন্ধুর মুক্তি দাবি করে ১০ আগস্ট তিনি বিশ্বের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সরকার প্রধানের কাছে জরুরী বার্তা পাঠান। চিরশত্রু হওয়া সত্ত্বেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কৌশলগত সখ্য দেখা যায় ১৯৭১ সালে। হেনরি কিসিঞ্জার জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে পিকিং (বেইজিং) সফর করেন এবং প্রধানমন্ত্রী চৌ এন লাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। মার্কিন কৌশলের অংশ হিসেবে ভারত সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ও আক্রমণের জন্য চীনের প্রতি অনুরোধ রাখে যুক্তরাষ্ট্র। ২৪ অক্টোবর। শ্রীমতী গান্ধী তাঁর তিন সপ্তাহের ঐতিহাসিক ইউরোপ-আমেরিকা সফর শুরু করেন। ২৬ অক্টোবর ব্রাসেলসে এক টেলিভিশন সাক্ষাতকারে তিনি সর্বপ্রথম স্বীকার করেন, বাংলাদেশের শরণার্থীরা ভারতের ভূ-খ-েই মুক্তিবাহিনীর লোকদের ট্রেনিং দিচ্ছে। বলেন, কিন্তু এ ব্যাপারে ভারতের কিছু করার নেই, ভারতের বিরাট খোলা সীমানা। অক্টোবর-নবেম্বরের দিকে পাকিস্তানী সৈন্য ও তাদের আন্তর্জাতিক মুরব্বিরা পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খায়। ইন্দিরা গান্ধী গোটা বিশ্বে অবিস্মরণীয় কূটনৈতিক অভিযান চালিয়ে পাকিস্তানী ও মার্কিন প্রচারণার জবাব দেন। নবেম্বর ৪ হোয়াইট হাউসে তিনি প্রেসিডেন্ট নিক্সনের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেন। কিন্তু আলোচনা ব্যর্থ হয়। ৭ নবেম্বর ওয়াশিংটনে এক প্রশ্নের উত্তরে ইন্দিরা গান্ধী জানান, আমরা সহজে ভারসাম্য হারাই না। কাজেই আমেরিকা ভারতের স্বার্থবিরুদ্ধ কোন কাজ করলে আমরা স্বভাবতই দুঃখিত হব। কিন্তু তার জন্য আমরা মাথা গরম করব না। আন্তর্জাতিক সফর শেষে দেশে ফিরে এলে বাংলাদেশের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ২৪ নবেম্বর ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। লেখেন, Never in history did aûone do so much for the cause of the oppressed people of another land as you have done for my people. They will not fail to make their own contribution to this making of history whereby alone they could discharge their debt of gratitude to you personally and to the people of India. এদিকে বাংলাদেশ ভূখ-ে পাকিস্তান বাহিনী ক্রমশই ক্ষতিগ্রস্ত হতে থাকে। পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজি তাঁর সরকারের কাছে আবেদন জানাতে থাকেন যেন চীন অবিলম্বে ভারত ভূখ-ে আক্রমণ চালায়। কিন্তু সিআইএ মার্কিন প্রেসিডেন্টকে অবহিত করে যে, চীন বাংলাদেশ প্রশ্নে ভারত ভূমিতে আক্রমণ করবে না। ডিসেম্বর আসে। মুক্তিবাহিনী দেশের বহু অংশে আধিপত্য বিস্তার করে। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। ইন্দিরা গান্ধী সরাসরি পাকিস্তান বাহিনীকে বাংলাদেশ ছাড়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। রাজ্যসভায় বলেন, ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে। আমাদের প্রতিবেশীদের আমরা নিশ্চিহ্ন হতে দিতে পারি না। এটা আমাদের জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী। ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১। পাকিস্তান আকস্মিকভাবে ভারতের পশ্চিম অংশে আক্রমণ চালায়। শ্রীমতী গান্ধী সেদিন কলকাতায়। দ্রুত দিল্লী ফিরে যান তিনি এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। রাতারাতি গড়ে ওঠে ভারত-বাংলাদেশের যৌথ সামরিক কমান্ড। মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণে অবরুদ্ধ হতে থাকে পাকিস্তান বাহিনী। ভারতীয় জঙ্গী বিমান ঢাকার কুর্মিটোলা বিমান ঘাঁটিতে বোমা এবং রকেটে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। ৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১। আমেরিকার দূতিয়ালিতে নিরাপত্তা পরিষদে ‘অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি’ কার্যকর করার প্রস্তাব আনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়ন ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে প্রস্তাবটিতে দুইবার ‘ভেটো’ প্রদান করে তা অকার্যকর করে দেয়। এর ফলে অবরুদ্ধ পাকিস্তান বাহিনী দ্রুত পরাজয়বরণ করতে থাকে এবং আত্মসমর্পণের পথে যাত্রা করে। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করে ভারত ও ভুটান। এই স্বীকৃতিতে বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান উন্মোচিত হয়। পার্লামেন্টে সকল দলমতের সদস্যের উচ্ছ্বসিত সমর্থনের মধ্য দিয়ে ইন্দিরা গান্ধীর দেয়া ৬ ডিসেম্বরের বিবৃতিটি এরকম : The valiant struggle of the people of Bangladesh in the face of tremendous odds has opend a nwe chapter of heroism in the history of freedom movements.– I am glad to inform the House that in the light of the existing situation and in response to the repeated requests of the Government of Bangladesh, the Government of India have, after the most careful consideration, decided to grant recognition to the Gana Prajatantri Bangladesh.- I am confident that in future the Governments and the people of India and Bangladesh, who share common ideals and sacrifices, will forge a relationship based on the principles of mutual respect for each otherÕs sovereignty and territorial integrity, non-interference in internal attairs, equality and mutual benefit. স্বীকৃতির পর বাংলাদেশ সরকারের নেতৃবৃন্দ ভারত ও ভুটানের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ-বার্তা প্রেরণ করেন। ৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১। নিরুপায় পশ্চিম পাকিস্তানী সেনানায়ক নিয়াজি যুদ্ধবিরতি চান। সেই আর্জি পাঠানো হয় দিল্লীর মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে জেনারেল মানেকশর কাছে। কিন্তু মানেকশ স্পষ্ট জানিয়ে দেন- যুদ্ধবিরতি নয়, আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং বাংলাদেশের মাটিতেই। বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তান বাহিনীর আত্মসমর্পণ ছাড়া যখন কিছুই করার নেই, ঠিক তখনই বঙ্গপোসাগরের দিকে আসতে থাকে মার্কিন সপ্তম নৌবহর। এই খবরের সঙ্গে আরও একটি খবর যুক্ত হয়। কুড়িটি রুশ রণতরীও যাত্রা করেছে বঙ্গপোসাগরের পথে। ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় পার্লামেন্টে ইন্দিরা গান্ধী ঘোষণা করেন- I have an announcement to make. The West Pakistan forces have unconditionally surrendered in Bangla Desh.– Dacca is nwo the free capital of a free country. wZwb AviI e‡jbÑ Our objectives were limited– to assist the gallant people of Bangla Desh and their Mukti Bahini to liberate their country from a reign of terror and to resist aggression on our own land. Indian Armed Forces will not remain in Bangla Desh aû longer than is necessary. ১৭ ডিসেম্বর পার্লভমেন্টে দাঁড়িয়ে নতুন বাংলাদেশকে স্বাগত জানান ভারতনেত্রী। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা কলকাতা থেকে ঢাকা ফিরে বুধবার, ৬ পৌষ, ১৩৭৮, ডিসেম্বর ২২, ১৯৭১। মুজিবনগর মন্ত্রিসভার ঢাকা আগমনের মধ্য দিয়ে ঢাকা স্বাধীন বাংলাদেশের রাজধানী হিসেবে অধিষ্ঠিত হয়। এর আগে ঢাকা দুবার রাজধানী হওয়ার মর্যাদা লাভ করে। ১৬০৮ সালে বাংলার নবাব ইসলাম খাঁ রাজমহল থেকে রাজধানী সরিয়ে ঢাকায় আনেন। ১৭০৪ সাল পর্যন্ত ঢাকা সুবা বাংলার রাজধানী থাকে। এরপর ১৯০৫ সালে বঙ্গ বিভাগের পর ঢাকা ৭ বছর ধরে পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের রাজধানী হয়। ৮ জানুয়ারি ১৯৭২। পাকিস্তানের কারাগারে প্রায় ১০ মাসের বন্দী জীবন শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তি লাভ করেন। লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে পৌঁছেন তিনি সেদিনই। ৯ জানুয়ারি ব্রিটিশ রয়াল এয়ার ফোর্সের একটি বিশেষ বিমানে ঢাকার পথে যাত্রা করেন বঙ্গবন্ধু। ১০ জানুয়ারি দিল্লীর পালাম বিমানবন্দরে (ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট) যাত্রাবিরতি করেন তিনি। ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীসহ মন্ত্রিসভার সকল সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তারা বাংলাদেশের জাতির পিতাকে উষ্ণ আবেগ ও ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় আতিথেয়তায় বরণ করেন। একই দিন বঙ্গবন্ধু ঢাকায় পৌঁছেন। তেজগাঁও বিমানবন্দরে থামার পর ব্রিটিশ রয়াল এয়ার ফোর্সের বিমানটি ঘিরে রাখে লাখো মানুষ। নামার আগে বঙ্গবন্ধু অনেকক্ষণ ধরে বিমানের জানালা দিয়ে তাঁর ‘সোনার বাংলা’ দেখেন। এরপর মোটর শোভাযাত্রায় তিনি যান রমনা রেসকোর্সে, যেখানে ৭ মার্চ ১৯৭১ তিনি তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণ রাখেন। লেখক : মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষক
×