নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী ॥ আগামী বিশ্ব এজতেমা সফল করতে পূর্ব প্রস্তুতিমূলক ৫ দিনের জোড় এজতেমা মঙ্গলবার আখেরী মোনাজাতের মাধ্যমে টঙ্গীর এজতেমা ময়দানে শেষ হয়েছে। জোড় এজতেমায় প্রায় লক্ষাধিক মুসল্লী অংশগ্রহণ করেন। ৫দিনের এ জোড় এজতেমায় বাধ্যকজনিত কারণে ৮ মুসল্লীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে দুপুরে আখেরী মোনাজাত শেষে মুসল্লীদের বাড়ি ফেরার সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে মুসল্লী ও যানবাহনের যাত্রী সাধারণ নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছিলেন না। স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় আটকা পড়ে ২ থেকে ৩ঘন্টা পর্যন্ত। যানজটের তীব্রতা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে ঢাকার কুড়িল বিশ্বরোড পর্যন্ত শত শত যানবাহন রাস্তায় ঠাই দাঁড়িয়ে থাকে ঘন্টার পর ঘন্টা। অপরদিকে টঙ্গীর আব্দুল্লাহপুর ও জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে চন্দ্রা পর্যন্তও যানজট ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যানবাহনের এ অবস্থা চলছিল।
জোড় এজতেমায় তবলীগের শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীগণ বয়ানের সাথে সাথে বিশ্ব এজতেমা সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুসারে আগামী জানুয়ারী মাসের ১৩ তারিখ থেকে বিশ্ব এজতেমা ২টি পর্বে শুরু হবে। প্রথম ৩দিন এবং ৪দিন বিরতি দিয়ে আবার ২০ জানুয়ারি থেকে ৩দিন বিশ্ব এজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।
বিশ্ব ইজতেমার আয়োজক কমিটির মুরব্বি ইঞ্জিনিয়ার মাওলানা গিয়াস উদ্দিন জানান, হাজার হাজার মুসল্লিদের অংশগ্রহণে গত শুক্রবার ভোর থেকে পাঁচ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা শুরু হয়। এই পাঁচদিন মুসল্লিরা জিকির, আসকার, বয়ান ও মহান রব্বুল আলামীনের দরবারে শান্তি কামনায় দোয়া-দুরুদ পড়েন। মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ব মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে জোড় ইজতেমা শেষ হয়।
এদিকে মৃত্যু ৮ মুসল্লীর মধ্যে ২জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এদের একজন ইসমাইল হোসেন (৭০), তার বাড়ি খুলনা জেলার লবঙ্গচড়ক থানার জিন্নাহপাড়া গ্রামে। অপরজন হচ্ছেন, নোয়াখালী জেলার আমিরুল ইসলাম (৫৫)। তিনি শুক্রবার রাস্তা পাড়াপারের সময় বাস চাপায় মারা যান।