ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

চমকের আর এক নাম জয়ললিতা!

প্রকাশিত: ১৮:৩৩, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬

চমকের আর এক নাম জয়ললিতা!

অনলাইন ডেস্ক॥ জয়ললিতা মানেই চমক। আর সেই চমক ঘিরে তৈরি হয়েছে একের পরে এক বিতর্ক। শেষ বিধানসভা নির্বাচনের আগেও এমনই চমক দিয়েছিল আম্মার দল। মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার দল যে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছিল, তা দেখলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য। সেখানে বলা হয়, ক্ষমতায় এলে রাজ্যের ১ কোটি ৯২ লক্ষ রেশনকার্ড থাকা মানুষদের বিনামূল্যে মোবাইল ফোন দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, সরকারে এলে চাকুরীরতা মহিলারা স্কুটার কিনলে ৫০ শতাংশ ছাড় পাবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিল আম্মার দল। তবে এই প্রথম নয়, অতীতেও নির্বাচনী ইস্তাহারে এমন অভিনব প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এআইডিএমকে। ২০০৬-এ নির্বাচনী ইস্তাহারে বিবাহযোগ্যা দরিদ্র মেয়েদের মঙ্গলসূত্রের জন্য চার গ্রাম করে সোনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, ক্লাস টুয়েলভ পাশ করা ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল জয়ললিতার দল। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেও বার বার এমন চমকপ্রদ ঘোষণাই ছিল জয়ললিতার অন্যতম ইউএসপি। গত বিধানসভা নির্বাচনে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে এমনই এক চমকে দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জয়ললিতা। তামিলনাড়ুতে গত ১৫ জুন হার ছিনতাইকারী একটি দলকে ধাওয়া করতে গিয়ে দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়ে পুলিশ কনস্টেবল মুনুস্বামীর মৃত্যু হয়েছিল। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে ক্ষতিপূরণ দেয় তামিলনাড়ু সরকার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা মৃত এই পুলিশকর্মীর পরিবারের জন্য যে পরিমাণ ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছিলেন, তা নজিরবিহীন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জানান, মৃত ওই কনস্টেবলের পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তাঁর দাবি, সাধারণত পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হলেও এক্ষেত্রে ওই পরিমাণ টাকায় যথেষ্ট নয় বলেই সরকারের মনে হয়েছে। মৃত ওই কনস্টেবলের মেয়ের পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্বও সরকার নেয়। গত জানুয়ারি মাসেও এমনই এক চমকে দেওয়া ঘোষণা করেছিলেন তামিলনাড়ুর সদ্যপ্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যবাসীর সমস্ত অভাব-অভিযোগ জানানোর জন্য এবার হেল্পলাইন নম্বর চালু করেছিল জয়ললিতা সরকার। ১১০০— এই নম্বর ডায়াল করলেই সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন রাজ্যের যে কোনও মানুষ। দিনে চব্বিশ ঘন্টা, সপ্তাহে সাত দিনই খোলা থাকবে এই হেল্পলাইন নম্বর। এই নম্বরে ফোন করে যে কোনও ব্যক্তি কোনও নির্দিষ্ট দফতর বা বিভাগ সংক্রান্ত অভিযোগ জানাতে পারেন। সেক্ষেত্রে রাজ্যবাসীর সেই অভিযোগ বা ক্ষোভের কথা সরাসরি পৌঁছে দেওয়া হবে নির্দিষ্ট দফতরে।
×