ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জয়ললিতা॥ জনপ্রিয় অভিনেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথ

প্রকাশিত: ১৮:২৮, ৬ ডিসেম্বর ২০১৬

জয়ললিতা॥ জনপ্রিয় অভিনেত্রী থেকে মুখ্যমন্ত্রীর যাত্রাপথ

অনলাইন ডেস্ক॥ ২৪শে ফেব্রুয়ারি মাইসোরের মেলুকোটে তামিল ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম। বাবা জয়রমন। মা ভেদাভাল্লি। ১৯৬১ : শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ। এপিস্টল নামে একটি ইংরেজি ছবিতে প্রথম শ্যুটিং শুরু করেন। এরপর কন্নড় ও হিন্দি ছবিতেও অভিনয় করেন। ১৯৬৪ : কন্নড় ছবি ‘চিন্নাদা গোম্বে’-তে প্রথম মুখ্যচরিত্রে আত্মপ্রকাশ। ১৯৬৫ : তামিল ছবি ‘ভেন্নিরা আদাই’-তে প্রথম মুখ্যচরিত্রে অভিনয়। একই বছরে তামিলনাড়ুর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও পরবর্তীকালে জয়ললিতার রাজনৈতিক গুরু এম জি রামচন্দ্রনের বিপরীতে প্রথম অভিনয় করেন। জয়ললিতা-রামচন্দ্রনের দু’যুগের রঙিন সম্পর্কের সূচনা। ১৯৭৩ : একসঙ্গে ২৮টি ছবিতে অভিনয় করার পরে পার্টিকর্মীদের চাপে এমজিআর জয়ললিতার সঙ্গে অভিনয় করা বন্ধ করে দিলেন। ১৯৮০ : তিনশো’র বেশি ছবিতে অভিনয় করার পরে জয়ললিতা নিজেকে সিনেমার জগৎ থেকে সরিয়ে নিলেন। ১৯৮২ : রাজনীতির জগতে প্রবেশ। এম জি রামচন্দ্রনের এইআইডিএমকে পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ। ১৯৮৩ : এইআইডিএমকে’র প্রচারসচিব নিযুক্ত হন। ১৯৮৪ : রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে সংসদে প্রবেশ। ১৯৮৯ পর্যন্ত সাংসদ। ১৯৮৭ : কয়েক বছর ধরে এমজিআর-এর সঙ্গে জয়ার দূরত্ব তৈরি হচ্ছিল। এই বছরেই এমজিআরের মৃত্যুর পরে পার্টি দু’ভাগ হয়ে যায়। একদল সমর্থক রামচন্দ্রনের স্ত্রী জানকীর সঙ্গে চলে যান, আর অন্য দলটি জয়ার সঙ্গে। ১৯৮৮ : এমজিআর-এর মৃত্যুর পরেই অবশ্য জয়ললিতা মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি। ২১ দিনের জন্য তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হলেন জানকী। কেন্দ্র রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করায় সরকার ভেঙে গেল। ১৯৮৯ : জয়ললিতা প্রথম বিধানসভায় নির্বাচিত হলেন। কিন্তু সরকার গড়তে পারলেন না। সরকার গড়ল ডিএমকে। ফেব্রুয়ারিতে জয়ার নেতৃত্ব মেনে নিয়ে এআইডিএমকে-এর দুই গোষ্ঠী এক হয়ে গেল। ১৯৯১ : তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হলেন জয়ললিতা। ২৩৪টি আসনের মধ্যে ২২৫টি আসনে জয়ী হল তাঁর দল। ১৯৯২ : পালিত পুত্র সুধাকরণের বিয়েতে প্রচুর টাকা খরচ করে বিতর্কের মুখে পড়েন। এছাড়াও আর্থিক বেনিয়মের বহু অভিযোগে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৯৬ : বিধানসভা নির্বাচনে হেরে গেলেন জয়া। ডিসেম্বরে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হলেন। প্রায় এক মাস কাটালেন জেলে। ২০০১ : এআইডিএম-কে আবার ক্ষমতায় আসে। আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলার কারণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় নির্বাচনে লড়তে পারলেন না। কিন্তু দলীয় বিধায়করা জয়াকেই মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করেন। শেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সরতে হয় তাঁকে। ২০০৩ : মাদ্রাজ হাইকোর্টে ক্লিনচিট পেয়ে নির্বাচনে জিতে আবার মুখ্যমন্ত্রী হলেন জয়ললিতা। ২০০৭ : পরের নির্বাচনে ডিএমকে জিতলে, বিরোধী দলনেতার পদে বসলেন জয়া। ২০১১ : তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলেন জয়ললিতা। ২০১৪ : আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় জয়ার চার বছরের জেল এবং ১০০ কোটির জরিমানা হল। এক মাস জেলে কাটিয়ে জামিন পান তিনি। ২০১৫ : আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় জয়াকে নির্দোষ ঘোষণা। ২০১৬ : আবার মুখ্যমন্ত্রী জয়া। ৩২ বছরে এই প্রথম পরপর দু’বারের জন্য কেউ মুখ্যমন্ত্রী হলেন তামিলনাড়ুতে। সেপ্টেম্বর, ২০১৬ : অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি জয়া। ডিসেম্বর, ২০১৬ : চলে গেলেন জয়ললিতা।
×